বিশেষ প্রতিনিধি………………………………………………….
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কর্মচারী সারা ঈদ বোনাস ছাড়াই মাত্র ২০ দিনের মজুরী নিয়ে সীমাহীন দু:খকস্টে ঈদূল আযহা উদযাপন করতে যাচ্ছে, কিন্তু কেন।কেন সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ ৩০ দিনের মজুরী না দিয়ে এত বড় হঠকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা কারো বোধগম্য নয়।
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের দৈনিক মজুরী প্রাপ্ত কর্মচারীরা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত নিষ্ঠার সাথে কাজ করার পরও কর্তৃপক্ষের অমানবিক হুকুম জারি অব্যাহত থাকে। জীবিকার তাগিদে অল্প মজুরী পাওয়ার পর তারা মুখ বুজে সততার সাথে কাজ করেন। কোন কারণে তারা যদি একটু দেরিতে অফিসে আসে বা ব্যক্তিগত কোন জরুরী কাজে একটু এদিক সেদিক হয় তাহলে অফিসে হৈচৈ পড়ে যায়। কিন্তু স্থায়ী কর্মকর্তা কর্মচারীরা যদি দিনের পর দিন উনুপস্থিত থাকে তাদের খবর কেউ রাখে না।
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন দৈনিক মজুরী ভিত্তিক কর্মচারীদের কখনই জাতীয় সরকারী ছুটি দিবসগুলোতে মজুরী দেয়া হয়না। পহেলা বৈশাখ, ঈদূল ফিতর ও ঈদূল আযহা উপলক্ষে যতদিন সরকারি বন্ধ থাকে ততোদিনের মজুরী তাদের কর্তন করা হয়, যা রীতিমত অগণতান্ত্রিক ও অমানবিক।তারা বোনাসের কথা ভাবতেই পারে না। স্থায়ী চাকুরিজীবী কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা যখন মোটা অংকের বেতন ও বোনাস তুলে আনন্দ ফূর্তিতে ঈদের বাজার করে তখন মাস্টাররোল কর্মচারিরা শুধু তাকিয়ে থাকে। তাদের ভাগ্যে হাসি খুশি জুটেনা, কিন্তু কেন। এমনকি সাপ্তাহিক ছুটি শুক্রবারের মজুরী কেটে নেয় রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন। সব মিলে একজন মাস্টাররোল কর্মচারি ৩০ দিনের মজুরীর স্থলে ২০/২২ দিনের মজুরী পান। একটি স্বাধীন দেশে এতটা বৈষম্য কেন, তা ভাবিয়ে তুলেছে রাজশাহী সচেতন মহলকে।
বছরের তিন দিবসে স্থায়ী কর্মচারিরা তিনটি বোনাস পাচ্ছেন, সেখানে দৈনিক মজুর ভিত্তিক (মাস্টাররোল) কর্মাচরীদেরও কমপক্ষে অর্ধেক পরিমাণ বোনাস দেয়া চালু করা এবং মাসের ৩০ দিনের মজুরী দেয়া হলে তারা অনেকেটা ছেলে-মেয়ে নিয়ে আনন্দে পহেলা বৈশাখ ও ঈদ উদযাপন করতে পারে। সে সাথে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ মোতাবেক মজুরী প্রদান করলে আর কিছু না হলেও তারা ডাল ভাত খেয়ে কোন রকমে চলতে পারবে ইনশাল্লাহ।
তিন তিন বারের নির্বাচিত সফল মেয়র এইচএম. খায়রুজ্জামান লিটন উদার প্রকৃতির মানুষ। তাইতো তিনি প্রতিবারই বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন জনগণের আস্থা নিয়ে। মেয়র লিটন দানশীল পরিবারেরই একজন সদস্য। তার পিতা ও তার পূর্ব পুরুষেরা জনগণের কল্যাণে সবসময় কাজ করে গেছেন। সে কারণে সিটি কর্পোরেশনের অল্প আয়ের কর্মচারিদের সুখ দ:খের কথা ভেবে এবার একটি ভাল সিদ্ধান্ত নিবেন। যে সিদ্ধান্তে মাস্টাররোল কর্মচারিদের ভাগ্যের নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে। তাদের স্বপন একটাই, সেটা হলো বেঁচে থাকা, বড়লোক হওয়া নয়। সকল মাস্টাররোল কর্মচারিদের এমনই প্রত্যাশা সিটি ফাদার লিটনের কাছে।#