1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Rokon :
শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ০৮:৪৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
আত্রাইয়ে একরাতে একই সময়ে মিটার বক্স ভেঙে দু’টি মিটার চুরি রাজশাহী পুলিশ কমিশনারের পক্ষ থেকে এসএসসি-২০২৫ উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা বাগমারায় ড. মুহাম্মদ আবদুল মুমীত এঁর “ঘটনাবহুল ৩৬ জুলাই” গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন  তানোরে আতঙ্কের নাম ‘রাসেল ভাইপার’ উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেই প্রতিষেধক, কৃষকদের জীবনে ঝুঁকি ভোলাহাটের বিএনপি নেত্রী ও সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহনাজ খাতুন জামিনে মুক্তি পেলেন সৌহার্দ্য বিশ্বাস এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ অর্জন করায় খুলনা আর্ট একাডেমির প্রাক্তন শিক্ষার্থীর শুভেচ্ছা বাঘার এক কলেজে জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগের চেষ্টা, মামলায় কারাগারে তিনজন  ধোবাউড়ার ষ্টেডিয়াম চৌরাস্তা (সদর বিলপাড়) ভায়া রুস্তম মেম্বারের বাড়ি পর্যন্ত দু’ কিলো মিটার মাটির সড়কে ভোগান্তির শেষ নেই  তানোরে নাবিল গ্রুপের মুরগির বিষ্ঠা ফেলে পরিবেশ দূষণ, মারাত্মক দুর্গন্ধ, চাষাবাদ ব্যাহত তানোরে গভীর রাতে মুরগির বিষ্টা ফেলে পরিবেশ দূষণ, গ্রামবাসীর হাতে আটক দুই ট্রাক

উত্তর গাজায় ভয়াবহ লড়াই, বোমাবর্ষণ

  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ৩১২ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

এসএন ডেস্ক: ইসরায়েলি বাহিনী বুধবার দক্ষিণ গাজার প্রধান শহর ঘেরাও করে রেখেছে। দুই মাসের যুদ্ধের সবচেয়ে ভয়াবহ যুদ্ধের মধ্যে রাস্তায় এবং ভবনে হামাস যোদ্ধাদের সাথে লড়াই করছে।

সংঘর্ষের কেন্দ্রবিন্দু অবরুদ্ধ উত্তর গাজায় ভয়াবহ লড়াই এবং বোমাবর্ষণে বেশিরভাগ অংশ ধ্বংসস্তুপে পরিণত হওয়ার পর লড়াই উত্তর থেকে দক্ষিণে স্থানান্তরিত হয়েছে। প্রায় ২০ লক্ষ মানুষকে তাদের বাড়িঘর ছেড়ে দক্ষিণে সরে যেতে বাধ্য করেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা এএফপি’কে জানিয়েছেন, মঙ্গলবার দক্ষিণ গাজার শহর খান ইউনিসের কাছে ইসরায়েলি ট্যাঙ্ক, সাঁজোয়া যান এবং বুলডোজার দেখা গেছে। যা ইতোমধ্যে বাস্তুচ্যুত বেসামরিক লোকদের আবার পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে।
ইসরায়েলের সেনা প্রধান হারজি হালেভি মঙ্গলবার গভীর রাতে বলেছেন, ‘আমাদের বাহিনী এখন দক্ষিণ গাজা উপত্যকার খান ইউনিস এলাকা ঘেরাও করছে।
‘আমরা উত্তর গাজা উপত্যকায় অনেক হামাসের শক্ত ঘাঁটি সুরক্ষিত করেছি এবং এখন আমরা দক্ষিণে তাদের শক্ত ঘাঁটির বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছি।’
সেনাবাহিনীর দক্ষিণাঞ্চলীয় কমান্ডের প্রধান মেজর জেনারেল ইয়ারন ফিঙ্কেলম্যান বলেছেন, অক্টোবরের শেষের দিকে স্থল অভিযান শুরুর পর থেকে মঙ্গলবারের লড়াইটি ছিল সবচেয়ে তীব্র।

হামাস পরিচালিত সরকারি মিডিয়া অফিস জানায়, ইসরায়েলি হামলায় সর্বশেষ হিসেবে গাজায় ১৬,২৪৮ জন নিহত হয়েছে। এদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
ইসরায়েল হামাসকে ধ্বংস করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং স্বল্পস্থায়ী যুদ্ধবিরতির সময় জিম্মি মুক্ত হওয়ার পরে বাকি ১৩৮ জন জিম্মিকে মুক্ত করবে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বুধবার ভোরে এক্স-এ জানিয়েছে, ইন্দোনেশিয়া হাসপাতালের কাছে একটি বিমান হামলায় বেশ কয়েকজন হামাস কমান্ডার নিহত হয়েছে।

হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, মঙ্গলবার একটি হামলায় ২৫ জন মারা গেছে যা একটি স্কুলে আঘাত হানে যেখানে বাস্তুচ্যুত লোকরা আশ্রয় নিচ্ছিল।
হামাস জানায়, অ্যাম্বুলেন্স, ট্রাক এবং অন্যান্য যানবাহন শিশুসহ খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে রক্তাক্ত, ধুলোয় আচ্ছন্ন মানুষকে পৌঁছে দেয়।
এখানকার বাসিন্দা মোহাম্মদ সালুল এএফপি’কে বলেছেন, ‘আমার চাচাতো ভাই আমাকে ফোন করেছিল এবং আমাকে আসতে বলেছিল কারণ, আমার বোনের মরদেহ একটি স্কুলের চত্বরে পড়ে ছিল।

ইসরায়েল এর আগে ঘনবসতিপূর্ণ গাজার উত্তরে বেসামরিক নাগরিকদের ভূখন্ডের দক্ষিণে আশ্রয় নিতে বলেছিল। অনেকে খান ইউনিসের কাছে পালিয়ে গিয়ে বিশ্বাস করে এটি নিরাপদ হবে।

ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ’র প্রধান ফিলিপ লাজারিনীর মতে, যুদ্ধ প্রসারিত হওয়ার সাথে সাথে ইসরায়েল মানুষকে আরও দক্ষিণে সরে যেতে বলেছে। ‘আতঙ্ক, ভয় এবং উদ্বেগ’ ছড়িয়ে দিয়েছে।
তিনি বলেন, গাজা উপত্যাকার এক-তৃতীয়াংশেরও কম এলাকায় লোকজনকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে, যেখানে দক্ষিণের রাস্তা আটকে আছে।

আন্তর্জাতিক সাহায্য গোষ্ঠীগুলো এক এলাকা থেকে অন্য অঞ্চলে পালানোর আদেশের নিন্দা করেছে এবং বলেছে, বেসামরিক লোকদের নিরাপদ বিকল্প নেই।
জাতিসংঘের মানবিক প্রধান মার্টিন গ্রিফিথস বলেছেন, গাজায় কোথাও নিরাপদ নয়।

‘হাসপাতাল নয়, আশ্রয়কেন্দ্র নয়, শরণার্থী শিবির নয়। কেউ নিরাপদ নয়।’
বেসামরিক লোকদের আশ্রয় দিতে পারে এমন এলাকা তৈরির দাবির পর ইসরায়েলের সেনাবাহিনী একটি মানচিত্র প্রকাশ করে সেখানে গাজাবাসীকে ‘প্রয়োজনে তাদের নিরাপত্তার জন্য নির্দিষ্ট স্থান থেকে সরে যেতে’ বলেছে।

তবে জাতিসংঘ মঙ্গলবার এই মানচিত্রের সমালোচনা করে বলেছে। বেসামরিক নাগরিকদের গাজার অভ্যন্তরে পালিয়ে যাওয়ার জন্য নিরাপদ অঞ্চল তৈরি করা অসম্ভব।

নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিলের মতে, গাজার সহিংসতা ‘এখন আমাদের সময় এবং যুগে যে কোনও বেসামরিক জনগোষ্ঠীর ওপর সবচেয়ে খারাপ হামলার মধ্যে রয়েছে। যা শীতকালের ভয়াবহ জনস্বাস্থ্যের পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করেছিল।
গাজায় আনুমানিক ১৯ লক্ষ মানুষ বাস্তুচ্যুত জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুসারে জনসংখ্যার প্রায় তিন-চতুর্থাংশ।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, উত্তর গাজায় তারা জাবালিয়া শরণার্থী শিবির ঘেরাও করেছে এবং হামাসের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বাহিনীর কমান্ড ও নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রে অভিযান চালিয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে নিহত ইসরায়েলি সৈন্যের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮২।# সূত্র: বাসস

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট