নাজিম হাসান…………………………………………………………………….
এক সময়ের খরস্রোতা পদ্মার প্রবেশদ্বার রাজশাহীর বাংলাদেশী ভূখÐে পদ্মায় পানি আষাঢের শেষের দিকে প্রতিদিনই বাড়ছে। পদ্মা নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে পদ্মা চলে গেছে ফের ভারতীয় ভু-খন্ডের মধ্যে। বাংলাদেশের অংশে কিছু কিছু এলাকায় পায়ের গোড়ালি পানিতে পায়ে হেঁটেই নদী পার হয় চরাঞ্চলের মানুষরা।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় পদ্মা বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকা থেকে মাত্র ১৮ কিলোমিটার দূরে ভারতের মনোহরপুরে ১৯৭৫ সালে মরণফাঁদ ফারাক্কা বাঁধ গড়ে তোলা হয়। ভারতের গঙ্গা বাংলাদেশের রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার কিছু অংশ দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে পদ্মা নাম ধারণ করেছে। এক সময়ের খরস্রোতা এ পদ্মা রাজা রাজবল্লভের কীর্তি ধ্বংস করেছিল বলে এটি কীর্তিনাশা নদী নামেও ব্যপক পরিচিতি পেয়েছিল। কিন্তু সেসব কথা পদ্মা ও পদ্মা পাড়ের মানুষের কাছে শুধুই স্মৃতিকথা।
পদ্মা এখন আর কারও কীর্তি ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে না। মরণ ফাঁদ ফারাক্কা বাঁধের বিরূপ প্রভাবে বছরের অধিকাংশ সময় এখন পদ্মার বুকে থাকে না বিস্তৃত সেই জলধার। গতকাল আজ রাজশাহীর পদ্মার পানির উচ্চতা পরিমাপ করা হয় ১১ দশমিক ১৬ মিটার। এর আগের দনি (৫ জুলাই) সন্ধ্যায় পানির পরিমাপ করা হয় ১১ দশমিক ১৫ মিটার। রাজশাহী পদ্মার পানির বিপদসীমার লেভেল হচ্ছে ১৮ দশমিক ০৫ মিটার।
এবিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের গেজ রিডার এনামুল হক বলেন, গত বছর রাজশাহীতে সর্বোচ্চ পানি উঠে ১৭ দশমিক ০৬ মিটার। কয়েকদিন ধরেই রাজশাহীতে পদ্মার পানি অল্প পরিমানে বাড়ছে। গতবছার পানি বাড়ার মাত্রা এবারের চাইতে বেশী ছিলো। বিপদসীমার উপর পানি উঠতে এখনো সময় লাগবে বলে জানান।#