কুষ্টিয়া প্রতিনিধি-
শেখ মুজিব বহুদলীয় গণতন্ত্র ধ্বংস করে বাকশাল কায়েম করেছিল। সে সময় মানুষের কোন বাকস্বাধীনতা ছিল না। সংবাদ পত্রেরও কোন স্বাধীনতা ছিল না। বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বাকশাল ধ্বংস করে বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিলেন। তাই এদেশের মানুষ তাকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক হিসেবে জানে।
রবিবার (২৭ এপ্রিল ( বিকেলে মিরপুর উপজেলার আমলা ইউনিয়ন বিএনপি’র সম্মেলনে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পরিকল্পিতভাবে ভারতের সহযোহিতা নিয়ে ২০০৮ সালে কারচুপির মাধ্যমে নীল নক্সার নির্বাচন করে সরকার গঠন করেছিল। তার আমলে (শেখ হাসিনা) ২০১৪ সালে বিনা ভোটে ১৫৪ জন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিল। ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতে করে তার পিতার পথ ধরে বাকশাল কায়েম করেছিলেন। শেষে ২০২৪ সালে মামা-ভাগ্নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনের মেয়াদ ছিল মাত্র ৭ মাস।
বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলী সহ বিএনপি’র হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে প্রশাসন দিয়ে গুম করে হত্যা করেছে হাসিনা। হাসিনার আমলে হাজার হাজার নেতাকর্মীকে পঙ্গত্ব বরণ করতে হয়েছে। এসবের জন্য স্বৈরাচার হাসিনার এদেশের মাটিতে বিচার হতে হবে।
সম্মেলনের উদ্বোধন করেন, মিরপুর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আশরাফুজ্জামান শাহীন। এসময় উপজেলা বিএনপি, পৌর বিএনপি ও বিভিন্ন ইউনিয়ন বিএনপি’র হাজারো নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলন শেষে তোফাজ্জেল হোসেন কে সভাপতি, মজিবার রহমানকে সিনিয়র সহ সভাপতি, মাহফুজুর রহমান সুমনকে সাধারণ সম্পাদক, আহাদুল হক ও হাসান ইমামকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শাহীন আলমকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে আমলা ইউনিয়ন বিএনপি’র দ্বি-বার্ষিক কমিটি গঠন করা হয়।#