1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Rokon :
রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ০৫:১৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
পঞ্চগড়ের হাবিবা এক বছরে কোরআনের হাফেজা, রাজকীয় বিদায়  আত্রাইয়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে কৃষক দলের বৃক্ষ রোপণ অপরাধঃ গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে গণপিটুনিতে ধর্ষক নিহত বটিয়াঘাটায় পরিবেশ দূষণ রোধে ব্যবসায়ীদের মাঝে পরিবেশ বান্ধব ব্যাগ বিতরণ ও র‌্যালি  রাজশাহীতে আনন্দ-উদ্দীপনায় শোভাযাত্রায় রথযাত্রা উৎসব উদযাপন রাজশাহীতে চাকরি মেলায় নিয়োগ পাচ্ছেন ২৫০ বেকার আত্রাইয়ে ব্র্যাকের উদ্যোগে ইংরেজি বিষয়ে প্রশিক্ষণ পঞ্চগড়ে পুকুরে ডুবে  শিশুর মৃত্যু গোদাগাড়ীতে ১০০ গ্রাম হেরোইনসহ দুই মাদক কারবারি গ্রেফতার ধোবাউড়ায় অবৈধভাবে উত্তোলনকৃত বালু বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দিরে প্রদান

রাজশাহীর মোহনপুরে এসএসসি পরীক্ষাকেন্দ্রে চলছে কোচিং বাণিজ্য

  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ৫ মে, ২০২৫
  • ৭০ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

৥ মোঃ মমিনুল ইসলাম মুন, বিশেষ প্রতিনিধি: রাজশাহীর মোহনপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষাকেন্দ্রে নির্বিঘ্নে চলছে কোচিং বাণিজ্য। চলমান এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার জাতীয় মনিটরিং ও আইনশৃঙ্খলা কমিটির সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাংগুলি দেখিয়েই চলছে কোচিং বাণিজ্য।

এছাড়াও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের কোন মনিটরিং না থাকায় এসএসসি পরীক্ষার দিনেও মোহনপুরের বিভিন্ন জায়গায় অবাধে চলছে কোচিং সেন্টার। মোহনপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল লতিফ টাকার মোহে পড়ে অন্যান্য শিক্ষকদের নিয়ে এসএসসি পরীক্ষার দিন বাদ রেখে অন্যান্য দিনে অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণির প্রায় ২’শ ৫০ জন শিক্ষার্থীকে মাসিক (জনপ্রতি) এক হাজার তিন’শ টাকার বিনিময়ে কোচিং ক্লাশ বা এক্সট্রা ক্লাশ করানোর অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, এ স্কুলে মোট শিক্ষার্থী ৫’শ ১৮ জন। সরেজমিনে, ৩ মে শনিবার বেলা দশটার দিকে স্কুল গেটে নবম ও দশম শ্রেনির কয়েকজন শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা এখানে কোচিং করতে এসেছেন।

এবিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলার বাকশিমইল গ্রামের মোহনপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী বলেন, স্কুলে প্রাইভেট পড়তে এসেছি। সরকারি স্কুলে প্রাইভেট পড়তে হয় বলতেই ওই শিক্ষার্থী বলেন, এখানে মাসে ১৩’শ টাকা দিয়ে নিয়মিত প্রাইভেট পড়ি। যেদিন এসএসসি পরীক্ষা থাকেনা সেইদিন সকাল ৯টা থেকে বেলা ১২ টা পর্যন্ত প্রাইভেট করায় স্যারেরা। নিয়মিত স্কুল হলে সকাল ৮টা থেকে সকাল ১০ টা পর্যন্ত ক্লাশ করানো হয়। এটাকে স্যারের এক্সট্রা ক্লাশ বলে।

একই ক্লাশের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা ক্লাশ নাইনে ৪০ জন শিক্ষার্থী জনপ্রতি ১৩’শ করে টাকা দিয়ে প্রাইভেট পড়ি। দশম শ্রেণীর আরো দুই শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের মোহনপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সরকারি স্কুলের স্যারেরা কোচিং করান। আমি মাসে ১৩’শ টাকা দিয়ে কোচিং করি।

অন্য এক শিক্ষার্থী আরো বলেন, যারা কোচিং করেন তাদের টাকা তোলেন ক্লাশ টিচার মামুন স্যার।নবম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থী বলেন, নবম শ্রেণির যারা প্রাইভেট পড়ে তাদের থেকে টাকা তোলেন রুবেল স্যার।

জানা গেছে, শিক্ষার্থীর তুলনায় শিক্ষকের স্বল্পতা, ক্লাস রুটিন ছাড়াই প্রধান শিক্ষকের মৌখিক নির্দেশনায় এস্কুলে ক্লাস করান শিক্ষকরা। একটু হিসাব করলেই বোঝা যায় এস্কুল থেকে সরকারি চাকুরীর বাহিরে কোচিং বাণিজ্যের নামে প্রতি মাসে সাড়ে তিন লাখ টাকা আদায় করেন শিক্ষকরা। যা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসসহ নিজেদের মাঝে বাটোয়ারা করা হয়ে থাকে বলে জানাগেছে।

যেখানে শিক্ষা মন্ত্রণালয় নানামুখী চ্যালেঞ্জ সামনে রেখে এসএসসি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নে গত ১০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার হতে এসএসসি পরীক্ষা ঘিরে প্রশ্নফাঁসের গুজব ও প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে দেশের সব কোচিং সেন্টার টানা ৩৪ দিন বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। সরকারি এ সিদ্ধান্তকে অমান্য করে মোহনপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল লতিফ, সিনিয়র শিক্ষক (বাংলা) ইনডেক্স নম্বর (2016708131), অনিতা রানী সরকার, সিনিয়র শিক্ষক (সামাজিক বিজ্ঞান) ইনডেক্স নম্বর (2016704265)। মোঃ আল মামুন-অর-রশিদ, সহঃ শিক্ষক (ইসলাম ধর্ম) ইনডেক্স নম্বর (2022718917), জি.এম. রাশেদ বিন আবেদ সহঃ শিক্ষক (ভৌত বিজ্ঞান) ইনডেক্স নম্বর (2016704602) মিলে লাখ লাখ টাকার বিমিময়ে স্কুলে চালাচ্ছেন কোচিং বাণিজ্য। এনিয়ে কোন অভিভাবক মুখ খুললে প্রধান শিক্ষক আব্দুল লতিফের রোষানলে পড়তে হয়। খেসারত দিতে হয় শিক্ষার্থীকে।

প্রধান শিক্ষক ভারপ্রাপ্ত আঃ লতিফ ১৯৯৫ সাল থেকে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে একই উপজেলায় চাকুরী করছেন বলে জানা গেছে। এনিয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন অভিভাবক বলেন, টাকা দিয়ে এক্সট্রা ক্লাস করাবোনা বলে বাচ্চাদের নিষেধ করায় প্রধান শিক্ষক আমাদের ডেকে নিয়ে হেনস্তা করেন।

প্রধান শিক্ষক আব্দুল লতিফ বলেন, এখানে বাচ্চাদের পড়াতে হলে এক্সট্রা ক্লাশ করাতে হবে। জানাগেছে, এক্সট্রা ক্লাশ করার টাকা না থাকার কারণে এখান থেকে অনেক শিক্ষার্থী টিসি নিয়ে অন্য স্কুলে ভর্তি হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে প্রধান শিক্ষক আব্দুল লতিফ বলেন, শিক্ষার্থী অভিভাবকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে স্কুলে অতিরিক্ত ক্লাশ করানো হয়। সবাই সমান টাকা দিয়ে পড়েনা। তবে এসএসসি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ইউএনও স্যারের অনুমতি নিয়ে এক্সট্রা ক্লাস নিচ্ছি। আমাদের শিক্ষক অদক্ষ যার কারণে এভাবে ক্লাস করানো হয়।।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এস এম মাহমুদ হাসান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি। কোন স্কুলে কোচিং সেন্টার চললে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আয়শা সিদ্দিকা বলেন, এবিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। স্কুলে কোন কোচিং সেন্টার চলার অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) টুকটুক তালুকদার বলেন, তদন্ত করে বিষয়টির সঠিকতা পেলে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উল্লেখ্য: শিক্ষা মন্ত্রণালয় নানামুখী চ্যালেঞ্জ সামনে রেখে এসএসসি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নে গত ১০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার হতে এসএসসি পরীক্ষা ঘিরে প্রশ্নফাঁসের গুজব ও প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। লিখিত পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত টানা ৩৪ দিন এ নির্দেশনা বলবৎ থাকবে। পরীক্ষা কেন্দ্রের আশপাশে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। আগামী ১৩মে শেষ হবে এসএসসি পরীক্ষার লিখিত বা তত্ত্বীয় অংশ। লিখিত পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ নির্দেশনা বলবদ থাকবে বলে গত ১৬ মার্চ ‘এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার জাতীয় মনিটরিং ও আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত জানান শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল (সি আর)আবরার।#

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট