রাজশাহীর বাঘায় বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই উপজেলার রুস্তমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর ভেঙে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে স্থানীয়রা জানান, সরকারি প্রতিষ্ঠানের কোন কিছু বিক্রী করতে হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার অনুমতি সাপেক্ষে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি অথবা মাইকিং করে উন্মুক্ত ডাকে বিক্রি করার নিয়ম থাকলেও সেটি করা হয়নি।
জানা যায়,উপজেলার রুস্তমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন প্রাচীর নির্মাণের জন্য সাড়ে ৬ লক্ষ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। ঈদের পর কাজ শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু কোন বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই প্রধান শিক্ষক ও বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সহ সভাপতি মিলে সীমানা প্রাচীর ভেঙে ফেলেছেন। প্রধান শিক্ষকের দাবি, নতুন প্রাচীর নির্মাণের বরাদ্দ পাওয়ায়, ম্যানেজিং কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিদ্যালয়টির সীমানা প্রাচীর ভেঙে ইট গচ্ছিত রাখা হয়েছে।
প্রধান শিক্ষক আনারুল হক রবিন জানান,সীমানা প্রাচীর নির্মাণের নতুন বরাদ্দ পাওয়ায় বিষয়টি ম্যানেজিং কমিটিকে অবহিত করা হলে প্রাচীর ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত হয় এবং সেই ইট দিয়ে বিদ্যালয়ের কাজ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রাচীরে সেই ইট বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে গচ্ছিত রাখা হয়েছে। বিদ্যালয়ের স্বার্থে আমি এবং সহ-সভাপতি মিলে নিজেদের টাকা দিয়ে এই প্রাচীর ভেঙ্গেছি। এজন্য ব্যয় হয়েছে ২৬ হাজার টাকা ।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মামনুর রশিদের বলেছেন, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রনালয় থেকে ওই প্রতিষ্ঠানে প্রচীর নির্মাণের জন্য সাড়ে ৬ লক্ষ টাকা বরাদ্দ এসেছে। আমি এর বেশি কিছু জানিনা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: তরিকুল ইসলাম বলেন, স্কুলের প্রাচীর ভাঙ্গার বিষয়ে আমি অবগত নয়। তবে সরকারি প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাৎ এর কোন সুযোগ নেই। নতুন প্রাচীর হওয়ার আগে পুরাতন প্রাচীরের ইট অকশনে বিক্রী হবে এবং বিক্রীর সমুদ্বয় টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হবে। #