# বিশেষ প্রতিনিধি………………………………………
রাজশাহীর বাঘায় অজ্ঞাত পরিচয়ে সন্তান প্রসবের পর হাসপাতালে মাকে রেখে সদ্য জন্ম নেওয়া পিতৃপরিচয়হীন শিশুকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। সোমবার (১২ জুন) বিকেলে শিশুকে আদালতে পাঠানো হয় বলে জানা গেছে।
পুলিশ জানায়, রোববার (১১ জুন)বিকেলে ৩৬/৩৮ বছর বয়সের মানষিক ভারসাম্যহীন এক নারীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর প্রসব(ডেলিভারি) রুমে চিকিৎসক ও নার্সের তত্বাবধানে কণ্যা সন্তান প্রসব করেন। ওই নারি নিজের নাম ঠিকানাও বলতে পারেননি। পরে তার পরিচয় না পাওয়ায় শিশুকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, রোববার দুপুরে উপজেলা সদরে শাহদৌলা সরকারি কলেজের উত্তর দিকের আমগাছের তলায় ওই নারীকে বসে থাকতে দেখেন বাঘা পৌর সভার সাবিনা খাতুন নামের এক গৃহবধু। তিনি নিজ বাড়িতে চলে আসার পর একই দিন বিকেলে প্রতিবেশি তুহিনের বাসার গেটে সামনে প্রসব যন্ত্রনায় কাতরাতে দেখেন সেই নারীকে। সাবিনা খাতুন জানান, তা দেখে সুবর্না নামের আরেক গৃহবধুসহ বিকেল ৪টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক উম্মে হাবিবা পরীক্ষার পর প্রসব ব্যথার যন্ত্রনা বুঝতে পেরে ডেলিভারি রুমে পাঠান। সেখানে নার্সের তত্বাবধানে কন্যা সন্তান প্রসব করেন।
নার্স দিলরুবা ইয়াসমিন জানান, ওই নারি নিজের নাম ঠিকানা কিছুই বলতে পারছিলেন না। তবে মা-সন্তান দুজনই সুস্থ রয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আশাদুজ্জামান আসাদ জানান, অজ্ঞাত পরিচয়ে ভর্তি হওয়া ওই নারি মানসিক ভারসাম্যহীন। নিজের নাম ঠিকানা কিছুই বলতে পারেননি । পরে বিষয়টি থানায় অবগত করা হয়। সোমবার সরেজমিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে জানা যায়,নিঃসন্তান দম্পত্তি অনেকেই শিশুটিকে নেওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু শিশুটির মাকে নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেননি কেউ।
তবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আয়া শেফালি খাতুন জানিয়েছেন শিশু ও তার মাকে নিয়ে লালন পালন করতে রাজি আছেন তিনি। এই বিষয়ে বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল ইসলাম বলেন, ওই নারীর বিষয়ে খোঁজ নিয়ে পাওয়া যায়নি। সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টায় শিশুকে রাজশাহী আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালতের নির্দেশক্রমে শিশুকে ছোটমনি নিবাসে রাখা হবে। শিশুর মা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানান ওসি। #