বিশেষ প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাঘায় মন্দির থেকে প্রতিমা চুরির খবরটি ‘ভুয়া ও মিথ্যা প্রোপাগান্ডা’। গত রোববার(২৪-০৮-২০২৫) সন্ধ্যার আগে বাঘা উপজেলার আড়পাড়া গ্রামের ব্যক্তিগত মন্দির থেকে প্রতিমা চুরির ‘ভুয়া ও মিথ্যা খবরটি মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে।
পুলিশ ও উপজেলা পূঁজা উদযাপন পরিষদের নেতাসহ স্খানীয়রা জানান, ছড়িয়ে পড়া খবরটি সঠিক নয়। জমি জমা নিয়ে পারিবারিক বিরোধের জেরে এমন খবরটি ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে । জানা যায়, আড়পাড়া গ্রামের রঘুমতি নামের এই নারির দুই স্বামী। তার দ্বিতীয় স্বামী ননী গোপালের একমাত্র মেয়ে সবিতা সরকার ওরফে উর্মিলা। তার স্বামীর বাড়ি নওগাঁর আত্রাই উপজেলার জালুপুয়াদা গ্রামে। মায়ের সম্পত্তি নিয়ে অপর পক্ষের বৈমাত্রিক (এক মা দুই বাবা) ভাইদের সাথে বিরোধ রয়েছে তার।
স্থানীয়রা জানান,গত এক সপ্তাহ আগে উর্মিলা তার পৈত্রিক ভিটায় ব্যক্তিগত মন্দিরে মনষা পূঁজার আয়োজন করেন এবং প্রতিমা বির্সজন না দিয়ে চলে যান। গত শনিবার তাকে না জানিয়ে স্থানীয় পুকুরে সেই প্রতিমা বির্সজন দেয় তার বৈমাত্রিক স্বজনরা। মন্দিরে প্রতিমা না থাকার খবরে সন্দেহ করেন জমি জমার বিরোধে তার প্রতিমা চুরি হয়ে গেছে।
মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে উর্মিলা জানান,গত রোববার(১৭ আগষ্ট’২৫) রাতে মনষা পূজা করে ভবানিগঞ্জে যান। সোমবার (২৫ আগষ্ট’২৫) গান বাজনা শেষে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়ার কথা ছিল তার। তার আগেই রোববার (২৪ আগষ্ট’২৫) জানতে পারেন মন্দিরে প্রতিমা নেই। বিরোধের জেরে প্রতিমা চুরির সন্দেহ করেন। শনিবার (২৩ আগষ্ট’২৫) তাকে না জানিয়ে বির্সজন দেওয়া হয়েছে।
উর্মিলার বৈমাত্রিক ভাই অমৃত প্রামানিক জানান,পরিবেশ খারাপ মনে করে প্রতিমা বির্সজন দিয়েছেন। তবে উর্মিলাকে এবিষয়ে জানাননি বলেও জানান তিনি। গ্রামের সমাজ প্রধান অরুন প্রামানিক জানান, রোববার সন্ধ্যার আগে হঠাৎ করেই প্রতিমা চুরির ভুয়া খবরটি জানতে পারেন। উর্মিলার বৈমাত্রিক ভাইদের সাথে জমি জমা নিয়ে বিরোধ রয়েছে বলে জানান তিনি। শনিবার প্রতিমা বির্সজন দেওয়ার কথা শুনেছেন ।
উপজেলা পূঁজা উদযাপন পরিসদের সভাপতি সুজিত কুমার পান্ডে(বাকু) জানান,হঠাৎ করেই ছড়িয়ে পড়া প্রতিমা চুরির খবরটি সঠিক নয়। অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আফম আছাদুজ্জামান জানান, জমি জমা বিরোধে ‘ভুয়া ও মিথ্যা প্রোপাগান্ডা’ছড়িয়েছে। প্রতিমা চুরির কোন ঘটনা ঘটেনি।#