# বিশেষ প্রতিনিধি ………………………………………
রাজশাহীর বাঘা পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী,সাবেক মেয়র আক্কাছ আলী (জগ) । পরাজিত প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শাহিনুর রহমান পিন্টু। দলীয় প্রতীক বিহীন পৌর বিএনপির সভাপতি কামাল হোসেন(কম্পিউটার), পৌর জামায়াতের আমির সহকারি অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম(নারিকেল গাছ), এবং ইসরাফিল বিশ্বাস (মোবাইল ফোন)।
সংরক্ষিত- ওয়ার্ড নম্বর-১ (১,২,৩) ৩জনের মধ্যে নির্বাচিত হয়েছেন সাবিনা বেগম, সংরক্ষিত-২ নম্বর ওয়ার্ডে (৪,৫,৬)৫জনের মধ্যে নির্বাচিত হয়েছেন হাজেরা বেগম, সংরক্ষিত-৩ নম্বর ওয়ার্ডে (৭,৮,৯)৫জনের মধ্যে নির্বাচিত হয়েছেন মনোয়ারা বেগম। সাধারণ কাউন্সিলর পদে- ১ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন কামাল হোসেন। প্রার্থী ছিল ৪ জন । ২ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন সাইফুল ইসলাম। প্রার্থী ছিল ৪ জন। ৩নম্বর ওয়ার্ডে মনিরুজ্জামান। প্রার্থী ছিল ৫ জন। ৪ নম্বর ওয়ার্ডে আসলাম সর্দার । প্রার্থী ছিল ৫জন। ৫ নম্বর ওয়ার্ডে মাজেদুল ইসলাম। প্রার্থী ছিল ৫জন। ৬ নম্বর ওয়ার্ডে আব্দুল কুদ্দুস সরকার। প্রার্থী ছিল ৪জন। ৭ নম্বর ওয়ার্ডে মমিনুল ইসলাম। প্রার্থী ছিল ২জন। ৮ নম্বর ওয়ার্ডে শফিকুল ইসলাম। প্রার্থী ছিল ৩জন। ৯ নম্বর ওয়ার্ডে জাহিদুল ইসলাম। প্রার্থী ছিল ৪জন। মেয়র পদে ৫জনসহ ৯ টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৬জন এবং সংরক্ষিত ৩টি ওয়ার্ডে ১৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
উল্লেখ্য, ২৯ ডিসেম্বর বাঘা পৌর নির্বাচন অনুষ্টিত হয়। সকাল সাড়ে ৮ টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ৯টি ওয়ার্ডের ১১ টি কেন্দ্রে ৯০টি বুথে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ করা হয়। ৩১ হাজার ৬৬৯ জন ভোটারের মধ্যে ২৪ হাজার ১৫৫ জন ভোট দিয়েছেন।
জানা গেছে, আঙ্গুলের ছাপ না মেলায় অনেক ভোটারই ভোট দিতে পারেননি। সমস্যার কারণে অনেকেই ভোট না দিয়ে চলে গেছেন। সাড়ে ৪টার পরে যারা কেন্দ্রের ভেতরে ছিলেন তাদের অনেকেই সন্ধ্যার পরে ভোট দিয়েছেন। পৌর নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার ও রাজশাহী জেলা নির্বাচন অফিসার আবুল হোসেন জানান, সুষ্ঠু ও শান্তি পূর্ণভাবে ভোট শেষ হয়েছে। তবে ইভিএম বুঝতে সমস্যা হওয়ায় বয়স্কদের ভোট গ্রহণে দেরি হয়। বিকেল সাড়ে চারটার মধ্যে যারা কেন্দ্রে এসেছিলেন, তাদের সবাই ভোট দিতে পেরেছেন।#