লিয়াকত হোসেন ……………………………
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশব্যাপি শিক্ষক হয়রানী, নির্যাতন ও হত্যার প্রতিবাদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে মঙ্গলবার রাবি সিনেট ভবনের সামনে সারা দেশের ন্যায় এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি প্রফেসর ড. এফ, নজরুল ইসলাম।
জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মাসুদুল হাসান খান (মুক্তা) এর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন কলা অনুষদের ডীন ও জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. ফজলুল হক, বাণিজ্য অনুষদের সাবেক ডীন ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. আমজাদ হাসেন, সাবেক সভাপতি প্রফেসর ড. হাবিবুর রহমান, প্রচার সম্পাদক প্রফেসর ড. কামরুজ্জামান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মামুনুর রশীদ, সদস্য এবং ডীন জিও সায়েন্স অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. ইমামুল হক সানজিদ, প্রফেসর ড. হাছানাত আলী, কৃষি অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. আব্দুল আলীম, প্রফেসর ড. কুদরত-ই জাহান, প্রফেসর ড. সানোয়ার জাহান লিটন, প্রফেসর ড. সালেহ হাসান নকীব, প্রফেসর ড. আমিনুল হক, ম্যাটেরিয়াল সায়েন্স বিভাগের সাবেক সভাপতি প্রফেসর ড. জি.এম সফি। এছাড়াও জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষক উৎপল কুমার সরকারকে পিটিয়ে হত্যা ও অধ্যক্ষ স্বপন কুমারকে জুতার মালা পরিয়ে পুরো কলেজ ক্যাম্পাস ঘুড়ানো এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের প্রফেসর ড. আসমা সিদ্দিকাকে অপমান করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান বক্তারা। বক্তারা বলেন, সরকারী দলীয় ছাত্র নামধারী সন্ত্রাসীরা শিক্ষকদের এভাবে নাজেহাল করছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে আগামীতে পাঠদান করা মুশকিল হয়ে পড়বে। সেক্ষেত্রে শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়তে পারে বলে নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন।
ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধন থেকে তাঁরা আরো বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনের মদদে ছাত্রলীগের নামধারী ক্যাডার বাহিনী অন্য দলের শিক্ষার্থীদের হল থেকে বের করে দিচ্ছে। শিক্ষককে লাঞ্ছিত করছে। অনিয়ম এবং অযোগ্যদের নিয়োগ প্রদান করলেও এই প্রশাসন কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেনা। এছাড়াও শিক্ষক লাঞ্ছিত করার ঘটনায় এখন পর্যন্ত এই প্রশাসন কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং এই অযোগ্য প্রশসানের পদত্যাগ দাবী করেন।
সভাপতি তাঁর বক্তব্যে বলেন, শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষকদের নিয়ে নানা ষঢ়যন্ত্র ও টালবাহানা করছেন। শিক্ষকদের নির্যাতন, হত্যা ও জুতার মালা দিয়ে আইনশৃংখলা বাহিনীকে সাথে নিয়ে রাস্তায় ঘুরালেও তিনি কোন পদক্ষেপ নেননি। এমনকি কোন প্রতিবাদও করেন নি। এ অবস্থা চলমান থাকলে শিক্ষকদের বাঁচাতে আইন পাশ করার দাবী জানান তিনি সহ অন্যান্য শিক্ষকগণ। বক্তব্য শেষে নেতৃবৃন্দ উপাচার্য বরাবরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও হল সমুহে সিট বাণিজ্য বন্ধ করার দাবীতে স্মারকলিপি প্রদান করেন।#