1. admin@sobujnagar.com : admin :
  2. sobujnoger@gmail.com : Rokon :
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০৮ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ:
তানোরে আলুর বীজ নিয়ে মহা সিন্ডিকেট দিশেহারা চাষীরা! খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়  বাগমারার হাটগাঙ্গোপাড়া মডেল প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক কমিটি গঠন বাংলাদেশ জার্নালিস্ট প্রটেক্ট কমিটির সাংবাদিকদের নিরাপত্তার জন্য অ্যাডভোকেসি কর্মশালা  সিংড়ায় জামায়াতে ইসলামীর কর্মী শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত বটিয়াঘাটা প্রেস ক্লাবের আহবায়ক কমিটি গঠন কম্পিউটার কী বোর্ডের মাধ্যমে রাজশাহীতে পাহাড়িয়াদের মাতৃভাষার লিখন পঠন কার্যক্রম উদ্বোধন সিংড়ায় মাদরাসা দারুস সুন্নাহ বার্ষিক পুরস্কার বিতরণ সি ইউ সি সংগঠনের সামাজিক কর্মকান্ডে অবদান রাখায়  রোটারিয়ান ইফতেখার আলী বাবুকে সংবর্ধনা ডুমুরিয়ায় শওকত মোল্যা স্মৃতি উন্মুক্ত পাঠাগারের আয়োজনে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতি  অনুষ্ঠান 

মন্তব্য প্রতিবেদন: মশার আগ্রাসনের কবলে রাজশাহী

  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৩
  • ১১৭ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

# মো: রোকনুজ্জামান রোকন………………………

দেশের উন্নয়ন হয়েছে, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনেরও ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।এ উন্য়ন অস্বীকার করার কারো সুযোগ নেই, কিন্তু সে সাথে পাল্লা দিয়ে চলছে মশা-মাছি। মশা-মাছির জ্বালায় নাররিক জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। তারপরও সিটি কর্পোরশন তেমন  জোরালো পদক্ষেপ নিচ্ছে না, কিন্তু কেন!

 

নগর সুষ্টির পর থেকে রাজশাহীতে মশার উপদ্রব সবসময়।তৎকালিন সময়ে মশা নিধনে বিভিন্ন সময় শহর পরিস্কার পরিচ্ছন্ন অভিযান চালাতো হতো, ড্রেনে বিভিন্ন কেমিক্যাল বা কেরোসিন তেল দিয়ে মশার লার্ভা নস্ট করে দেয়া হতো যাতে বংশ বিস্তার না ঘটে। এতে করে মশার বংশবিস্তার রোধ করা সম্ভব না হলোও ত্যাচার কিছু সময়ের জন্য কম হতো। মাঝে মধ্যে ক্র্যাশ প্রোগ্রামের মাধ্যমেও মশার বংশ নিপাত করো হতো। সেময় রাজশাহী নগরের বাহ্যিক চেহেরা খুব খারাপ ছিল।

 

কালক্রমে বিশেষ করে ৯০ দশকের পর থেকে এ শহরের চাকচিক্য বৃদ্ধি পেতে থাকে। যতই শহরের চেহেরা পাল্টাতে থাকে ততোই কর্তৃপক্ষ মশা নিধনে উদাসীন হয়ে পড়ে। সিটি কর্পোরেশনের পৃথক দপ্তর থাকলেও এর কাযর্কারিত নেই বললেই চলে। তবে প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ বাজেট বরাদ্দ হয়ে থাকে মশা-মাছি নিধনে। তবে এখন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে এ বিপুল পরিমাণ বরাদ্দ কোন খাকে, জনগণের কোন কাজে ব্যবহার হয়। জনগণের এ তথ্য জানার অধিকার রয়েছে। কেননা জনগণের ট্যাক্সের পয়সায় প্রায় পুরো সিটি কর্পোরেশনের কমর্চারীদের মাসিক বেতন হয়ে থাকে।অথচ নগরবাসি নাগরিক নুন্যতম সুবিধা থেকে বঞ্চিত, কিন্তু কেন?

 

প্রায় ৫ বছর ধরে রাজশাহ নগরীর চেহেরা পাল্টে গেচ্ছে অনেকটা। যে ব্যক্তি অন্য শহরে বসবাস করেন অথচ বিগত ৫ বছরে রাজশাহী আসেননি অথচ রাজশাহীর মাটিতে পা ফেলে তিনি হুট করে বলতে পারবেন না যে এটা কোন শহর। নি:সন্দেহে এটা বতর্মান আওয়ামী লীগ তথা শেখ হাসিনা সরকারের বিরাট অবদান। রাজশাহী মহানগর দেশের সকল মহানগরীর অন্যতম স্বাস্থ্যকর শহর। এটা আমার কথা নয় এটা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ঘোষণা এবং বাংলাদেশ সরকার কথা। যারা এনগরীতে বসবাস করছি বা এ নগরীর স্থায়ী বাসিন্দা সবাই আমরা শাহমখদুম (রা:) পূণ্য ভূমিতে বসবাস করতে পেরে চরম গর্বিত অনুভব করছি।

 

রাজশাহী নগরীর উন্নয়ন করতে গিয়ে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন বেমালুম ভুলে গেছে মশার অত্যাচারের বিগত দিনের কাহিনী। এসব সাধারণ মশা নয়, ডেঙ্গু মশা যোগ দিয়েছে মশার দলে।ঢাকার একসময়ের ডেঙ্গু মশা এখন রাজশাহীতে ব্যাপক আকারে বিস্তার লাভ করছে। মশা মাছির উপদ্রব এর কারণে ডায়রিয়া, কলেরা, ম্যালেরিয়া সহ বিভিন্ন রোগে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে অনেক সময়। বিশেষ করে মশার উৎপাত বন্ধ করতে না পারলে নগরবাসি শান্তিতে ঘুমানোসহ কোন কাজই সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে না।মশার কাপড়ে চুলকাতে চুলকাতে নতুন চর্ম রোগের জন্ম নিচ্ছে। তাছাড়া বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য রীতিমত প্রাণহানির কারণও হতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। অন্যদিকে নগরবাসি মশার অত্যাচার থেকে বাঁচতে মশার কয়েলের পিছনে বিপুল অর্থ ব্যয় করছে, তারপরও ফলাফল শূণ্য।

 

আমাদের নগর পিতা এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের দৃষ্টি AvKl©Y করে বলতে ইচ্ছে করে এনগরীর সব মানুষ অভিজাত এলাকায় বসবাস করে না। অনেকে রেললাইনের ধারে কিংবা ফুটপাত এবং বস্তিতে বাস করে।এদের জীবনযাত্রার মানের কথা ভাবতে হবে আপনাকে তথা সিটি কর্পোরেশনকে। তাদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে ডাম্পিং বা ময়লা আবর্জনা ফেলার জায়গাটি শহরের অনেক দূরে অন্য কোথাও স্থাপন করুন।যাতে মশা মাছির উপদ্রব কিছুটা হলেও কম হবে। সে সাথে নগরীর সকল ড্রেন নিয়মিত পরিস্কার এবং ওষুধ ছিটানো অব্যাহত রাখতে Kvh©Ki ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে নগরবাসির স্বাস্থ্য সুরক্ষা অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।বর্ষা মওসূমের আগেই মশা নিধন পদক্ষেপ না নিলে আপাতত মনে হচ্ছে ইউক্রেন যুদ্ধের মত আমাদের শহর মশার আগ্রাসনের মুখে পড়বে।এশহরকে সকল আগ্রাসনের কবল থেকে রক্ষা করতে চাই।

 

নগরীর প্রতিটি মহল্লা/পাড়ায় ফগার মেশিনের সাহায্যে ওষুধ ছিটিয়ে প্রতিটি বাড়ি, ড্রেন মশা মুক্ত করতে আরো জোরালো Kvh©Ki ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, সে সাথে ওষুধের গুণগতমান নিশ্চিত। এভাবে কয়েক সপ্তাহ অভিযান চালানো সম্ভব হলে মশার আত্যাচার কিছুটা হলেও কমে আসবে বলে নগরবাসি মনে করেন। মিটি কর্পোরেশনের মশক বিভাগের দক্ষ বিশাল বাহিনীকে কাজে লাগিয়ে মশামুক্ত রাজশাহী গড়ে তোলা সম্ভব।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিটি জনগণের জানমালের নিরাপত্তার কথা সবসময় ভেবেই সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেস। সকল ক্ষেত্রে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ প্রধানমন্ত্রীর পথ অনুস্মরণ করবেন এমনটি আশা রাজশাহীবাসির।আমরা মশামুক্ত শহর চাই।#

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট