
বিশেষ প্রতিনিধি: ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বহাল তবিয়তে ঝুলছিল সম্ভাব্য প্রার্থীদের পোস্টার-ব্যানার ফেসটুন। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্দেশনা অনুযায়ী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সব প্রচার উপকরণ অপসারণের কথা থাকলেও মাঠ পর্যায়ে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। যাকে প্রার্থীদের দায়িত্বহীনতা বলছেন, নাগারিক সমাজ। উপজেলা প্রশাসনের দাবি, অবৈধ পোস্টার-ব্যানার-ফেস্টুন অপসারনের কাজ শুরু করা হয়েছে। গতকাল রোববার(১৪ ডিসেম্বর) বিকেল পর্যন্ত নির্বাচনী পোস্টার-ব্যানার অপসারণ তৎপরতা দেখা যায়নি। সম্ভাব্য অনেক প্রার্থী নিজেই নামে পোস্টার সরাতে। রাজনৈতিক নেতাদের ব্যানার ও ফেস্টুন সরাতে মাঠে নামে স্থানীয় প্রশাসনও। সোমবার(১৫-১২-২০২৫) সকাল থেকেই গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, মোড় ও জনসমাগমপূর্ণ এলাকা থেকে অবৈধ ব্যানার অপসারণ করা হয়।
এই উচ্ছেদ অভিযানে নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনকারী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন খুলে ফেলা হয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নির্বাচনী পরিবেশ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ রাখতে এই অভিযান চলমান থাকবে।
রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন মালয়েশিয়া যুবদল মালাক্কা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও কুয়ালালামপুর মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলাম বিলাত। তিনি জানান.দেশে ফিরে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে নিজের পোস্টার নিজে সরিয়ে নিয়েছেন।
সোমবার(১৫ ডিসেম্বর) সরেজিমন দেখা গেছে, উপজেলা-পৌর সদর এলাকায় ব্যানার-পোস্টার অপসারণ করা হলেও মফস্বলের বেশির ভাগ জায়গায় নির্দেশনার কার্যকর বাস্তবায়ন হয়নি। বিদ্যুতের খুঁটি, ভবনের দেয়ালে সাঁটানো ছিল পোস্টার, ব্যানার।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাম্মী আক্তার বলেন, নির্বাচনী আচরনবিধি বিধি ব্যাপক গণবিজ্ঞতির মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। যাঁরা সরাচ্ছেন তাঁদের সাধুবাদ জানাই। কেউ যেন আগাম প্রচারণা চালাতে না পারে, সে লক্ষ্যেই আমরাও অপসারনের কাজ শুরু করেছি। এর পরও আচরণ বিধি লঙ্ঘনকারিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।#