নাজিম হাসান………………………………
রাজপথে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে লাঠি চালাচালি করে মূল্য কমাতে পারবেন না উদ্দেশ্য করে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, লাঠি নিয়ে বিএনপির আন্দোলনে দুঃখ ও লজ্জায় ব্যাথিত হয়েছেন। গতকাল বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন উপলক্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় যোগ দেয়ার আগে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
এম এ মান্নান বলেন, আমাদের নিজেদের মধ্যে যদি কোনো মনোমালিন্য থাকে, আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে আলোচনার টেবিলে বসতে পারি। সেখানে বসলে সমাধান সম্ভব। এজন্য আপনাদের নীতিগতভাবে কিছু কাজ করতে হবে। সেটা সরকার করছে। আপনারাও নেতা হিসেবে বা নাগরিক হিসেবে দায়ত্বি পালন করবেন। লাঠি নিয়ে রাস্তায় নামা, এটা ভালো কোনো উদাহরণ নয়। আমরা শিক্ষিত জাতি। গ্রামে ছোটবেলায় দেখেছি, এক গ্রামের লোক আর এক গ্রামের লোককে লাঠিসোঁটা দিয়ে মারধর করতো। এটা আমাদের এলাকার লোকেরাও এখন আর করে না। আর এটা যদি ঢাকায়, রাজশাহী, চট্টগ্রামে বা খুলনায় রাজনৈতিক স্বার্থে আমরা করি এতে আমরা ব্যথিত হই, দুঃখ পাই, লজ্জা পাই।
জন্মদিন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর যে সাহস এবং দৃঢ়তা, তা বাংলাদেশের উন্নয়নের স্বার্থে তিনি সেটা প্রতিফলিত করছেন তার কাজের মাধ্যমে। পরিকল্পনামন্ত্রী পরিপাটি রাজশাহী মহানগরীর ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, বহু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে আমরা পদ্মা সেতু করেছি। এ ধরনের বড় বড় মেগা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে দেশের উন্নয়নের স্বার্থেই।
তিনি বলেন, এটা আমি নির্দ্বিধায় বলতে পারি এ সময়টা বাংলাদেশের, বাঙালি জাতির উঠবার সময়, জেগে ওঠার সময়। এটা আমি বিশ্বাস করি একজন মন্ত্রী বা আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে নয়, একজন মানুষ হিসেবে। এম এ মান্নান বলেন, সঠিক হাতে বাংলাদেশ রয়েছে। গত ১৫ বছর দেশের স্থিতিশীলতার কারণে বাংলাদেশের মানুষ যে উপকার পেয়েছে, এটা আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে যদি আমরা জাতি হিসেবে শৃঙ্খলা প্রদর্শন করি এবং যদি না নিজেরা নিজের পায়ে কুঠারাঘাত না করি। আমাদের নিজেদের মধ্যে যদি কোনো মনোমালিন্য থাকে, আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে আলোচনার টেবিলে বসে সমাধান সম্ভব। আমরা বড় বড় কাজ একত্রে করেছি, এটাও সম্ভব। সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থে আমরা যদি ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্ত হই, সাধারণ মানুষের জীবনে কষ্ট নিয়ে আসে এমন কোনো কাজ তবে তা দেশের জন্য মঙ্গল হবে না। একতাবদ্ধ হয়ে এই সুযোগটাকে কাজে লাগাতে হবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী বুধবার একদিনের সরকারি সফরে রাজশাহী আসেন। এবং সকাল ৯টায় আকাশ পথে রাজশাহীর শাহ মখদুম (রহ.) বিমানবন্দরে পৌঁছান। সকাল পৌনে ১০টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে মন্ত্রী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও শহীদ অধ্যাপক ড. শামসুজ্জোহার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর তিনি শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবন চত্বরে বৃক্ষরোপণ করেন। সব শেষে পরিকল্পনা মন্ত্রী সিনেট ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন উপলক্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের উন্নয়ন শীর্ষক আলোচনা সভায় যোগদান করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমÐলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোশেনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম প্রমুখ।#