বিশেষ প্রতিনিধি : সনাতন ধর্মের সবচেয়ে বড় উৎসব দূর্গাপূজা। পূজা ঘিরে উৎসবের কমতি নেই। প্রশাসনের কঠোর নিরাপত্তায় রাজশাহীর বাঘায় আনন্দঘন পরিবেশে মন্ডপে মন্ডপে পূজার উৎসব উদযাপন হচ্ছে ।
শনিবার (১২-১০-২০২৪) কথা হলে উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ কমিটির সভাপতি সুজিত কুমার বাকু পান্ডে জানান, এবারে শারদীয় দূর্গাপূজায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সার্বিক ভালো এবং পূজা মন্ডপের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন প্রশাসন। প্রশাসনের পাশাপাশি প্রতিটি মন্ডপের নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের তত্ত্বাবধানে যুবক ছেলেদের নিয়ে গঠন করা হয়েছে স্বেচ্ছাসেবক কমিটি। মন্ডপে মন্ডপে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
এবার ৪৮টি মন্দিরে পূজা হচ্ছে। আড়ানি দুর্গা মন্দিরে আসা মৌসুমি জানান, এবার আনন্দঘন পরিবেশে আমরা পূজার উৎসব পালন করতে পারছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তার পাশাপাশি রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ খোজ খবর নিচ্ছেন। বাঘা উপজেলা আনসার ও ভিডিপি অফিসার ভারপ্রাপ্ত রাজন কুমার জানান, অধিক গুরুত্বপূর্ণ পূজা মন্ডপে পিসি ১ জন, এপিসি ১জন, পুরুষ সদস্য ৪ জন, নারী ২ জন, মোট ৮ জন করে আনসার সদস্য সার্বক্ষণিক মোতায়েন রয়েছে।
অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু সিদ্দিক জানান, পূজা মন্ডপের সার্বিক নিরাপত্তা জোরদার বিষয়ে পুলিশসহ- গ্রাম-পুলিশদের ব্রিফিং প্যারেড এ নিরাপত্তা জোরদারে জন্য দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মন্ডপে মন্ডপে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। নির্বিঘ্নে পূজা উৎসব শেষ করতে সংশ্লিষ্ট বিট পুলিশের অফিসারগন পূজা কমিটির সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। আমরা নিরাপত্তা চাদর দিয়ে পুরো উপজেলা এলাকার পূজামন্ডপে পূজা উৎসব সফলতার সাথে শেষ করতে চাই। যে কোন ঘটনা জানান দিতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মোবাইল ফোন নম্বর হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তরিকুল ইসলাম বলেন, নিরাপদ ও উৎসবমুখর পরিবেশে পূজা উদযাপন নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তর কাজ করছেন। পল্লী বিদ্যুৎ এবং ফায়ার সার্ভিসকে বিশেষ প্রস্তুতি রাখতে নির্দেশনা দেওয়া দেওয়া হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি গ্রাম পুলিশ এবং আনসারও মোতায়েন রয়েছে। রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গও সার্বিক নিরাপত্তায় সজাগ রয়েছেন। সরকার কর্তৃক বরাদ্দ প্রকল্প বাস্তবায়ন অধিদপ্তর হতে প্রতিটি মন্ডপের জন্য ৫০০ কেজি চাল দেওয়া হয়েছে। বির্সজনের শেষ পর্যন্ত সকলের সহযোগিতায় পূজার উৎসব শেষ করতে পারবো বলে আশা করছি।#