# মেহেরুল ইসলাম মোহন, লালপুর, নাটোর……………………..
নাটোরের লালপুর উপজেলার বিলমাড়ীয়া ইউনিয়নের বড়বাদকয়া এলাকায় মায়ের হাতে নুডলস খেতে গিয়ে সোহানা আক্তার জিদনি (০৩)নামে এক শিশুর গলায় সেফটি পিন আটকে গেছে। অসুস্থ অবস্থায়(২৫শে আগষ্ট) বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে শিশুটিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক)হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে শিশুটি হাসপাতালের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক। শিশু সোহানা আক্তার জিদনি বড়বাদকয়া এলাকার শফিকুল ইসলামের মেয়ে বলে জানা গেছে।
শিশুটির চাচাতো ভাই হাসান আলীর সাথে কথা হলে তিনি জানান,বৃহস্পতিবার বিকেলে শিশু জিদনিকে নুডলস খাওয়াচ্ছিলেন তার মা জুলেখা বেগম।একপর্যায়ে তার গলায় কিছু একটা আটকে যায়। এরপর শিশুটি বমি করতে করতে অসুস্থ হয়ে পড়ে। রাতেই তাকে রাজশাহীর বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে জিদনির গলা এক্স-রে করে তার গলায় সেফটি পিন আটকে থাকতে দেখা যায়।পরে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেখান থেকে রাত ১২টার দিকে জিদনিকে রামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়।পরে(২৬শে আগষ্ট) শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে রাজশাহীর ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ফের এক্স-রে করা হলে সেখানেও গলায় সেফটি পিন আটকে থাকতে দেখা গেছে।
কীভাবে গলায় সেফটি পিন গেল সেটি বোঝা যাচ্ছে না। সেফটি পিন পানিতে ছিল, নাকি নুডলসের মধ্যে ছিল তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। দায়িত্বরত চিকিৎসক নাজমুল হাসানের বরাত দিয়ে তিনি আরও জানান, শুক্রবার সকালে চিকিৎসক রাউন্ডে এসে জানিয়েছেন শিশুটির অস্ত্রোপচার প্রয়োজন। কিন্তু সেই ধরনের যন্ত্রপাতি হাসপাতালে নেই। সে জন্য দ্রুত ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক।#