মোঃ মমিনুল ইসলাম মুন, বিশেষ প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে নিত্য পণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। ভোক্তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছে।নিত্য পণ্যের মূল্য ঊর্ধ্ব গতির কারণে শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছে বেকায়দায়। গতকাল সোমবার ও আজ মঙ্গলবার রাজশাহী জেলার মুন্ডুমালা হাট ও তানোর গোল্লাপাড়া হাট, কালিগঞ্জ হাট, কৃষ্ণপুর বাজার, বিল্লী বাজার, কামারগাঁ বাজার, তালন্দ বাজার সহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায় পূর্বের থেকে অনেক চড়া দামে নিত্যপণ্য ক্রয় করতে হচ্ছে ক্রেতাদের।
এ সময় খুচরা মূল্যে আলু পতি কেজি ৬০ টাকা , বেগুন প্রতি কেজি ১২০ টাকা ,পেঁপে পতি কেজি ৫০ টাকা , শসা প্রতি কেজি ৮০টাকা , জিংগা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, দোন্দল প্রতি কেজি ৫০ টাকা , ভেন্ডি প্রতি কেজি ৫০ টাকা , মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৭০ টাকা , লাউ ছোট প্রতি পিস ৩০ টাকা, লাউ বড় প্রতি পিস ৫০ টাকা, কাঁচকলা প্রতিপিস ১০ টাকা মূল্যে বিক্রি হচ্ছে ।অন্যদিকে শুকনা বাজার ঘুরে দেখা যায় পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১১০ টাকা , রসুন প্রতি কেজি ২৪০ টাকা , গুড়ো হলুদ প্রতি কেজি ৩২০ টাকা, গুড়া মরিচ প্রতি কেজি ৪০০ টাকা , মুসুরির ডাউল প্রতি কেজি ১২০ টাকা, বুটের ডাউল প্রতি কেজি ৭৫ টাকা , জিরা প্রতি কেজি ৭০০ টাকা , সয়াবিন তেল প্রতি কেজি ১৭০ টাকা , সরিষার তেল প্রতি কেজি ২২০ টাকা দরে বিক্রয় হচ্ছে।
এ সময় বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বললে ক্ষুদ্র ব্যবসায়িকরা বলেন, এখানে আমাদের কারো কিছু করার নাই আমরা পাইকারি মার্কেট থেকে ক্রয় করে নিয়ে আসি ওখান থেকে যে দর নির্ধারণ করা হয় তার থেকে সীমিত লাভে আমরা এখানে খুচরা মূল্যে বিক্রয় করি । আমরা পাইকারি বাজারে কম দামে ক্রয় করতে পারলে আমরা ক্রেতাদের কাছে ও কম মূল্যে বিক্রয় করতে পারি ।
অন্যদিকে চাউল ব্যবসায়ীদের সাথে কথা হলে চাউল ব্যবসায়ীরা বলেন,আগে প্রতি ৫০ কেজি চাউলের বস্তা আমরা বিক্রয় করতাম ১৬৫০ থেকে ১৭০০ টাকায়, এখন আমাদের বাজার মূল্য ২৪৫০ থেকে ২৫০০ টাকায় বিক্রয় করতে হচ্ছে কারণ পাইকারি মার্কেটে ৫০ কেজি বস্তা প্রতি ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে আমাদের কিছুই করার নাই ।আমরা পাইকারি বাজার থেকে যেভাবে ক্রয় করি ঠিক তেমনভাবে সীমিত লাভে খুচরা বাজারে বিক্রয় করি । এ সময় মুন্ডুমালা বাজারের অনেক ক্রেতার সঙ্গে কথা হয়। তাদের ভিতর একজন দিনমজুর এর সাথে কথা হলে তিনি কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন আমার সংসারে আমরা পাঁচজন তিনটা ছেলে পড়াশোনা করে আমরা স্বামী স্ত্রী দুইজন আমার সংসারে উপার্জনের একমাত্র ব্যক্তি আমি প্রতিদিন কাজ পাওয়া যায় না মাসের ভিতর ১৫ থেকে ২০ দিন কাজ পাওয়া যায়।
দৈনিক মজুরি পায় ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা তারপর ও এখন কাজ খুবই কম । কোন সপ্তাহে দুইদিন কোন সপ্তাহে তিন দিন কাজ পাই। নিত্য পণ্যের মূল্য যেভাবে বৃদ্ধি হয়েছে যার কারণে খেয়ে না খেয়ে কোনরকম জীবন যাপন করছি। অনেকে বলছেন বাজার মনিটরিং না থাকার কারণে দোকানীরা বেশি দাম নিচ্ছেন। এ বিষয়ে উপজেলা নিবার্হী অফিসার (ইউএনও) এর মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।#