 
																
								
                                    
									
                                 
							
							 
                    
 মোঃ ইকরামুল হক রাজিব, বিশেষ প্রতিনিধি: বাগেরহাটের রামপালে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে লাবলী বেগম (৩৭)ও তার স্কুল পড়ুয়া মেয়ে সুমাইয়া খাতুন(১১)কে মারধোর এর অভিযোগ পাওয়া গেছে ।
রামপাল থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭ অক্টোবর ( সোমবার) সকাল দশটায় লাবনী বেগম ও তার মেয়েকে নিয়ে নিজ জমিতে সুপারি পাড়তে যাই। তখন এজাহারে উল্লেখিত ১ নং আসামী উপজেলার বারুইপাড়া গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা খান মোসলেম এর ছেলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্মরত খান আরিফ(৩৮), তার বোন রত্না বেগম(৩২)ও মা মিরোনা বেগম (৫৫) গিয়ে সুপারি পাড়তে বাধা দেয়।কিন্তু লাবণী বেগম তাদের বাধা না মানায় কর্মরত সেনা সদস্য খান আরিফ তার হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্র চাইনিজ কুড়াল দিয়ে লাবনী বেগমকে আঘাত করে মারাত্মক জখম করে এবং আরিফ সহ তিনজন একত্রিত হয়ে মাটিতে ফেলে মারধোর ও স্পর্শ কাতর শরীরে আঘাত করা এবং খান আরিফ সুমাইয়াকে ধরে মারধোর করে মোবাইল কেড়ে নেওয়ার মতো অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় ৩১ অক্টোবর সকালে লাবলী বেগম তার নিজ বাড়িতে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে বলেন, আমার স্বামীর পৈতৃক জমিতে আমি এবং আমার মেয়ে সুপারি পাড়তে যাই। সেখানে সেনাবাহিনীতে কর্মরত খান আরিফ ও তার বোন এবং মা গিয়ে আমাদের বাধা দেয়। আমি বলি কেন পাড়বো না, তখন উচ্চ স্বরে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে এবং বলে তুই আমাদের নামে মামলা করছিস।তোর যা করার করিস, এখান থেকে চলে যা। তখন আমার মেয়ের হাতে থাকা মোবাইল দিয়ে ভিডিও করছিলো কথা কাটাকাটির, একপর্যায়ে রত্না এসে আমার মেয়ের কাছ থেকে মোবাইল কেড়ে নিয়ে ছুড়ে মারে।আরিফ এসে আমার পিছন থেকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করতে থাকে এক পর্যায়ে আমার মাথার চুল ধরে মাটিতে ফেলে দেয়।আরিফ তার বোন এবং মা তিন জনে আমাকে মাটিতে ফেলে আরিফের হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্র কুড়াল দিয়ে কোপ দেয় ও কুড়ালের পিছন দিয়ে আমাকে পিঠ ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করতে থাকে, একপর্যায়ে আমার স্পর্শ কাতর জায়গায় ও আঘাত করে। কাগজ অনুযায়ী জমি আমাদের কিন্তু আরিফ সেনাবাহিনীতে চাকরির প্রভাব খাটিয়ে গ্রামে এসে এমন হুমকি ধামকি ও মারামারি করে।
লাবলী বেগমের মেয়ে সুমাইয়া খাতুন বলেন, আমরা সুপারি পাড়তে গেলে আমাদের বাধা দেয়। কথা কাটাকাটির ভিডিও করতেছিলাম তখন রত্না এসে আমার কাছ থেকে মোবাইল কেড়ে নিয়ে যাই।আম্মু মোবাইল ফেরত চাইলে আম্মুকে আরিফ আঘাত করে, চুলের মুটকি ধরে মাটিতে ফেলে দিয়ে কুড়াল দিয়ে কোপ দেয় এবং আমাকে সুপারির ডাল দিয়ে আঘাত করে।
এ বিষয়ে প্রতিবেশী আরিফ এর চাচি বলেন, আরিফ বাড়িতে আসলে একের পর এক ঝামেলা করে। আমাদের জমি ও জোর পূর্বক নিয়ে গেছে এবং কিছু বলতে গেলে সেনাবাহিনীতে চাকরির প্রভাব দেখিয়ে হুমকি ধামকি দেয়।
উক্ত বিষয়ে বিবাদী খান আরিফের কাছে জানতে চাইলে,উক্ত ঘটনা সম্পূর্ণ অস্বীকার করে। উক্ত অভিযোগের বিষয়ে রামপাল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আতিকুর রহমান আতিকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে, এবং তদন্ত শেষে আইন গত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।#