আবুল কালাম আজাদ…………………………………………………..
রাজশাহী-ঢাকা রুটে চলাচলকারি ট্রেনে সিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে। সোমবারের সিল্কসিটি ট্রেনের চাকা অকেজো হয়ে যাওয়া এবং ঢাকা -চাঁপাইনবাবগঞ্জ গামী সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস মেইলট্রেন ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশনে লাইনচ্যুত হওয়া পশ্চিমাঞ্চল রেলে চলাচলকারি অধিকাংশ দূরপাল্লার ট্রেনের মারাত্নক সিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে।
তবে যাত্রীদের অভিযোগ ভিন্ন, তারা বলছেন,পশ্চিমাঞ্চলের রেলের মহাব্যবস্থাপকের অদূরদর্শীতার জন্যই পশ্চিমাঞ্চল রেলে ঘনঘন ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় হচ্ছে। নড়বড়ে পাথর বিহীন রেললাইন,মেয়াদার্তীন্ন ট্রেনের ইন্জিন,নড়বড়ে ট্রেনের চাকার খোজ নেই। ট্রেনে টিটি গিরি করেন তিনি।শস্তা নজর কাড়তে সেগুলি আবার নিজের আইডিতেও পোস্ট করেন তিনি।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, প্রতিটি ট্রেন ৫ থেকে ৭ ঘণ্টা বিলম্বে চলাচল করছে। পরিস্থিতি এতটাই বেসামাল হয়ে পড়েছে যে ২৫ অক্টোবর মঙ্গলবার সকালের চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে রাজশাহী হয়ে ঢাকাগামী আন্তঃনগর বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনটির যাত্রা বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে কতৃপক্ষ।
এতে করে শত শত যাত্রী চরম বিড়ম্বনায় পড়েন। রেল কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে যাত্রীদের টিকিটের টাকা ফেরত দিয়েছেন। এছড়াও সকালের রাজশাহী-ঢাকা গামী আন্তঃনগর সিল্কসিটি ট্রেন ৫ ঘণ্টা বিলম্বে ঢাকা উদ্দেশ্যে ছেড়েগেছে।
রাজশাহী স্টেশন ম্যানেজার আব্দুল করিম জানান, ঢাকা-রাজশাহী রুটে প্রতিটি ট্রেন ৫-৬ ঘন্টা দেরিতে ছাড়ছে। সিডিউল বিপর্যয়ের কারণে যাত্রীরাও ভোগান্তির মুখে পড়েছেন। মঙ্গলবার সকালের বনলতা ট্রেনটি বাতিল করতে হয়েছে। আর সিল্কসিটি চার ঘন্টা দেরিতে সকাল ১১টার রাজশাহী ছেড়ে গেছে।
প্রধান বুকিং সহকারী আব্দুল মোমিন জানান,সিডিউল বিপর্যয়ের কারনে বনলতার ট্রেনের যাত্রা বাতিল করায় ট্রেন টিতে ভ্রমন করা যাত্রীদের টিকিটের মূল্য ফেরত দেয়া হয়েছে।
পশ্চিমমাঞ্চল রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার অসীম কুমার তালুকদার বলেন, ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক গতি ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা চলছে। আশা করছি শিঘ্রই সিডিউল ঠিক হয়েযাবে । ২৬ অক্টোবরক থেকে যথা সময়ে ট্রেন চলাচল করবে।
তিনি আরো বলেন, সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার বিমানবন্ধ স্টেশনের আউটারে সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেসের একটি বগি লাইনচ্যুত। তখন থেকেই সিডিউল বিপর্যয় শুরু হয়। এছাড়াও সোমবার সকালে সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ছাড়ার সময় বগির একটি চাকা অকেজো হয়ে পড়ে। সেটি মেরামত করে ট্রেন ছাড়তে প্রায় সাড়ে ৩ ঘন্টা সময় লাগে। এ কারণে ট্রেনের এই সিডিউল বিপর্যয় দেখা দেয়।
তবে যাত্রীদের অভিযোগ ভিন্ন, তারা বলছেন,পশ্চিমাঞ্চলের রেলের মহাব্যবস্থাপকের অদূরদর্শীতার জন্যই পশ্চিমাঞ্চল রেলে ঘনঘন ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় হচ্ছে। নড়বড়ে পাথর বিহীন রেললাইন,মেয়াদার্তীন্ন ট্রেনের ইন্জিন,নড়বড়ে ট্রেনের চাকার খোজ নেই। ট্রেনে টিটি গিরি করেন তিনি।শস্তা নজর কাড়তে সেগুলি আবার নিজের আইডিতে পোস্ট করেন।
যাত্রীরা আরো বলেন, পশ্চিমাঞ্চল রেলে প্রশাসনের সকল অফিসে প্রকাশ্যে কোটি টাকার দুর্নীতি হলেও অজ্ঞাত কারনে তিনি নিরব থকছেন।
রেলের সরঞ্জাম ক্রয় অফিসে ৫০ টাকার বাঁশি ক্রয় করায় ৫০০ টাকায়,১০০ টাকার মালামাল ক্রয় করা হচ্ছে ১০ হাজার টাকায়।
সম্প্রতি প্রধান অর্থউপদেস্টা অফিসে টেন্ডার ছাড়াই বেশ কয়েকটি এসি,প্রতিটি ৪৫ হাজার টাকার এসি ক্রয় করা হয়েছে ৮০ হাজার টাকায়।এমন কোটি কোটি টাকা লুটপাট চললেও সেদিকে নজর নাই মহাব্যবস্থাপক অসিম কুমার তালুকদারের।
যাত্রীরা এই মহাব্যবস্থাপকের সঠিক যায়গায় নজরদারির অবহেলাকেই ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয়ের কারণ বলে জানিয়েছেন।#