1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Rokon :
রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ০৯:৩৪ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ:
বাঘায় মায়ের ঈদুল ফিতরে আর কোরবানির ঈদে কন্যার জন্ম রাজশাহী অঞ্চলবাসীকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)’র – কেন্দ্রীয় কমিটির সংগঠক ও রাজশাহী অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক ইমরান ইমন ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিএনপি’র নেতা মোঃ পারভেজ ভালোবাসলেই সবার সাথে ঘর বাঁধা যায়না, হাজার বছর পাশে থাকলেও কেউ কেউ আপন হয়না…… পঞ্চগড়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের চেকপোষ্ট বসিয়ে তল্লাশি  ভূরুঙ্গামারীতে বিয়ের ৩ সপ্তাহের মাথায় নববধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছে শিবগঞ্জ পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহা আব্দুল বাতেন বাঘায় গরু কেনা প্রায় শেষ, এখন ছাগলে তোড়জোড়, সরকারি রেটে খাজনা আদায়ে স্বস্তিতে ক্রেতা-বিক্রেতা বাঘায় বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে বাপার বৃক্ষরোপণ

রাজশাহীতে ঠাকুর নরোত্তম দাসের তিরোভাব তিথি মহোৎসব শুরু

  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২২
  • ৩৯৩ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

আবুল কালাম আজাদ ………………………………………….

শুভ অধিবাসের মধ্যে দিয়ে  বৃহস্পতিবার ( ১৩ অক্টোবর) থেকে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপি ঠাকুর নরোত্তম দাসের তিরোভাব তিথি মহোৎসব।

 

প্রতি বছরের ন্যায় এবারো রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী গৌরাঙ্গবাড়ি মন্দিরে নেমেছে ভক্তদের ঢল। দুই দিন আগে হতেই দেশের দূর দূরান্ত হতে ভক্তরা এসে আপন আপন থাকর জায়গা করে নিয়েছে। গোরাঙ্গবাড়ীর নির্ধারিত জায়গায় ছাড়াও রাস্তার দুইপাশে বিভিন্ন পসরার দোকান সাজিয়ে জমে উঠেছে খেতুর ধামের মহোৎসব মিলন মেলা।

 

সকাল থেকে  গভীর রাত পর্যন্ত দূর হতে সতানত ধর্মাম্বলিরা বাস- মাইক্রো , ভ্যানযোগে প্রয়োজনীয় সরাঞ্জমাদি নিয়ে আসছ তাদের পুন্ন স্থানে। মহোৎসবের প্রথমদিন বেশ জমে উঠেছে তবে মাঝে মধ্যে আকাশ মেঘাছন্ন দেখা দেওয়াই উৎসবে কিছুটা বিরুপ পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগত ভক্তদের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সর্বচ্চ নিরাপত্তার দায়িত্বে সর্তকতা রয়েছে। তারও অনুষ্ঠানটিকে সফলতা করতে যথেষ্ঠ ভূমিকা রাখছে।

 

ভক্তদের মতে, প্রেমভক্তি মহারাজ ও অহিংসার প্রতীক ঠাকুর নরোত্তম দাস। প্রথমদিন সন্ধ্যায় শুভ অধিবাসের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় তিনদিনের অনুষ্ঠানমালা।

 

১৪ অক্টোবর শুক্রবার অরুণোদয় হতে অষ্ট প্রহরব্যাপি তারক গ্রক্ষ্মনাম সংকীর্ত্তন, ১৫ অক্টোবর বুধবার প্রথম প্রহরে দধিমঙ্গল দ্বি-প্রহরে ভোগ আরতি ও মহান্ত বিদায়ের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানমালার সমাপ্তি হবে।

 

গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা  মো. জানে আলম জানিয়েছেন, এবারের উৎসবকে ঘিরে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। মহোৎসব ও উৎসবকে ঘিরে মেলা-এসব নির্বিঘ্নে করতে মাঠে থাকবেন ভ্রাম্যমাণ আদালত ও ট্রাস্ট বোর্ডের কয়েকশ নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী।

 

গোদাগাড়ী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ  কামরুল ইসলাম জানান, খেতুরীধাম ও মেলাকে ঘিরে ওই এলাকায় যে কোনো অপ্রতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সেখানে জেলা পুলিশের বিপুল সংখ্যক সদস্য সার্বক্ষণিক দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন। এ ছাড়া প্রেমতলী বাজারে বসানো হয়েছে পুলিশ কন্ট্রোল রুম। মাঠে আছে র‌্যাব, গোয়েন্দা পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা। সেখানে সিসি ক্যামেরা দ্বারা সার্বক্ষণিক নজদারি করা হচ্ছে।

 

গৌরাঙ্গদেব ট্রাস্ট বোর্ডের সম্পাদক শ্যামাপদ স্যানাল জানান, ১৩ অক্টোবর অধিবাস, ১৪ অক্টোবর মূল মহা উৎসব এবং বাসি মহা উৎসব ও মহন্তবিদায় অনুষ্ঠিত হবে। মূল কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক সাব কমিটির মাধ্যমে সমন্বয় করে কাজগুলি সুন্দর সুচারুভাবে করা হয়। তিন দিন পূর্বে থেকে ভক্তদের সমাগম ঘটে থাকে, সব সময় ২ লক্ষাধিক মানুষের উপস্থিতি থকে। ধর্ম বর্ন নির্বিশেষে সবাই আগত মানুষের সাহায্য করে থাকেন। এলাকার মসুলমান ভাই, বোন নিজেদের অনেক কষ্ট সহ্য করে আগত ভক্তদের সাহায্য করে থাকেন বলে তিনি জানান। গোদাগাড়ী থানা পুলিশ, জেলা পুলিশের ৫০০ জন সদস্য, ৩০ জন আনসার, উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, কর্মচারী, চিকিৎসক, ২ শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক দিনরাত কাজ করে থাকেন। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারিগন দিনরাত পরিশ্রম করে থাকেন। ১৬ টি সিসি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত থাকবে ৩০ বিঘা জমির উপর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এ মহা উৎসব সুষ্ঠভাবে করার জন্য সকলের সাহায্য কামনা করেন তিনি।

 

গৌরাঙ্গবাড়ি মন্দিরের ব্যবস্থাপক গোবিন্দ চন্দ্র পাল জানিয়েছেন, সুন্দর পরিবেশে অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে এবার ব্যপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। লাখ লাখ নারী-পুরুষ ভক্তের জন্য প্রয়োজনীয় প্রসাদ বিশুদ্ধ পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে প্রেমতলী বাজার থেকে খেতুরীধাম পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার সংযোগ সড়কটিতে আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগত ভক্তদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে মেডিকেল টিম গঠন করে অভিজ্ঞ স্বাস্থ্য কর্মী নিয়োগ করে স্বাস্থ্য সেবা দিতে প্রস্তুত আছে বলে জানা যায়।

 

নরোত্তম ঠাকুর মহাশয় এর সংক্ষিপ্ত জীবনী থেকে জানা যায়, ১৫৩১ খ্রীষ্টাব্দে ঠাকুর নরোত্তম দাস তৎকালীন গড়েরহাট পরগণার অন্তর্গত ও বর্তমান গোদাগাড়ী উপজেলার পদ্মাতীরস্থ গোপালপুর গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতা জমিদার কৃষ্ণনন্দ দাস, মা নারায়নী রাণী। গোপালপুরে শৈশব অতিবাহিত করে ঠাকুর নরোত্তম দাস বৃন্দাবন অভিমুখে যাত্রা করেন। সেখানে নিখিল বৈষ্ণবকুল চূড়ামণি লোকনাথ গোস্বামীর শিষ্যত্ব গ্রহণ করে দীক্ষা লাভ করেন।

পরে তিনি গোদাগাড়ীর খেতুরী গ্রামে আসেন। খেতুর মন্দিরে স্থাপনা গড়ে তোলেন এবং সেখানে উৎসব আয়োজনের ব্যবস্থা করেন। এখানে দূর-দূরান্ত থেকে ভক্তরা এসে তার কাছে দীক্ষা গ্রহণ করতে শুরু করেন।

 

১৬১১ খ্রীষ্টাব্দের কার্তিকী কৃষ্ণা পঞ্চমী তিথিতে ঠাকুর নরোত্তম দাস নিত্তলীলায় প্রবেশের মানসে গঙ্গাস্নানের বাসনা প্রকাশ করেন। শিষ্যগণ তাকে গঙ্গাজলে নিয়ে গেলে নিজের দেহকে অর্ধনিমজ্জিত করে প্রিয় শিষ্য গঙ্গানারায়ণ ও রামকৃষ্ণকে আদেশ করেন দেহ মার্জন করতে। গুরু আজ্ঞায় নরোত্তমের ওই দুই শিষ্য দেহ মার্জন করতে থাকলে পুরো দেহ সাদা দুধের মতো তরল পদার্থে পরিণত হয়ে গঙ্গাজলে মিলিত হয়ে যায়। সে অনুযায়ী ঠাকুর নরোত্তম দাস পৃথিবীতে ৮০ বছর স্থায়ী ছিলেন।

 

এরপর থেকেই যুগ পরস্পরায় দুর্গাপূজার পর বৈষ্ণব ধর্মের অনুসারীরা অহিংসার এই মহান সাধক ঠাকুর নরোত্তম দাসের কৃপা লাভের আশায় খেতুরী ধামে বার্ষিক মিলিত হয়ে থাকেন।#

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট