# সিদ্ধিরগঞ্জ(নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি: সিদ্ধিরগঞ্জে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এক নেতার কর্মী হয়ে রাজনীতি করলেও বর্তমানে বিএনপি নেতাদের ছত্রছায়ায় সেই যুবলীগ কর্মী শফিকুল ইসলাম শফিক এখন যুবদল কর্মী হয়ে গেছেন। দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে আসা যুবলীগ কর্মী রাতারাতি বিএনপি নেতাদের ম্যানেজ করে বর্তমানে যুবদলের কর্মী হয়ে যাওয়ায় এলাকাজুড়ে স্থানীয়দের মাঝে বইছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়। এবং তৃণমূল বিএনপি নেতাদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপিতে আসা শফিকুল ইসলাম শফিক সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ৬ নং ওয়ার্ডের সুমিলপাড়া এলাকার হাকিম আলীর ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) ৬ নাম্বার ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের আহ্বায়ক মতিউর রহমান মতির সহযোগী এই শফিকুল ইসলাম শফিক। মতির নির্দেশে নেতাকর্মী নিয়ে শফিকুল ইসলাম শফিক যুবলীগের বিভিন্ন মিছিল মিটিংয়ে অংশ নিতেন। দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় থাকা এই দলটি বর্তমানে ক্ষমতায় না থাকায় নিজেকে রক্ষা করতে বিএনপি নেতাদের ম্যানেজ করে শফিকুল ইসলাম শফিক এখন যুবদলের কর্মী হয়ে গেছেন।
এ নিয়ে চলছে বিভিন্ন আলোচনা সমালোচনা। জানা গেছে, শফিকুল ইসলাম শফিক নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) ৬ নাম্বার ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের আহ্বায়ক মতিউর রহমান মতির কর্মী হয়ে যুবলীগ রাজনীতি করেছেন। কিন্তু গত জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলায় নিহতের ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ সদর থানা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় দায়ের করা হত্যা মামলা ও হত্যাচেষ্টা মামলায় মতিউর রহমান মতি রিমান্ডে রয়েছেন।
তাছাড়াও অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে মতিউর রহমান মতির বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের মামলায়ও জেল খেটেছেন মতি। গত ১৩ জানুয়ারি ভোরে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে মতিকে গ্রেফতার করা হয়। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন যুবলীগ নেতা মতিউর রহমান মতি তার ক্ষমতাবলে সোনামিয়া মার্কেট বনিক মালিক সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি নির্বাচিত করেন যুবলীগ কর্মী শফিকুল ইসলাম শফিককে। ক্ষমতা চলে গেলেও বর্তমানে নাসিক ৬ নং ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আক্তারুজ্জামান মৃধা আক্তাদের ছত্রছায়ায় থেকে শফিক তার সোনামিয়া মার্কেট বনিক মালিক সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি পদটি টিকিয়ে রেখেছেন।
শফিক তার আধিপত্য টিকিয়ে রাখতে ইতিমধ্যে যুবদল নেতা আক্তারুজ্জামান মৃধা আক্তারকে ম্যানেজ করে যুবদল কর্মী হয়ে গেছেন। যা মেনে নিতে পারছে না তৃণমূল বিএনপি’র নেতাকর্মীরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শফিকুল ইসলাম শফিক মুঠোফোনে বলেন ভাই আমি ব্যবসা করার জন্য তাদের সাথে মিলেমিশে কাজ করেছি। আসেন বসে কথা বলি চায়ের দাওয়াত রইল ভাই।#