1. admin@sobujnagar.com : admin :
  2. sobujnoger@gmail.com : Rokon :
বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৫ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ:
সাত মাসের শিশুকে ‘যৌন নিগ্রহ’! কলকাতার  পুলিশ খুঁজে বেড়াচ্ছে অপরাধীকে চট্টগ্রামে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ১২ আসামির রিমান্ড বটিয়াঘাটায় সাম্য ও মানবিক সমাজ বিনির্মাণে সম্প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথি আজিজুল বারী হেলাল বাগমারায় জাল সনদে ১২বছর শিক্ষকতা চাকরির অভিযোগ  আগরতলায় বাংলাদেশের কনস্যুলার সার্ভিস বন্ধ ঘোষণা  পাকশী বিভাগসহ সকল অঞ্চলের ট্রেন কন্ট্রোলারদের অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু ভোলাহাটে বোরো বিনামূল্যে ধানের বীজ বিতরণের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত মান্দায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী পরিবারের মাঝে মুরগি ও খাবার বিতরণ তানোরে সারের কৃত্রিম সংকটে দিশেহারা কৃষক !   পোরশায় ভিক্ষুকদের মাঝে ছাগল বিতরণ

 পাকশী বিভাগসহ সকল অঞ্চলের ট্রেন কন্ট্রোলারদের অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু

  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ১০ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

ক্যাপশন: পাকশী অফিস চত্বরে কর্মবিরতিতে অংশ নেওয়া ট্রেন কন্ট্রোলারদের পক্ষ থেকে শান্তিপূর্ণ র‌্যালি বের করা হয় ।

৥ তৌহিদ আক্তার পান্না,ঈশ্বরদীঃ অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক গত ২৪/০৭/২০২২ ইং ও ০৪/০৯/২০২৪ ইং তারিখে জারীকৃত কালো দপ্তর আদেশ বাতিল এবং পূর্বের সকল ভাতাসহ আর্থিক সুবিধা পুনর্বহালের দাবিতে অনির্দিষ্ট কালের জন্য ট্রেন কন্ট্রোলারদের কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। বুধবার সকালে রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় কন্ট্রোল অফিসের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে পাকশীসহ পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে এবং পূর্বাঞ্চলের পাঁচ কন্ট্রোল অফিসের সকল কন্ট্রোলারদের পক্ষ থেকে এই কর্মবিরতি ঘোষনা করা হয়।

সমাবেশে ডিটিএনএল আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে অন্যান্য ডিটিএনএল,সিটিএনএল ও টিএনএলরা বক্তব্য দেন। বক্তারা অভিযোগ করে বলেন,সম্প্রতি মহামান্য “সুপ্রীম কোর্ট” কর্তৃক বাংলাদেশ রেলওয়ের কন্ট্রোলারগণের অনুকুলে ৪টি অগ্রীম ইনক্রিমেন্ট প্রদানের আদেশ দেওয়া হয়। কিন্তু অর্থ মন্ত্রনালয় সেই আদেশকে অমান্য করে ৪টি অগ্রীম ইনক্রিমেন্ট প্রদান বন্ধের ঘোষনা দেয়।

একই সাথে ইতিপূর্বে কন্ট্রেলারগণের অনুকুলে প্রদানকৃত ইনক্রিমেন্টের টাকা ফেরতেরও নির্দেশ দেওয়া হয়। এসব কারণে সম্প্রতি বাংলাদেশ রেলওয়ের সকল ট্রেন কন্ট্রোলারদের পক্ষ থেকে একাধিকবার কর্মবিরতি ঘোষণা করা হয়। সে সময় অবস্থা বিবেচনা করে রেলওয়ের উদ্ধতন কর্মকর্তারা পরপর দু’বারই তাদের দাবি পুরণের আশ্বাস দিয়ে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়।

এদিকে দ্বিতীয়বারের মত বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যেও দাবি পূরণ না হওয়ায় তারা কর্মবিরতি দিতে বাধ্য হয়েছেন। বক্তারা অভিযোগ করে বলেন,ঝড়বৃষ্টি,জাতীয় দিবস এমনকি ঈদের দিনগুলিসহ ২৪ ঘন্টা ডিটিএনএল,সিটিএনএল ও টিএনএলদের দায়িত্ব পালন করতে হয়। অথচ সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যাচ্ছে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের এলপিআরএ যাওয়া কর্মকর্তা ও অবসরে যাওয়া কতিপয় কর্মকর্তাদের চাকরী জীবনে বৈষম্যের শিকার হওয়া দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা দেওয়া হচ্ছে।

এতে কর্মবিরতিতে অংশ নেওয়া সকলেই পরিস্কারভাবে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। কর্মবিরতি শুরু হওয়ায় ট্রেন চলাচলে বিগ্ন ঘটলে এবং যাত্রীদের ভোগান্তির সৃষ্টি হলে এর দায়ভার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বহণ করতে হবে বলে সকল ডিটিএনএল,সিটিএনএল ও টিএনএলদের পক্ষ থেকে ঘোষনা দেওয়া হয়।এর আগে পাকশী অফিস চত্বরে শান্তিপূর্ণ র‌্যালি বের করা হয় কর্মবিরতিতে অংশ নেওয়া ট্রেন কন্ট্রোলারদের পক্ষ থেকে। এদিকে এই কর্মবিরতি শুরু হওয়ায় রেলওয়ের পাকশী ভিাগসহ পশ্চিম ও পূর্বাঞ্চলের সকল অঞ্চলে ট্রেন চলাচলে বিগ্ন সৃষ্টি হয়ে যাত্রী ভোগান্তি শুরু হয়েছে।

পাকশী বিভাগীয় ট্রেন কন্ট্রোল অফিসসহ রেলওয়ের পশ্চিম ও পূর্বাঞ্চলের সকল ট্রেন কন্ট্রোলারদের দাবি ও কর্মবিরতির বিষয়ে রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় ব্যবস্থাপক শাহ সূফি নূরমোহাম্মদ সাংবাদিকদের জানান, রেল পরিচালিত হয় ট্রেন কন্ট্রোল অফিসের মাধ্যমে। সকল ট্রেনের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করেন কন্ট্রোল অফিসে দায়িত্বরত ডিটিএনএল,সিটিএনএল ও টিএনএলরা। এদের দায়িত্ব অনেক কষ্টসাধ্য ।

এই বিষয়টি বিবেচনা করে তৎকালিন সরকার ১৯৬৮ সালে এদেরকে বেতনের অতিরিক্ত তিনটি ইনক্রিমেন্ট দেওয়ার সিদ্ধান্ত দেন। পরবর্তীতে এটি চারটিতে উন্নীত হয়। চারটিতে উন্নীত হওয়ার পর ইনক্রিমেন্ট চলমান থাকা অবস্থায়২০০১ সালে এসে অডিট আপত্তি হলে বলা হয় অর্থ মন্ত্রনালয়ের অনুমতি নেওয়া হয়নি। কিন্তু ১৯৬৮ সালে রেলওয়ে একটি রেলওয়ে এটির প্রয়োজন হয়নি। বোর্ড দ্বারা পরিচালিত হত। তখন রেলওয়ে বোর্ডে একটি ক্ষমতা ছিল যেটি অর্থ মন্ত্রনালয়ের রয়েছে। যার প্রেক্ষিতে কন্ট্রোলারগণ মামলা করলে শ্রম ্আদালত ও হাইকোর্ট থেকে কন্ট্রোলারদের পক্ষে রায় দেওয়া হয়।

রায়ের পর ২০০১ সাল থেকে তাদের যে পাওনা বন্ধ ছিল ২০১৪ সাল থেকে সেটি আবার দেওয়া শুরু হয়। ২০২০ সালে আইবাস পদ্ধতি চালু হলে সমস্যার সৃষ্টি হয়। কর্মবিরতি হওয়ায় সাপোর্টিং স্টাফ দিয়ে ট্রেন চলাচল করানো হচ্ছে সাময়িকভাবে। তবে এটি দীর্ঘমেয়াদি হলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখা সম্ভব হবেনা। কন্ট্রোলারদের এই সমস্যার যৌক্তিক সমাধান হলে সুন্দর ট্রেন চলাচল ঠিক রাখা সম্ভব হবে।#

 

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট