বাইডেন গত ৩১ মে গাজায় তিন ধাপে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের যে প্রস্তাব দেন সোমবার তার ওপর নিরাপত্তা পরিষদে ভোটাভুটি হয়।
প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়েছে ১৪টি। ১৫ সদস্যের মধ্যে ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল কেবলমাত্র রাশিয়া।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস নিরাপত্তা পরিষদে পাস হওয়া যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে।
এক বিবৃতিতে সংগঠনটি কীভাবে যুদ্ধবিরতির শর্তগুলো বাস্তবায়ন করা যায়, সে বিষয়ে মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহের কথাও জানিয়েছে।
তবে যুদ্ধবিরতির এই প্রস্তাব নিয়ে এখনো অনেক অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে। কারণ, হামাস কর্মকর্তারা জোর দিয়ে বলেছেন, যুদ্ধবিরতির যে কোন চুক্তিতে স্থায়ীভাবে যুদ্ধবন্ধের নিশ্চয়তা থাকতে হবে।
কিন্তু ইসরায়েল হামাসের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে।
পাস হওয়া প্রস্তাবে গাজা থেকে ইসরায়েলি সৈন্য প্রত্যাহার, জিম্মি মুুক্তি এবং প্রাথমিকভাবে ছয় মাসের যুদ্ধবিরতির কথা বলা হয়েছে।
ভোটাভুটির পর ইসরায়েলি কূটনীতিক রয়র শাপির বেন নাফতালি জোর দিয়ে বলেছেন, ইসরায়েলের লক্ষ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ থামবে না।
ইসরায়েলি লক্ষ্যের মধ্যে রয়েছে জিম্মি মুক্তি এবং হামাসকে নির্মূল করা।
জাতিসংঘে ফিলিস্তিনী দূত রিয়াদ মনসুর নিরাপত্তা পরিষদের ভোটাভুটিকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব বাস্তবায়নের দায় ইসরায়েলের।
এদিকে জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের দূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড ইসরায়েল ও হামাসকে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
যুদ্ধবিরতির এই প্রস্তাবকে নতুন সুযোগ বলে অভিহিত করে তিনি বলেছেন, আজ আমরা শান্তির জন্যে ভোট দিয়েছি। নিরাপত্তা পরিষদ হামাসের কাছে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে, হামাস যেন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মেনে নেয়। ইসরায়েল ইতোমধ্যে এতে সম্মত হয়েছে। হামাস যদি একইভাবে তা মেনে নেয় তবে আজই যুদ্ধ বন্ধ হতে পারে।
ফিলিস্তিনী প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেছেন, ‘গাজায় আমাদের লোকের ওপর চালানো গণহত্যা বন্ধে এই প্রস্তাব পাশ একটি সঠিক পদক্ষেপ বলে আমি বিবেচনা করি।’
এদিকে গাজায় গত আটমাস ধরে চলা যুদ্ধবন্ধের সর্বশেষ প্রচেষ্টা হিসেবে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী এন্টনি ব্লিঙ্কেন সোমবার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সাথে বৈঠক করেছেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের অক্টোবরে হামাস ইসরায়েলে হামলা চালায়। এরপর ওই দিন থেকেই ইসরায়েল গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে। অব্যাহত এই হামলায় অন্তত ৩৭ হাজার ১২৪ বেসামরিক ফিলিস্তিনী নিহত হয়েছে। এদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।# বাসস