তানোর, রাজশাহী প্রতিনিধি……………………………………………………………….
রাজশাহীর তানোরে আবারো জাতীয় শোকদিবসের কর্মসূচি নিয়ে উঠেছে সমালোচনার ঝড়, বইছে মুখরুচোক নানা গুঞ্জন, জনমনে দেখা দিয়েছে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া।
জানা গেছে, ১৭ আগষ্ট বৃহস্প্রতিবার বিকেলে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে ২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা আয়োজন করা হয়। সভায় উপস্থিত রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক ও সাংসদ আয়েন উদ্দিন, তানোর উপজেলা চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না। এছাড়াও উপজেলা আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের সকল কমিটির দায়িত্বশীল সাংগঠনিক নেতাসহ কর্মী-সমর্থকগণ।
অন্যদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি গোলাম রাব্বানীর উদ্যোগে এবং সাবেক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল-মামুনের সঞ্চালনায় একই সময় গোল্লাপাড়া বাজার চত্ত্বরে জাতীয় শোকদিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়। নেতাকর্মীদের প্রশ্ন যেই কর্মসূচিতে একজন সাংসদ, উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের দায়িত্বশীল সকল সাংগঠনিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকেন। সেই কর্মসূচিতে উপস্থিত না হয়ে তার পাশেই ব্যক্তি উদ্যোগে কাউন্টার কর্মসূচি কি দেয়া যায়। যারা এমন কর্মসূচি দিতে পারে তারা কি আর আওয়ামী লীগের পরিচয় ধারণ করতে পারেন।
এদিকে ১৭ আগষ্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার বিষয়টি উপেক্ষা করে, এদিন জাতীয় শোকদিবস উদযাপন ও আলোচনায় এসব দিবসের তাৎপর্যের পরিবর্তে এমপিকে নিয়ে সমালোচনা করায় নেতা ও কর্মী-সমর্থকদের মাঝে এসব ক্ষোভ-অসন্তোষ ও ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার সুত্রপাত হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, দলের দায়িত্বশীল পদে থাকতে এরা কোনো দায়িত্বই পালন করেননি। ফলে বাধ্য হয়ে তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। নতুন নেতৃত্ব যখন সংগঠনকে চাঙ্গা করতে আদাজল খেয়ে মাঠে নেমেছে। ঠিক তখানোই এরা আওয়ামী লীগে দলীয় কোন্দল সৃস্টি করতে নানা অপতৎপরতা শুরু করেছে। তাদের কর্মকান্ডে গাঁয়ে মানে না আমি মোড়ল সেই প্রবাদ বচনকে মনে করিয়ে দিচ্ছে। তাদের আলোচনা সভায় তানোর পৌর মেয়র ব্যতিত উপজেলা-পৌরসভা বা ইউনিয়ন কমিটির দায়িত্বশীল সাংগঠনিক কোনো নেতা সেখানে ছিলেন না। তাহলে এটা আওয়ামী লীগের কর্মসুচি হয় কি বিবেচনায়। সেখানে উপস্থিতদের সিংহভাগ ছিল জামায়াত-বিএনপি মতাদর্শী।
এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জাতীয় শোকদিবসের নামে আয়োজিত আলোচনা সভায় শোক দিবস সম্পর্কে তেমন কোনো আলোচনা না করে এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যানকে ইঙ্গিত করে সভা জুড়েই ছিল বক্তাগণের বক্তব্য।
জানা গেছে, গোলাম রাব্বানী ও আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে দলের দায়িত্বশীল পদে থেকে দায়িত্ব অবহেলা ও সংগঠন পরিপন্থী কর্মকান্ডের অভিযোগ ছিল।
আবারো সাধারণ নির্বাচনের অন্তিম লগ্নে তারা দলীয়কোন্দল সৃস্টি ও জামায়াত-বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য ফের অপতৎপরতা শুরু করেছে। এরই অংশ হিসেবে তানোর ও মুন্ডুমালা পৌর মেয়রের আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতায় তারা ওই কথিত আলোচনা সভা ও দোয়া আয়োজন করেছেন বলে তৃণমুলের নেতাকর্মীরা অভিযোগ তুলেছে।
এব্যপারে তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ প্রদিপ সরকার বলেন, রাব্বানী ও মামুন এখন আওয়ামী লীগের কোনো কর্মসুচি ঘোষণা করতে পারেন না, অনেক আগেই তারা আওয়ামী লীগের ট্রেন থেকে পড়ে গেছে। তিনি বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মৌসুম এলেই তারা নানা কৌশলে জামায়াত-বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়নে তাদের বি-টিম হয়ে কাজ করে এটা নতুন নয়। তবে এবার জনগণ তাদের দাঁতভাঙ্গা জবাব দিবেন। ।#