
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশে একটা নির্বাচনের সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে এবং কোনো রকম ঝামেলা ছাড়াই আগামী ফেব্রুয়ারি ম মাসের প্রথম দিকে অথবা মধ্যবর্তী সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ইনশাল্লাহ্। একইসঙ্গে তিনি প্রতিহিংসা ভুলে একটি সুন্দর, দেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। মঙ্গলবার ঠাকুরগাঁও আইনজীবী সমিতির হলরুমে আইনজীবীদের সাথে মতবিনিময়কালে বিএনপির মহাসচিব এই মন্তব্য করেন।
বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, “আইনশৃঙ্খলা যথেষ্ট নির্বাচন অনুষ্ঠানের উপযোগী রয়েছে। নির্বাচন ব্যাহত হওয়ার কোন কারণ নেই। বড় দল হিসেবে একাধিক প্রার্থীর প্রতিযোগিতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বিএনপি একটি বিশাল রাজনৈতিক দল। এটা একটা স্রোতোশীর নদীর মতো। এখানে চারটা পাঁচটা করে ক্যানডিডেট থাকে। কিছু তো সমস্যা থাকবেই। এটা হওয়া মানেই হচ্ছে বোঝা যায় যে এটি একটি বড় রাজনৈতিক দল।” সাংবিধানিক ও কাঠামোগত পরিবর্তনের গুরুত্ব : প্রফেসর ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্র্বতী সরকার কর্তৃক গঠিত ছয়টি কমিশনের মাধ্যমে রাষ্ট্র কাঠামোর মৌলিক পরিবর্তনের উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, “আমরা একটা ট্রানজেকশন পিরিয়ডে আছি। ফ্যাসিজম, কর্তৃত্ববাদী একটা অবস্থা থেকে ডেমোক্রেসি ট্রানজেকশন অর্থাৎ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় যাওয়ার জন্য আমরা তৈরি হচ্ছি।” মির্জা ফখরুল বলেন, দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট এই ব্যবস্থা নতুন হলেও, রাজনৈতিক দলগুলো আপাতত একমত হয়েছে এই কারণে যে, এটি ‘চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স’ তৈরি করবে এবং নিম্ন কক্ষকে এককভাবে ক্ষমতাসীন হতে দেবে না। প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সীমিতকরণ: “একটা ব্যক্তি যদি দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় থাকে তাহলে দেখা যায় যে সে কর্তৃত্ববাদী হয়ে যায়। এক্ষেত্রে আমরা একমত হচ্ছি যে দুই ট্রামের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী হতে পারবে না।” ক্ষমতার ভারসাম্য: রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার মধ্যে ভারসাম্য নিয়ে আসা হয়েছে। স্বাধীন বিচার বিভাগ: বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণ স্বাধীন করার বিষয়ে সবাই একমত হয়েছেন।
তিনি বলেন, ৫ই আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর কারাবন্দী খালেদা জিয়ার প্রথম প্রতিক্রিয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ম্যাডাম জিয়া অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও যে ছোট্ট ড্রাফটে তার সংশোধনী বসিয়েছিলেন, তার প্রথম লাইনটি ছিল: “প্রথম রাইটটা লেখবা এখন আর কোনো প্রতিহিংসা নয়, প্রতিশোধ নয়।” মির্জা ফখরুল বলেন, “দেখেন কত উঁচু মনের নেতা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, সাধারণ সম্পাদক মকদুম সাব্বির মৃদুল, পিপি মো. আব্দুল হালিম, নারী শিশু আদালতের পিপি এন্তাজুল হক, ইউসুফ আলী সহ অন্যান্য আইনজীবীরা।#