1. admin@sobujnagar.com : admin :
  2. sobujnoger@gmail.com : Rokon :
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
তানোরে আলুর বীজ নিয়ে মহা সিন্ডিকেট দিশেহারা চাষীরা! খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়  বাগমারার হাটগাঙ্গোপাড়া মডেল প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক কমিটি গঠন বাংলাদেশ জার্নালিস্ট প্রটেক্ট কমিটির সাংবাদিকদের নিরাপত্তার জন্য অ্যাডভোকেসি কর্মশালা  সিংড়ায় জামায়াতে ইসলামীর কর্মী শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত বটিয়াঘাটা প্রেস ক্লাবের আহবায়ক কমিটি গঠন কম্পিউটার কী বোর্ডের মাধ্যমে রাজশাহীতে পাহাড়িয়াদের মাতৃভাষার লিখন পঠন কার্যক্রম উদ্বোধন সিংড়ায় মাদরাসা দারুস সুন্নাহ বার্ষিক পুরস্কার বিতরণ সি ইউ সি সংগঠনের সামাজিক কর্মকান্ডে অবদান রাখায়  রোটারিয়ান ইফতেখার আলী বাবুকে সংবর্ধনা ডুমুরিয়ায় শওকত মোল্যা স্মৃতি উন্মুক্ত পাঠাগারের আয়োজনে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতি  অনুষ্ঠান 

কালাই রুটি বিক্রি করেই অনেকের সংসার চলছে

  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২২
  • ৯৮ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

আবুল কালাম আজাদ ………………………………………..

মরিচ বাটা, পেঁয়াজ কুচি বা সরিষার তেল দিয়ে বেগুন ভর্তার সঙ্গে গরম কালাই রুটি ভোজন রসিকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। মূলত চাঁপাইনবাবগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী খাবার হলেও বর্তমানে রাজশাহীসহ সারা উওরবঙ্গের মানুষের কাছে অন্যতম জনপ্রিয় ও ঐতিহ্যবাহী খাবার হয়ে উঠেছে কালাই রুটি।

 

রাজশাহী নগরীর অনেক মানুষই কালাই রুটি তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। বছরের সব ঋতুতেই সমানতালে বিক্রি হয় এ রুটি। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এ রুটির দোকানে ভোজন রসিকদের ভিড় জমতে দেখা যায়।

 

ভোজন রসিকদের কাছে রাজশাহীর আমের যেমন জনপ্রিয়তা রয়েছে তেমনি আরেকটি প্রিয় খাবার হলো মাসকালাইয়ের রুটি। একারনে নগরীর প্রায় সব স্থানেই এর দোকান দেখতে পাওয়া যায়। কালাই রুটি বিক্রি করে পুরুষের পাশাপাশি অসংখ্য অসহায় নারী তাদের কর্মসংস্থান খুঁজে পেয়েছে।

 

রাজশাহী মহানগরী ঘুরে রাস্তার পাশে ফুটপাতে, পদ্মানদীর তীরে, পার্কের সামনে, ছোটখাটো বাজারসহ অনেক জায়গাতেই নারীদের কালাই রুটির দোকান চোখে পড়ে।

তবে রাজশাহী কোর্ট এলাকায় কালাই রুটির দোকান খুলে ব্যবসা করতে দেখা যায় বেশ কিছু নারীদের। আর এই ব্যবসা করে তারা হয়েছেন স্বাবলম্বীও।

দুই থেকে তিনজন কর্মচারী নিয়ে এসব নারীরা নিজেরাই দোকান চালাচ্ছেন। সংসার খরচসহ সন্তানদের লেখাপড়াও চালাচ্ছেন তারা।

 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গনগনে উনুনে গরম গরম তৈরি হচ্ছে কালাই-রুটি। গরম থাকতেই সরবরাহ করা হচ্ছে ক্রেতার প্লেটে। মুহূর্তেই তা ক্রেতাদের পরিবেশনও করা হচ্ছে। এখানে কেউ কালাই রুটি খাচ্ছেন মরিচ,পেঁয়াজকুচি আর বেগুন ভর্তা দিয়ে কেউ আবার হাঁসের মাংস,মাংসভুনাও নিচ্ছেন। তবে বেগুন ভর্তা, পেঁয়াজ-মরিচ দিয়ে কালাই রুটি খাওয়ার সংখ্যা এখানে বেশি।

 

মুখোরোচক কালাই রুটি নিয়ে কথা বলার সময় মাসুরা নামের নারী দোকানি বলেন, ২০ বছর আগে তার স্বামী মারা গেছে। এরপর সংসারের দায়িত্ব এসে পরে তার কাধে। দুই ছেলে মেয়েসহ সংসারের খরচ যোগাতে কালাই রুটি বিক্রি করা শুরু করেন। প্রথমদিকে কোর্টের ভিতরে বিক্রি করতেন। কিন্তু এখন ভেতরের দোকানগুলো ভেঙে দেওয়ার ফলে কোর্টের বাইরে ফুটপাতের ধারে রুটি বিক্রি করেন। প্রতিদিন রুটি বিক্রি করে আনুষঙ্গিক খরচ বাদে চার থেকে পাঁচশ টাকা লাভ হয়, তা দিয়েই চলে মাসুরার সংসারের চাকা।

 

কালাই রুটি খেতে আসা মামুন বলেন, বেগুন ভর্তা আর পেঁয়াজ-মরিচ দিয়ে গরম গরম কালাই রুটি খেতে বেশ ভালো লাগে। এটা আমি প্রথম খাওয়ার পর এত ভালো লেগেছিল যে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে এখন প্রায়ই এখানে কালাই রুটি খেতে আসি।

 

আরেক দোকানি হালিমা বেগম জানান, ২০০১ সাল থেকে তিনি রুটি বিক্রি করছেন। প্রথমদিকে প্রতি পিস রুটি ছিলো ২ টাকা । কিন্তু এখন দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কারণে প্রতি পিস ২৫ টাকা। বেগুন ভর্তা নিলে ভর্তার দাম ১০ টাকা। আর হাঁসের মাংস নিলে এক পিস রুটিসহ ১২০ টাকা দরে বিক্রি করেন।

 

তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন তার দোকানে ১০ কেজি আটার রুটি বিক্রি হয়। এককেজি আটায় ৬-৭টি রুটি হয়। কালাই রুটি দুই রকম তৈরি হয়। এর মধ্যে শুধু কালাই রুটি ৪০ টাকা পিস বিক্রি করা হয়।  তবে প্রথম দিকে যখন রুটির দাম ২ টাকা ছিলো তখনই বেশি লাভ হতো। এখন রুটির দাম বাড়লেও লাভ খুবই সীমিত।

 

পারভীন নামের আরেক দোকান মালিক বলেন, তার স্বামী রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। মাঝে মাঝে কাজ থাকে না। তখন সংসারের খরচ চালানোও কঠিন হয়ে যায়। অনেক সময় না খেয়ে থাকতে হয়। এরপর তিনি এই কালাই রুটির দোকান দেন। দোকান থেকে তার মাসে প্রায় ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা আয় হয়। এখন তার সংসারে আর টানা পোড়ন নেই।

 

আব্দুল মান্নান নামে আরেক ক্রেতা বলেন, আমার বাসা রাজশাহী বাইরে। মামলার কারণে কোর্টে এসে কালাই রুটির সন্ধান পেয়েছিলাম। প্রথম বারই গরম গরম কালাই রুটি খেয়ে বেশ ভালো লেগেছিলো। এরপর থেকে কোন কাজে এখানে আসলেই রাজশাহীর এই মুখরোচক খাবারটি খেয়ে বাসায় ফিরি।#

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট