বিশেষ প্রতিনিধি: হাসি খুশির বিশেষ এক পবিত্র দিনে জন্ম নিয়েছিলেন ফাতেমা । এবার নিজের মতো বিশেষ পবিত্র দিনে কন্যা সন্তানের মা হলেন তিনি। মা-মেয়ের স্বরণীয় দিনটি হলো ঈদুল ফিতরের ঈদের দিন ও ঈদুল আজহার কোরবানির দিন।
ফাতেমা জন্মেছিলেন পনের বছর আগে পবিত্র ঈদুল ফিতরের ঈদের দিন। তিনি কণ্যা সন্তান জন্ম দিয়েছেন পবিত্র ঈদুল আজহার কোরবানির দিন শনিবার (৭জুন”২৫)। ফাতেমার জীবনে স্বরণীয় হয়ে থাকলো আরো একটি পবিত্র দিনে। নিজের নাম ফাতেমা কন্যা সন্তানের নাম রাখতে চান ‘খুশি’।ফাতেমা বাঘা উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের বাউসা গ্ৰামের রাজ আলীর স্ত্রী ।
জানা যায়, কোরবানির দিন শনিবার (৭জুন’২৫)সকাল ছয়টায় প্রসব বেদনা নিয়ে ফাতেমাকে উপজেলার স্থানীয় মুঞ্জু হাসপাতাল শাখায় ভর্তি করা হয়। সেখানেই জন্ম দেন এক ফুটফুটে কন্যা সন্তান। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, অভিজ্ঞ চিকিৎসক ও নার্সদের নিবিড় পরিচর্যায় একটি কণ্যা শিশু সন্তানের জন্ম হয়। মা ও নবজাতক দুজনেই সুস্থ আছেন ।
কথা হলে ফাতেমার দাদী হাজেরা বেগম বলেন, ফাতেমার জন্ম ঈদুল ফিতরের ঈদের দিন । তার কণ্যা সন্তানের জন্ম হলো কুরবানির দিনে। ফাতেমার বয়স এখন পনের বছর বলে জানান তিনি। ফাতেমার পিতা হজরত আলী বলেন, তারা ‘খুশি’ নাম রাখতে চান। পারিবারিক সিদ্ধান্তে অন্য নাম রাখা হলেও ‘খুশি ‘নাম পরিবর্তন হবে না।
তিনি মুঞ্জু হাসপাতালের সেবায় সন্তুষ্ট প্রকাশ করে বলেন প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের আস্থা বাড়াতে ভূমিকা রাখছে। হাসপাতালের পরিচালক মিঠুন কুমার বলেন, “ঈদের এই বিশেষ দিনে নতুন একটি প্রাণের আগমন আমাদের জন্যও আনন্দঘন মুহূর্ত। নির্ধারিত সময় পার হয়ে যাওয়ায় সিজার অপারেশনের মাধ্যমে প্রসব করানো হয়েছে। আমরা নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত করতে বাঘা শাখার টিম দায়িত্ব পালন সহ স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে কাজ করছে।#