বিশেষ প্রতিনিধি: রাজশাহী বাঘায় আব্দুল গণি কলেজে জালিয়াতিকরে নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টায় দায়ের করা মামলার তিন আসামিকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। বৃহসপতিবার(১৭ জুলাই) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের তিনজনকে রিমান্ডে নিয়েছে বাঘা থানা-পুলিশ।
রিমান্ডে নেওয়া ব্যক্তিরা হলেন- বাঘা উপজেলার গড়গড়ি ইউনিয়নের আব্দুল গণি কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি শাহিনুর রহমান ওরফে বিপ্লব, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলম ও শিক্ষক প্রতিনিধি আলমাস হোসেন।
গত বৃহস্পতিবার(১০ জুলাই) আসামিরা রাজশাহীর অতিরিক্ত দায়রা জজ ৩-এর আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত বিচার নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ১৪ জুলাই ৫দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। ১৬ জুলাই ১দিনের রিমান্ড আবেদন মুঞ্জুর করেন আদালত।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার তদন্তকারি সহকারি পুলিশ পরিদর্শক(এস আই) নুরুল ইসলাম বলেন,একদিনের রিমান্ড মুঞ্জুর হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের পর শুক্রবার (১৮ জুলাই) তাদের কারাগারে পাঠানো হবে।
জানা যায়, জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি ঘষামাজা করে সেখানে নিজ প্রতিষ্ঠানের নাম বসিয়ে ৮টি পদে নিজেদের লোক নিয়োগের চেষ্টায় ওই তিনজনের বিরুদ্ধ মামলার দায়ের করা হয়। গত ৫ মে উপজেলার গড়গড়ি ইউনিয়নের সরেরহাট গ্রামের জাহিদুল ইসলাম ওরফে জাহিদ বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। এতে উল্লিখিত তিনজনসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও চার-পাঁচজনকে আসামি করা হয়।
মামলা আভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ মার্চ মানবজমিন, জাতীয় অর্থনীতি এবং দৈনিক রাজশাহী পত্রিকায় ‘ল্যাব সহকারী’ পদে চারজনসহ ৮টি পদে ১০ জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। আবেদনের শেষ তারিখ দেখানো হয় ৩০ মার্চ। ৮টি পদের বিপরীতে ২১ প্রার্থী আবেদন করেন। নিয়োগ পরীক্ষায় চূড়ান্ত মনোনয়নের জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, জেলা প্রশাসক এবং ডিজির প্রতিনিধির জন্য আবেদন করা হয় ২৭ এপ্রিল। এর পরপরই বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় সেচ্ছাসেবী সংগঠন স্কুল ফর হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশনের সদস্যরা খোঁজখবর শুরু করেন। তারা জানতে পারেন, জাতীয় অর্থনীতি, দৈনিক রাজশাহী ও মানবজমিন পত্রিকায় চলতি বছরের ১৬ মার্চ আব্দুল গণি কলেজের কোনো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়নি। একই তারিখে মানবজমিন পত্রিকার ২২ নম্বর পৃষ্ঠায় নেত্রকোনার যুগ্ম জেলা জজ ও অর্থঋণ আদালতের নিলাম বিজ্ঞপ্তি ছাপা হয়। ওই বিজ্ঞপ্ত ঘষামাজা করে কলেজের নাম বসিয়ে নিজেদের লোক নিয়োগে এ নাটক করা হয়।
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ ফ ম আছাদুজ্জামান বলেন, মামলার পর তারা আদালতে জামিনের আবেদন করেন। পুলিশের পক্ষ থেকে রিমান্ডের আবেদন করা হয়। আদালত ১দিনের রিমান্ড আবেদন মুঞ্জুর করেছেন।## ,