যশোর জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ: জেলার বিভিন্ন শহর চরম ঝুঁকিতে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নেই অগ্নি নির্বাপনের ব্যবস্থা
-
প্রকাশের সময় :
সোমবার, ২৭ জুন, ২০২২
-
২৪১
বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
উৎপল ঘোষ,(ক্রাইম রিপোর্টার), যশোর…………………………….
যশোর জেলার সদর সহ বিভিন্ন উপজেলার শহরের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অভয়নগর শিল্প ও বানিজ্য বন্দর জনাকীর্ণ নওয়াপাড়া শহরে বানিজ্যিক ও আবাসিক ভবনগুলোতে জরুরী অগ্নিনির্পানের ব্যবস্থা তেমন নজরে পড়ে না।জেলায় প্রায় দেড় শতাধিকের উর্ধ্বে ক্লিনিক ডাক্তারের চেম্বার একাধিক ফিজিওথেরাপি সেন্টার,ক্ষুদ্র কলকারখানাসহ রয়েছে অসংখ্যা আবাসিক বহুতল ভবন।উল্লেখিত প্রতিষ্ঠান সমুহে আগুন ধরলে তাৎক্ষণিক নির্বাপনের ব্যবস্থা নেই।যার ফলে মুহুর্তে ঘটে যেতে পারে জান মালের অবনর্নীয় ক্ষয়-ক্ষতি।রাজধানী সহ দেশে বিভিন্ন শহর এবং আবাসিক ভবন ও বস্তিতে দফায় দফায় আগুন লেগেছে।ভয়াবহ আগুনের লেলিহান শিখা বহুতল ভবনের সবকিছু ভস্মে পরিণত হয়েছে।তেজদীপ্ত দাবানলে কয়েকশত সম্ভাবনা মানব প্রাণ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
তদন্ত কমিটিগুলো দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়,ক্ষতিগ্রস্থ ভবনগুলোতে ছিলো না পর্যাপ্ত অগ্নি নির্বাপনের ব্যবস্থা এবং দক্ষ কর্মী বা ছিলো না প্রশিক্ষণ।ভবনগুলোতে ৩ ফুট চওড়া সিঁড়ি ব্যতীত বিপদকালীন বের হবার সিঁড়ি নেই।যে কারণে অবর্ণীয় যান মালের ক্ষতি হয়েছে।আহতদের পোড়া যন্ত্রনা আর্তনাত এখনো থামেনি।বইছে স্বজন হারাদের চোখে বন্যা। জেলা শহরের মধ্যে জনাকীর্ণ শহর নওয়াপাড়া বিশেষ করে পৌর এলাকার প্রাণকেন্দ্রে পাঁচকবর, বেঙ্গল টেক্সটাইল মিল থেকেরাজঘাট শিল্পঞ্চল তালতলা ও হাসপাতাল রোডে ডায়াগনেষ্টিক সেন্টার,ক্লিনিক ডাক্তারদের চেম্বার,ফার্মেসী, ক্ষুদ্র কলকারখানা, গুদামসহ অনেক বাসা বাড়ী ও বহুতল ভবন রয়েছে।কিন্তূ অধিকাংশ জায়গায় নেই আগুন নির্বাপনের ব্যবস্থা।ঝালাই কারখানা অনেক হোটেল রেস্তরা,ফাস্ট ফুড এবং ভ্রাম্যমান চা কফি সপ, ইদানিং ভাজা পোড়া ও চায়ের দোকানে বেআইনি বিপদজ্জনকগ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার হচ্ছে দেদারসে।থানা শহরের অবস্থা অনুরুপ।
একদিকে যেমন নেই বানিজ্যিক ও আবাসিক ভবনে অগ্নি নির্বাপনের ব্যবস্থা।তেমন খোলা স্থানে অসাপধানে অদক্ষজনেরা গ্যাস ব্যবহার করছে জান মালের অপুরনীয় ক্ষতির মুখে রেখে যার নজরদারীর কেউ নেই।আগুন লাগলে দাবানলের বিস্তীর্ণ অঞ্চল ভস্মিভূতের ন্যায় শিল্প ও বানিজ্য বন্দর নিমেশেই মৃত পূরিতে পরিণত হবে। গ্যাস ব্যবহারের বিধি বিধান আছে।বিক্রির জন্য লাইসেন্স থাকতে হবে।যেমন পাশাপাশি থাকতে হবে অগ্নি নির্বাপণের ব্যবস্থা।গ্যাস সিলিন্ডির ব্যবহার সবাইকে মেনে চলতে হবে বেধে দেওয়া বিধান।এ আইন অমান্যকারীদের ১৯৮৪ এর এলপি গ্যাস রুলস ২০০৪ এর ৬৯ ধারায় ২ বিধি মতে আইন অমান্যকারীদের ২ বছর ও অনাধিক পাঁচ বছরের জেল,৫০ হাজার টাকা দন্ড অনাদায় ছয় মাসের কারাদন্ডের বিধান রয়েছে।বিধি বলা হয়েছে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা থাকা আবশ্যক।
এখানে রয়েছে একটি ফায়ার ষ্টেশন।সারা দেশের ন্যায় যশোর জেলা শহরের অধিবাসীরা সর্বদা থাকে আগুনের আতন্কে।মুদির দোকান ও ফার্মেসী এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির জন্য মজুদ ও আবাসিক বানিজ্যিক ভবনগুলোতে অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা না থাকা প্রত্যক্ষ করে চিন্তাশীল বুদ্ধিজীবী মহল হতভম্ব হতবাক হয়েছেন।তারা বলেছেন, এধরণের অব্যবস্থা ও অনিয়ম এর বিরুদ্ধে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া দরকার। নচেৎ যে কোন সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরণের দুঘর্টনা#
এডিট: সান
এই সংবাদটি শেয়ার করুন
এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ