রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের অর্থ ও সংস্থাপন স্থায়ী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার দুুপুরে নগরভবনের সরিৎ দত্ত গুপ্ত সভাকক্ষে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। সভায় সভাপতির বক্তব্যে মেয়র বলেন, আয়ের নতুন নতুন খাত সৃষ্টির মাধ্যমে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের আর্থিক ব্যবস্থাপনাকে এক শক্ত ভিত্তির উপর নিয়ে যেতে এ মেয়াদের শুরুতেই নানা উদ্যোগ গ্রহণ করি। তিনি বলেন, আমাদের সকল মেধা, আন্তরিকতা দিয়ে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া, রুগ্ন এ প্রতিষ্ঠানকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। গত মেয়াদে দায়িত্ব থেকে যাবার সময় ৬ কোটি টাকা উদ্বৃত্ত রেখে যায়। নানা কারণে উদ্বৃত্ত ১০৩ কোটি টাকা দেনায় পরিণত হয়। এই মেয়াদে পুনরায় নির্বাচিত হয়ে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঠিক সময়ে বেতনভাতা প্রদান করে ৪০ কোটি টাকার আলাদা তহবিল গঠন সম্ভব হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা রাজশাহীকে ভালবাসি। এই নগরীকে নিয়ে আমরা গর্ব বোধ করি। এটি এখন বাংলাদেশের মধ্যেই নয় দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে অন্যতম বসবাসযোগ্য নগরী রূপে দেশে বিদেশে সমাদৃত হয়েছে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এ নগরীকে এগিয়ে নিতে চাই। রাজশাহীর অব্যাহত উন্নয়নের পাশাপাশি আগামীতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও রাজশাহীর আয়তন বৃদ্ধির মাধ্যমে নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধি করতে চাই।
সভায় ১৫.২.২০২৩ তারিখে অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্তসমূহ পাঠ ও দৃঢ়করণ, মহানগরীর বিভিন্ন সড়কে স্ট্রিট লাইট সেট, পোল ও আনুষঙ্গীক মালামাল সরবরাহ ও স্থাপন ব্যয় অনুমোদন, আদর্শ কর তফসিল ২০১৬ বহির্ভূত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স প্রদানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়াও অটোরিক্সা ও চার্জার রিক্সার স্মার্ট কার্ড ছাপানোর বিষয়ে আলোচনা করা হয়। লালন শাহ পার্কের ভাড়া নির্ধারণ, বিএমডিএফ, বিএফডিসি, বিদ্যুৎ বিল ও আনুতোষিকের বকেয়া অর্থ প্রদান প্রসঙ্গে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় বিভিন্ন দিবস উদযাপনে ব্যয় সমূহ অনুমোদন দেয়া হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন রাসিকের প্যানেল মেয়র-১ ও ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরিফুল ইসলাম বাবু, কমিটির সদস্য ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নিযাম উল আযীম, ১৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুস সোবহান লিটন, ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, সচিব মশিউর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী নুর ইসলাম তুষার, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবু সালেহ মোঃ নুর-ই-সাঈদ, কমিটির সদস্য সচিব বাজেট কাম হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম খান, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা কর্মকর্তা ডাঃ এফএএম আঞ্জুমান আরা বেগম, নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) আহমদ আল মঈন পরাগ, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা নিজামুল হোদা, প্রধান কর নির্ধারক মোঃ মঞ্জুরুল আলম, উপসচিব তৈমুর হোসেন, ট্যাক্সেশন কর্মকর্তা (লাইসেন্স) সারোয়ার হোসেন খোকন, ট্যাক্সেশন কর্মকর্তা (কর) ইমতিয়াজ আহমেদ, ট্যাক্সেশন কর্মকর্তা মহিউদ্দিন আহমেদ সহ বিভিন্ন শাখার কর্মকর্তাবৃন্দ প্রমূখ।#