অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাসিক মেয়র বলেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছে সরকার। সরকার দেশের সব মানুষের জীবনমান উন্নয়নে বিভিন্ন ধরনের সহায়তা প্রদান অব্যাহত রেখেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনতে সবসময় কাজ করে যাচ্ছেন। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন এলাকায় পিছিয়ে পড়া জনপদের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে এ প্রকল্পের আওতায় বৃহৎ জনগোষ্ঠী নিজেদের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করছে। নিজেদের সঞ্চিত অর্থ দিয়ে ঋণ প্রদান করে ঘূর্ণায়মান তহবিল একশ কোটিতে পরিণত হয়েছে। প্রকল্পটি শেষ পর্যায়ে আগামীতে এ প্রকল্পটি আরও বৃহৎ পরিসরে আসবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, ভূমিহীনদের জন্য গ্রামে বসবাসকারীদের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গৃহনির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করেছেন। আগামীতে শহরে ভূমিহীনদের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করার বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। নানাক্ষেত্রে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন সুনাম অর্জন করেছে। সকলের সহযোগিতায় এ শহরটাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।
রাসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এবিএম শরীফ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রকল্পের সদস্য সচিব ও রাসিকের প্রধান প্রকৌশলী নূর ইসলাম তুষার। প্রকল্পের সার্বিক কার্যক্রমের অগ্রগতির প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন প্রকল্পের টাউন ম্যানেজার মোবারক হোসেন। মঞ্চে উপবিস্ট ছিলেন প্যানেল মেয়র-২ ও ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মোমিন, ৩নং প্যানেল মেয়র ৩ ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর তাহেরা খাতুন, রাসিকের এমপ্লয়মেন্ট স্কিল ডেভেলমেন্ট ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর মহা. হবিবুর রহমান, চীফ কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট অফিসার আজিজুর রহমান, সিডিসির নেত্রী সায়েরা খাতুন। প্রকল্পের প্রজেক্ট এ্যাসোসিয়েট মোঃ মাহবুবুল আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ১৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বেলাল আহমেদ, ডাসকোর জাহাঙ্গীর আলম খান, সিএইচডিএফের ক্যাশিয়ার সামিয়া হক, প্রকল্পের উপকারভোগীদের মধ্যে শিক্ষা সহায়তাপ্রাপ্ত শারমিন খাতুন, ব্যবসা সহায়তা প্রাপ্ত পিংকি খাতুন, পুষ্টি সহায়তাপ্রাপ্ত বাসনা বক্তব্য দেন। এ সময় কাউন্সিলরবৃন্দ, কর্মকর্তাগণ, সরকারি-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, সিডিসি টাউন ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ, সিএইচডিএফ, সিডিসির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, রাজশাহী মহানগরীতে ২০১৯ সালে শুরু হওয়া এ প্রকল্পের আওতায় ১১টি ক্লাস্টার ও ১৯৬টি সিডিসির অধীন ৫২ হাজার ৩৬৩ জন সদস্য রয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় শিক্ষানবিশ দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ, ব্যবসা সহায়তা, শিক্ষা সহায়তা, পুষ্টি সহায়তা অনুদান প্রদান করা হয়।#