1. admin@sobujnagar.com : admin :
  2. sobujnoger@gmail.com : Rokon :
বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৩৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ:
সাইটসেভার্স এর সহযোগিতায়,ব্র্যাকের উদ্যোগে দাকোপে উপজেলা পর্যায়ে অবহিতকরণ সভা  কালীগঞ্জে গাজীপুরের নবাগত ডিসির মতবিনিময় আত্রাইয়ে জাতীয় ইঁদুর নিধন অভিযান উদ্বোধন পত্নীতলায় আশা শিক্ষা কর্মসূচির অভিভাবক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে রাজশাহীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ খুব তাড়াতাড়ি সকল পুলিশ ফাঁড়ির কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হবে: রাজশাহীতে স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা রূপসা বর্নমালা শিক্ষালয়ে ফলাফল প্রকাশ ও অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত তানোরে আমণের বাম্পার ফলনের সম্ভবনা তানোরে বিদ্যুৎ শাটডাউনে জড়িতরা বহাল তবিয়তে রকমারি সবজি চাষে ঝুঁকে পড়েছেন আত্রাই উপজেলার কৃষকরা

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ কর্তৃক  শিক্ষার্থী নির্যাতন, ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন 

  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ১৬৫ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

ববি প্রতিনিধি……………………….

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থীকে মারধর ও নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে৷ সিট দখলকে কেন্দ্র করে এই মারধরের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে৷ এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রক্টর ও হল প্রভোস্টের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলেও ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন।

 

মারধরের শিকার ওই দুই শিক্ষার্থী হলেন আইন বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী তারেকুজ্জামান তারেক এবং লোকপ্রশাসন বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান দোলন।

 

গত ২৩ আগস্ট মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে সিট দখলকে কেন্দ্র করে শের-ই বাংলা হলের পঞ্চম তলায় আবাসিক শিক্ষার্থী এবং আইন বিভাগের ৪র্থ বর্ষের ছাত্র তারেকুজ্জামান তারেককে মারধোর করে ছাত্রলীগ কর্মীরা।

 

এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী দেলোয়ার হোসেন, মার্কেটিং বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের সোহাগ, বাংলা বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের রাকিবুল হাসান। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী মহিউদ্দীন আহমেদ সিফাতের অনুসারী।

 

মহিউদ্দিন আহমেদ সিফাতকে বঙ্গবন্ধু হল থেকে নামিয়ে দিলে বর্তমানে তিনিও শেরে-ই বাংলা হলের ৪০১৮নং রুম অবৈধভাবে দখল করে আছেন।

 

এর আগে গত ৫ জুলাই মধ্যরাতে হলের সিট দখলকে কেন্দ্র করে লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী ও শেরে-ই বাংলা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান দোলনকে ডেকে নিয়ে ক্যাম্পাসের মাঠে মারধোর করেন একাউন্টিং এ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের শিক্ষার্থী ছাত্রলীগ নেতা সৈয়দ রুম্মান ইসলাম। গুরুতর আহত শিক্ষার্থী দোলনকে সেদিন রাতেই শের-ই বাংলা মেডিকেলে ভর্তি করে তার বন্ধুরা।

 

এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পাননি বলে জানান মারধরের শিকার মাহমুদুল হাসান দোলন।

 

২৩ আগস্ট রাতের ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বিচার চেয়ে শের-ই বাংলা হলের প্রভোস্ট বরাবর গত ২৮ আগস্ট একটি লিখিত অভিযোগ দেন।

 

মারধরের ঘটনার একটি ভিডিওতে দেখা যায়, তারেকুজ্জামান তারেককে মারতে মারতে রুম থেকে বের করে নিয়ে যাচ্ছেন অভিযুক্ত দেলোয়ার হোসেন এবং সোহাগ। রুমের বাইরে নিয়ে এলে তাদের সাথে মারধরে যোগ দেয় আরেক অভিযুক্ত রাকিবুল হাসান।

 

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী প্রভোস্ট বরাবর লিখিত অভিযোগে বলেন, গত ২৩ আগস্ট মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে হলের সিট দখলকে কেন্দ্র করে সঙ্গবদ্ধভাবে ৫০১২নং রুমের সামনে আমার উপর নির্বিচারে হামলা, মারধর ও নির্যাতন চালায় গণিত বিভাগের দেলোয়ার (কক্ষ নং ৫০০১), মার্কেটিং বিভাগের সোহাগ (কক্ষ নং ২০০৩) এবং বাংলা বিভাগের রাকিবুল হাসান (কক্ষ নং ৫০০৯)। অভিযোগপত্রে আরও বলেন, উক্ত ঘটনায় আরও কেউ জড়িত থাকতে পারে। তদন্তপূর্বক এর সুষ্ঠু বিচার চাই৷

 

প্রত্যক্ষদর্শীর ভাষ্যমতে, ওইদিন রাত আনুমানিক ১২টার দিকে দেলোয়ার ও সোহাগ বিভিন্ন রুমে গিয়ে সিট ফাঁকা আছে কিনা তল্লাশী চালায়৷ এক পর্যায়ে ৫০১২নং কক্ষের এক আবাসিক শিক্ষার্থীকে বেধরক মারপিট করে৷

 

শের-ই বাংলা হলের কয়েকজন আবাসিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, “সাধারণ ছাত্রদের জন্য হল এখন আতঙ্কের নাম। বেশ কিছুদিন ধরে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী হলের বিভিন্ন রুমে রুমে গিয়ে ফাঁকা সিট আছে কিনা এমন খোঁজখবর নিচ্ছেন। বিভিন্ন সময় জোরপূর্বক ফাঁকা সিটে অবৈধভাবে ছাত্র উঠাচ্ছে। এমতাবস্থায় আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা আতঙ্কে আছি।”

 

এ বিষয়ে অভিযুক্ত দেলোয়ার হোসেনের বলেন, “আমি ওই আবাসিক হলের ছাত্র কিন্তু এই মারামারির বিষয়ে কিছুই জানিনা। ওইদিন হলে ছিলাম না এবং মারামারির সাথে জড়িত ছিলাম না।”

 

অভিযুক্ত সোহাগ বলেন, “আমি মারামারির সাথে জড়িত নই। এরকম কোন ঘটনা ঘটেছে কিনা তাও আমার জানা নেই। এগুলো মিথ্য অভিযোগ’’।

 

আরেক অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা সৈয়দ রুম্মান ইসলামের কাছে মাহমুদুল হাসান দোলনকে মারধরের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এসব তথ্য আপনি কোথায় পেয়েছেন, যেখান থেকে এই তথ্য পেয়েছেন তার কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করেন। এসব বিষয়ে কথা বলার মতো সময় আমার নেই।”

 

শের-ই বাংলা হলের প্রভোস্ট আবু জাফর মিয়া বলেন, “কতিপয় শিক্ষার্থী কর্তৃক ২ জন আবাসিক ছাত্রকে মারধরের ঘটনা শুনেছি। একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। হলে ছাত্র উঠানোর দায়িত্ব কাউকে দেওয়া হয়নি। হলে সিট বরাদ্দ দেয়ার ক্ষমতা একমাত্র হল প্রশাসনের।”

 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. খোরশেদ আলম বলেন, “আমি মাহমুদুল হাসান দোলনের বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছি, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনানুযায়ী তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়টা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে প্রয়োজনে আর সময় লাগতে পারে।”

 

দ্বিতীয়বার গত ২৩ আগস্টের হামলার ঘটনার কোন অভিযোগ তার কাছে আসেনি বলে উল্লেখ করেন তিনি।#

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট