শাহিন হাওলাদার, বরিশাল প্রতিনিধি……………………………………………………..
পরকীয়া প্রেমের টানে ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করে হিন্দু ধর্মাবলম্বী এক যুবকের সাথে সংসার পেতেছেন লামিয়া আক্তার নামে এক নারী। গত ১৫ জুলাই মেয়েটি ঢাকার যাত্রাবাড়ীর কোনাবাড়ি বাবার বাসা থেকে পটুয়াখালীর স্বামীর বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে বেরহলে পরকীয়া প্রেমিকের সাথে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায়।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, লামিয়া আক্তার প্রেমিক পুরুষের নাম উজ্জ্বল কর্মকার পটুয়াখালীর নতুন বাজার এলাকায় একটি জুয়েলার্স, এর দোকানের কারিগর হিসেবে কর্মরত ছিলেন, সেখানেই পরিচয় হয় লামিয়ার স্বামী জহুরুল ইসলামের সাথে একসময় উজ্জ্বল ও জহিরুলের মধ্যে সম্পর্ক বন্ধুত্বে গড়ায়, এরপর বন্ধুত্বের সূত্র ধরে উজ্জল কর্মকার জহিরুলের পটুয়াখালীর নতুন বাজারে এলাকার পানজা মনিরের ভাড়াটিয়া বাসায় বাসায় আসা যাওয়া শুরু করে। উজ্জ্বল কর্মকার বাকেরগঞ্জ উপজেলার কলসকাঠী গ্রামের মৃত্যু দুলাল কর্মকারের সন্তান গত ২৭শে আগস্ট সরজমিনে উজ্জলের কলসকাঠির বাড়িতে গিয়ে উজ্জ্বলকে না পেয়ে লুকোচুরিতে ব্যস্ত থাকে পরিবার। পরে উজ্জ্বল লামিয়া দুজনেই মিডিয়াকর্মীদের সামনে তাদের সত্যতা প্রকাশ করে।
লামিয়া বলেন, আমার সাড়ে তিন বছরের একটি কন্যা সন্তান আছে আমি মুসলিম ছিলাম এখন আমি সনাতন ধর্ম নিয়ে আছি বর্তমানে আমার স্বামী উজ্জ্বল কর্মকার আগের স্বামী জহিরুলের সাথে ডিভোর্স হয়েছে কিনা এই বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন এখনো হয়নি তবে আমার স্বামী ডিভোর্স পাঠিয়ে দেবে। আপনারা এখনো তালাকপ্রাপ্ত হননি, মুসলিম থেকে হিন্দু হলেন কিভাবে আদালতের কোন আদেশনামা আছে কিনা, কোন জবাব দিতে পারেননি তিনি। আপনার কপালে সিঁদুর হাতে শাখা কোথায় বিয়ে করছেন আপনাদের কে বিয়ে পড়ালো আর বিয়ে কতটুকু শুদ্ধ হয়েছে। আপনি তো এখনো মুসলিম পরিচয়ে আছেন। এমন প্রশ্নে তিনি বলেন আমাদের কেউ বিয়ে পড়ায়নি আমরা ঠাকুর ঘরের সামনে গিয়ে হাতে শাখা, আমার স্বামী আমাকে কপালে সিঁদুর দিয়েছে। আমি এটাই তিনি বিয়ে মনে করে মেনে নিয়েছি। শুদ্ধ অশুদ্ধ এলাকার সমাজ ব্যবস্থার উপরে তিনি ছেড়ে দিয়েছেন।
লামিয়ার মা মুঠোফোনে সংবাদ কর্মীদের জানান, আমার মেয়েকে আমি ২০১৭ সালে বিয়ে দিয়েছি পটুয়াখালীতে, এখন সে একটা হিন্দু ছেলের সাথে সংসার পেতেছে, আমরা ওই মেয়েকে সারা জীবনের জন্য ত্যাগ করলাম। ও আমাদের কেউ না। শুধুমাত্র সাড়ে তিন বছর মেয়ের কথা চিন্তা করে আমার ছোট মেয়েটাকে স্বামী জহিরুলের সাথে বিয়ে দিয়েছি বলেই কান্নায় ভেঙে পরলেন।#