নিজস্ব প্রতিবেদক……………………………………
পবা উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের নতুন কমিটিকে ঘিরে তৈরী হয়েছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। গত ১০ জুন শনিবার নওহাটা মহিলা ডিগ্রি কলেজে অনুষ্ঠিত হয় পবা উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন। উক্ত সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী-৩ আসনের সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াছিন আলী। আরও ছিলেন নওহাটা পৌরসভার মেয়র হাফিজ উদ্দিন ও রাজশাহী জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি রোকনুজ্জামান রেন্টু ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান রানা।
সম্মেলন এর দ্বিতীয় অধিবেশন শেষে ঘোষণা করা হয় কমিটির সভাপতি সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকের নাম। হাতে লিখা এই কমিটি তে সভাপতি হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে মোঃ শাহিনুল ইসলাম শাহিন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন শিপলু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসাবে নাম ঘোষণা করা হয়েছিলো মোঃ তামিম হোসাইন কে। একই রাতে পরবর্তীতে কম্পিউটার টাইপ করা আরেকটি রাজশাহী জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্যাডে পবা উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের দ্বিতীয় নাম তালিকা করে প্রকাশ করা হয়। দ্বিতীয় তালিকাতেও সভাপতি মোঃ শাহিনুল ইসলাম শাহিন, এক নম্বর সহ সভাপতি মোঃ তামিম হোসেন, দুই নম্বর সহ সভাপতি মোঃ শিহাব শাহরিয়ার ও সাধারণ সম্পাদক হিসাবে মোঃ কামরুল হাসান সাব্বিরের নাম ঘোষণা করা হয়। এক রাতেই প্রকাশিত দু’টি আলাদা আলাদা তালিকায় দেখা গেছে প্রথম তালিকায় সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন শিপলু এর নাম,আর আরেকটি তালিকায় সাধারণ সম্পাদক হিসাবে মোঃ কামরুল হাসান সাব্বির এর নাম প্রকাশ করা হয়েছে।
দলীয় সমর্থকদের অভিযোগ নওহাটা মহিলা কলেজ সম্মেলন চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন পদে যখন প্রার্থীদের পক্ষ থেকে নাম আহবান করা হয়েছিল তখন কামরুল হাসান সাব্বির নামে কেউ প্রার্থী ছিলো না। সম্মেলন স্থলে কামরুল হাসান সাব্বিরের নাম কারো পক্ষ থেকে প্রস্তাবও করা হয়নি। আওয়ামী লীগের অনেক সমর্থকরা অভিযোগ করে বলছেন কে এই কামরুল হাসান সাব্বির? সম্মেলন স্থলে তো আমরা তাকে দেখলাম না, তার কোন কর্মী সমর্থক ছিলো বলেও আমাদের চোখে পড়েনি। তাকে নিয়ে কেউ কেন স্লোগান দেয়নি।
নওহাটা পৌরসভার মেয়র ও পবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাফিজের প্রতি অভিযোগ তুলে বলেন পবা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যে কমিটি তৈরী করে দিলেন তা উনার পকেট কমিটি। সম্মেলন স্থলে যে নতুন কমিটির নাম তালিকা করা হয়েছিল সেটা সকলের উপস্থিতিতে করা হয়েছিলো, এবং সেটা ছিলো বৈধ কমিটি। কিন্তু মেয়র হাফিজ সেই কমিটিকে ঐ রাতের মধ্যেই নিজের মত করে নিজের প্রার্থীর নাম বসিয়ে পবা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি ঘোষণা করেন।
স্বেচ্ছাসেবক লীগের অনেক তাগ্যী পদবঞ্চিত নেতার দাবি রাতারাতি কিভাবে সাধারণ সম্পাদকের মত এত গুরুত্বপূর্ণ একটা পদে রদবদল করতে পারলো! জনগণের পছন্দকে উপেক্ষা করে উচ্চ পর্যায়ের নেতারা তাদের ইচ্চামত পছন্দের লোককে পদ দিচ্ছেন। লবিং গ্রুপিং করে আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার পায়তারা করা হচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকেই। এক রাতের মধ্যেই কিভাবে সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন শিপলুকে বাদ দিয়ে কামরুল হাসান সাব্বিরকে সাধারণ সম্পাদক পদ দেয়া হলো সেই প্রশ্ন সকলের মনে।
উল্লেখ্য হাতে লিখা কমিটি তালিকা ও কম্পিউটার টাইপ করা তালিকা দুই টাই রাজশাহী জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি রোকনুজ্জামান রিন্টু ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান রানার এর স্বাক্ষর করা ছিল।#