# গোদাগাড়ী (রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ বেতন–ভাতা বৃদ্ধি, এমপিওভুক্তকরণ ও শিক্ষা ব্যবস্থার জাতীয়করণের দাবি ও ঢাকায় পুলিশ কতৃক শিক্ষক নির্যাতনের প্রতিবাদে রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে শিক্ষক–কর্মচারীরা। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকালে গোদাগাড়ীতে এমপিও ভুক্ত স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীরা গোদাগাড়ী সদরে গোলচত্বরে এ কর্মসূচি পালন করেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মরত শিক্ষক–কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত। বর্তমান সময়ে বাজারমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে তাদের জীবনযাপন কষ্টকর হয়ে পড়েছে। তাই দ্রুত ২০ শতাংশ বাড়ি ভাতা, ১ হাজার ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা, এবং কর্মচারীদের জন্য ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতা বাস্তবায়নের দাবি জানান তারা।মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ বক্তব্য রাখেন গোদাগাড়ী মহিলা কলেজর উপধ্যাক্ষ আব্দুল মালেক, হরিণ বিস্কা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক সেলিম সানোয়ার পলাশ, শাহ-সুলতান (রহ:) কামিল মাদ্রাসার শিক্ষক মো: দুরুল হোদা, হুজরাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কবিরুল ইসলাম কমল, রাজাবাড়িহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মশিউর রহমান, প্রেমতলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রেজাউল করিম, পিরিজপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তিতুমীর, ভাটোপড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকস আয়েশা খাতুনসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীবৃন্দ।
বক্তারা আরও বলেন, নন–এমপিওভুক্ত শিক্ষক–কর্মচারীদের দ্রুত এমপিওভুক্ত করা ও পুরো শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ এখন সময়ের দাবি। তারা মনে করেন, শিক্ষকদের ন্যায্য প্রাপ্য নিশ্চিত না হলে শিক্ষার মানও উন্নত হবে না। সমাবেশে সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকায় এক শিক্ষককে লাঞ্ছনার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানানো হয়।
বক্তারা বলেন, শিক্ষকদের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করা মানে শিক্ষা ব্যবস্থাকে অসম্মান করা। মানববন্ধনে উপজেলার বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানের শতাধিক শিক্ষক–কর্মচারী অংশ নেন। তারা হাতে ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে স্লোগান দেন— ‘শিক্ষকদের দাবি মানতে হবে’, ‘শিক্ষার মর্যাদা রক্ষা করো’, ‘ন্যায্য ভাতা বাস্তবায়ন চাই’। বক্তারা জানান, সরকার যদি দ্রুত এসব দাবি বাস্তবায়নের পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলিয়ে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দেন।#