1. admin@sobujnagar.com : admin :
  2. sobujnoger@gmail.com : Rokon :
বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:০১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
কিভে আমেরিকার দূতাবাস আপাতত বন্ধ! ইউক্রেনে রুশ বিমান হামলার আশঙ্কা  দুর্গাপুরে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের স্মরণে স্মরণসভা রাসিকের রাজস্ব কর্মকর্তা মনজুরুল আলমের  বিদায় সংবর্ধনা রাসিকের ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত ১০টি চার্জার রিক্সা আটক নওগাঁ জেলা পুলিশ কর্তৃক চাঞ্চল্যকর “সুমন” হত্যাকাণ্ডের জড়িত প্রধান আসামী বুলবুল গ্রেফতার  কোরআন মেনে চলার মাধ্যমেই আমাদের মুক্তি -সাংবাদিক রানা মন্তব্য প্রতিবেদনঃ আমি মুক্তভাবে প্রমানসহ সংবাদ প্রকাশ করতে চায়, এটা আমার অধিকার  নড়াইলে আসামিদের ভিডিও করায় সময় টিভির সাংবাদিকের ওপর হামলা তানোরে সাংগঠনিক তৎপরতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিএনপির কর্মীসভা টঙ্গীতে সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরনের ফাঁসীর দাবিতে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল

রাজশাহীতে ২০টি অসুস্থ বেল গাছকে দেয়া হচ্ছে চিকিৎসা 

  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ২৬ জুন, ২০২২
  • ২০৪ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

আবুল কালাম আজাদ………………………….

বেল গাছের অসুখ। বেল গাছ ‘আঠা ঝড়া’ বা ‘গামোসিস’ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এমন রোগের চিকিৎসা দিচ্ছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট। সম্প্রতি রাজশাহীতে ছয়জন কৃষকের ২০টি বেল গাছে পরীক্ষামূলক চিকিৎসা চালানো হয়েছে। তাতে ফলাফল ভাল বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

 

উদ্ভিদ চিকিৎসকরা বলছেন, বেলের গাছের কাণ্ড বা মোটা ডালের কিছু জায়গা থেকে প্রথমে হালকা বাদামী বা গাঢ় বাদামী আঠা বা রস বের হতে দেখা যায়। বেশি আক্রান্ত হলে পুরো ডালটি এমনকি পুরো গাছটি মারা যায়।

 

তারা আরো জানান,আক্রান্ত গাছে সুষম মাত্রায় জৈব সার ও রাসায়নিক সার প্রয়োগ করা এবং নিয়মিত সেচ প্রদান করা। আঠা ঝড়া দেখামাত্র কিছুটা সুস্থ অংশসহ বাকল-ছাল তুলে ফেলা এবং কর্তিত অংশে বোর্দো মিশ্রণ বা কপার অক্সিক্লোরাইট জাতীয় ছত্রাক নাশক কুপ্রাভিট ৭ গ্রাম/লি. হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা। এছাড়া আঠা বের হওয়া স্থানের একটু দূর দিয়ে বাকল তুলে ‘আলকাতরা’ দেওয়া। তুলনামূলক আলকাতরার ফলাফল ভাল।

 

সংশ্লিষ্টরা জানায়, চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি থেকে প্রকল্পের অংশহিসেবে বেল গাছের এই ধরনের চিকিৎসা দেওয়া শুরু হয়েছে। রাজশাহী নগরীর বুধপাড়া, পশ্চিম বুধপাড়া, মৌলভী বুধপাড়া, মোহনপুর ও কিসমত কুখুন্ডি এলাকার বিভিন্ন ব্যক্তির বাগান বা বাড়ির আশে-পাশের বেল গাছগুলো দেখা হয়েছে। এরমধ্যে যে বেল গাছগুলো এই রোগে আক্রন্ত হয়েছে। সেগুলোসহ আশে-পাশের বেলগাছগুলোকেও চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

 

নগরীর পশ্চিম বুধপাড়ার আমজাদ হোসেন আক্কাসের ১২টা গাছে এই রোগের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এবিষয়ে আমজাদ হোসেন আক্কাস জানান, ‘তাদের চিকিৎসা দেওয়ার পরে গাছগুলো ভাল আছে। তারা নিয়মিতই গাছগুলো দেখে যায়। এছাড়া বিভিন্ন মেডিসিনের সাথে আলকাতরা দেওয়া হয়ে থাকে। এখন আঠা পড়া রোগ অকেটাই কমে গেছে।

 

বুধপাড়া এলাকার আলমঙ্গীর হোসেন জানান, ‘তার একটি বেল গাছ রয়েছে। বেশ কিছুদিন থেকে রাজশাহীর শ্যমপুরের বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের লোকজন এসে গাছের চিকিৎসা দিয়ে গেছে। গাছের গোড়া খুরে সার দিয়েছে। তাতে আঠা পড়া না কমলেও কুকড়া পাতাগুলো সাট হয়েছে। এছাড়া গাছ সতেজ লাগছে।

 

রাজশাহী কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও এই প্রকল্পের গবেষক ড. সাইয়েদুর রহমান জানান, এটি একটি প্রকল্প। এর আওতায় রাজশাহী নগরীর পাঁচটি এলাকায় ২০টি বেল গাছের ‘বেলের আঠা ঝড়া’ বা ‘গামোসিস’ রোগের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাতে ফলাফল ভাল। আসা করছি এই রোগ সারানো সম্ভব।

 

তিনি বলেন, বেল খুব ভাল ফল। আমাদের দেশে গাছ থেকে শুধু বেল খাওয়া হয়। কিন্তু গাছের যত্নে কোন ধরনের পরিচর্যা করা হয়। ফলে নানা রোগ বাসা বেধেছে বেল গাছে। বর্তমানে বেল গাছের ‘গামোসিস’ রোগ বেশি হচ্ছে। আমরা এই রোগের চিকিৎসা নিয়ে কাজ করছি।#

এডিট: সান

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট