নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বাধীনতার ঘোষক, যুদ্ধবিধস্ত বাংলাদেশের উন্নয়নের রুপকার, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বিএনপি প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। আর এই দলকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন তাঁরই সহধর্মীনি বেগম খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়া বিএনপিকে জনগণের দলে পরিণত করেছেন। আর এ বাংলাদেশে একটি স্বৈরশাসক পাথরের মত বসে থেকে জনগণকে শোষন ও নিপিড়ন করেছে বলে সোমবার বিকেলে রাজশাহী মহানগরীর বাটার মোড়ে বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠন রাজশাহী জেলা ও মহানগরের আয়োজনে বিএনপি’র ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে র্যালি পূর্ববর্তী আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান এই কথাগুলো বলেন।
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি আরো বলেন, এই অবৈধ স্বৈরশাসককে বিতারিত করতে বিএনপি দীর্ঘ সতের বছর ধরে আন্দোলন সংগ্রাম করেছে। আর এই আন্দোলন সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দীর্ঘ আন্দোলনের ফসল হচ্ছে জুলাই-আগস্ট। গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতা মাঠে নেমে স্বৈরাচার খুনি হাসিনাকে বিতারিত করে দেশকে স্বৈরাচারমুক্ত করেছে। এখন গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার সময়। আর এটা হবে হচ্ছে নির্বাচনের মাধ্যমে। আগামী বছরের ফেব্রয়ারীর প্রথম সপ্তাহেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন দেশ সংস্কারের প্রথম নায়ক। তারই সুযোগ্য জেষ্ঠ্য পুত্র বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘুনেধরা দেশকে আবারও সংস্কার করার জন্য ৩১দফা দিয়েছেন। এটা বাস্তবায়ন হলেই আর কোন ধরনের সংস্কারের প্রয়োজন নেই। এজন্য সংস্কারের কথা বলে অগণতান্ত্রিক পদ্ধতি জিয়িয়ে রাখার কোন প্রয়োজন নাই বলে উল্লেখ করেন তিনি। সেইসাথে জনগণকে নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনার আহ্বান জানিয়ে র্যালির শুভ উদ্বোধন ঘোষনা করেন।
বক্তব্য শেষে বাটার মোড় হতে বর্ণাঢ্য র্যালী বের করা হয়। র্যালি নিয়ে নেতাকর্মীরা লোকনাথ স্কুল দিয়ে রাজশাহী কলেজ গেট হয়ে মনিচত্বরসহ প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আলুপট্টি মোড়ে গিয়ে শেষ করেন। সেখানে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে সোমবার সকাল ৭টায় রাজশাহী মহানগর ও জেলা বিএনপি’র দলীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং বেলুন ও ফেস্টুৃন উড়িয়ে তিন দিনের কর্মসূচীর উদ্বোধন করা হয়। র্যালি ও পথসভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা, রাসিক সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিনু, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট সৈয়দ শাহীন শওকত, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রান ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শফিকুল হক মিলন, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক আবু সাইদ চাঁদ, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেলা বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম মার্শাল, জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব অধ্যাপক বিশ্বনাথ সরকার, বিএনপি রাজশাহী মহানগরের সাবেক আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট এরশাদ আলী ঈশা, সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল হুদা, সাবেক সদস্য সচিব মামুন-অর-রশিদ মামুন।
বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির রাজশাহী বিভাঘীয় সহ-সাংগঠনিক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সম্মেলন নির্বাচন কমিশনার কে.এম ওবায়দুর রহমান চন্দন এর সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেলা বিএনপি’র সদস্য দেবাশিষ রায় মধু, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেলা বিএনপি’র সদস্য আবু বক্কার সিদ্দিক, রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আসলাম সরকার, ওয়ালিউল হক রানা, শফিকুল ইসলাম শাফিক ও জয়নুল আবেদিন শিবলী, বজলুল হক মন্টু, জেলা বিএনপি’র সদস্য মোহাম্মদ মহসিন, রুকুনুজ্জামান আলম, তাজমুল-তান টুটুল, গোলাম মোস্তফা মামুন ও তোফায়েল হোসেন রাজু।
আরো উপস্থিত ছিলেন, বোয়ালিয়া থানা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি সাইদুর রহমান পিন্টু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম মিলু, মতিহার থানা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি আনসার আলী ও শাহ্ মখ্দুম থানা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি মাসুদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন, রাজপাড়া থানা বিএনপি’র সভাপতি মিজানুর রহমান মিজান, বোয়ালিয়া থানা (পূর্ব) বিএনপি’র সভাপতি আশরাফুল ইসলাম প্রিন্স, সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন, মতিহার বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আল মামুন বাবু, বোয়ালিয়া থানা (পশ্চিম) বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক বজলুজ্জামান মহন, চন্দ্রিমা থানা বিএনপি’র সভাপতি ফাইজুল ইসলাম ফাহি, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান জনি।
এছাড়াও রাজশাহী মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি বিএনপি নেতা আবুল কালাম আজাদ সুইট, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মোজাদ্দেদ জামানী সুমন, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান রিটন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম জনি, সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম রবি, যুবদল সাবেক আহ্বায়ক আব্দুল কাদের বকুল, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাসুদুর রহমান সজন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়সাল সরকার ডিকো, সদস্য সচিব রেজাউল করিম টুটুল, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি জাকির হোসেন রিমন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মীর তারেক, সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান জনি, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাসুদুর রহমান লিটন,সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরফিন কনক, সদস্য সচিব শাহরিয়ার আমিন বিপুল, মহানগর শ্রমিক দলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম পাখি ও সাধারণ সম্পাদক রফিকউদ্দিন, জেলা মহিলা দলের সভাপতি সামসাদ বেগম মিতালী ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দা রুমেনা ইসলাম, মহানগর মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সকিনা খাতুন, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি আকবর আলী জ্যাকি, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মাকসুদুর রহমান সৌরভসহ বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।#