নাজিম হাসান…………………………………………….
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আইন বিভাগের এক শিক্ষিকাকে হেনস্তা করার অভিযোগে একই বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়। পূর্বেও এ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে অশোভন আচরণ ও হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী আশিক উল্লাহ রাবির আইন বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ জিয়াউর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আশিকউল্লাহ দীর্ঘদিন যাবৎ একাধিকবার শিক্ষকবৃন্দ ও শিক্ষার্থীদের সাথে অশোভন আচরণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পরিবেশের বিঘœ ঘটাচ্ছে। বিভিন্ন সময়ে সে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের হত্যার হুমকি দিয়েছে। আজ আইন বিভাগের ক্লাসরুমে শ্রদ্ধেয় একজন শিক্ষিকা বেগম আসমা সিদ্দীকাকে হেনস্তা করার পরিপ্রেক্ষিতে এবং ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলন ও দাবির মুখে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুষ্ঠু পরিবেশ-শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার্থে তাকে রাবি থেকে শৃঙ্খলা কমিটি ও সিন্ডিকেটে রিপোর্ট সাপেক্ষে সাময়কিভাবে বহিষ্কার করার নির্দেশ প্রদান করা হলো।
এর আগে, বুধবার সকালে অধ্যাপক বেগম আসমা সিদ্দিকা চতুর্থ বর্ষের ক্লাস নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় তাকে বিভিন্ন অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন ও হেনস্তা করে অভিযুক্ত আশিকুল্লাহ। একপর্যায়ে চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে তার বহিষ্কারের দাবিতে বিভাগের অফিসের সামনে অবস্থান নেন। এসময় অভিযুক্ত আশিকুল্লাহ অফিসের ভেতরে শিক্ষকদের তত্ত¡াবধানে ছিলেন। পরে প্রক্টর গিয়ে তাকে উদ্ধার করে এবং প্রশাসন ভবনে নিয়ে আসতে চাইলে শিক্ষার্থীরা বাধা দেয় এবং তাকে ক্ষমা চেয়ে যেতে হবে বলে দাবি জানালে পুনরায় তাকে বিভাগীয় অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়।
এসময় ক্ষমা চাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে ক্ষমা করে দেন ভুক্তভোগী অধ্যাপক বেগম আসমা সিদ্দিকা। তারপর প্রক্টরের তত্ত¡াবধানে তাকে প্রশাসন ভবনে নিয়ে আসা হয়। এসময় উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নেয় এবং আশিকুল্লাহর বহিষ্কারের দাবিতে বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকে। শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দুপুরের দিকে প্রক্টর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে তাকে বহিষ্কার করা হয়।#
এডিট: সান