ক্রাইম রিপোর্টার: নরসিংদী সদর উপজেলার আলোচিত নুরালাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি আরিফ হোসেনের সঙ্গে সরকারী কর্মকর্তাদের গোপন বৈঠক ঘিরে ব্যাপক আলোচনা ও তীব্র নিন্দার ঝড় উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
জানা গেছে, তিনটি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র হত্যা মামলার মূল অভিযুক্ত আরিফ হোসেন দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশ্যে বিচরণ করলেও এখনো আইনের আওতার বাইরে রয়েছেন। অথচ তার বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ থাকায় এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
৭ জুলাই নরসিংদী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসমা সরকার, নুরালাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং আওয়ামী লীগের অনুগত নেতা কামাল উদ্দিনসহ কয়েকজন কর্মকর্তার উপস্থিতিতে আরিফ হোসেনের অফিস ও বাড়িতে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ ঘটনার ছবি ও ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তেই সমালোচনার ঝড় ওঠে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিএনপি নেতা বলেন, “বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী ছাত্রদের প্রকাশ্যে রাজপথে হত্যা করেছে এই আরিফ ও তার মামা মোশারফ আলী। অথচ আজ সেই ছাত্র হত্যাকারীর বাড়িতে প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা বৈঠক করছেন। এটি শহীদদের রক্তের সাথে নির্মম বিশ্বাসঘাতকতা।”
বিএনপি ও বিরোধী রাজনৈতিক মহল দাবি করছে, প্রশাসনের এই ভূমিকা আইনের প্রতি অবমাননা ও জনগণের আস্থার চরম অপমান। তারা প্রশ্ন তুলেছেন, “যে ব্যক্তি ছাত্রদের হত্যা করেছে এবং এখনো পলাতক, তার সঙ্গে ইউএনও কিভাবে দেখা করতে যান?”
নরসিংদী সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবু সালেহ চৌধুরী জানান, বিষয়টি দুঃখজনক একাধিক হত্যা মামলার আসামি কিভাবে নিয়মিত অফিস করে এবং তার বাড়িত ইউএনও যায় এদেশে আইনের শাসন নাই।
নুরালাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সাদেক গাজী বলেন তারা প্রকাশ্য ছাত্র হত্যা করেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে তার বাড়িতে সরকারের কর্মকর্তারা আর আমায় এসে খাওয়া দাওয়া করে ব্যাপারটি দুঃখজনক সবাই আওয়ামী লীগের দোসর। পৌরসভা জামাত ইসলামের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলেন, সরকারি কর্মকর্তারা আওয়ামী লীগের সাথে মিলে গেছে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে।
নরসিংদীর সচেতন নাগরিকরা দ্রুত দোষীদের গ্রেফতার ও তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। এই বিষয়ে ইউএনও আসমা সরকারের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি। সামাজিক মাধ্যমে আলোচিত এই ঘটনা এখন পুরো জেলার রাজনীতিতে নতুন করে উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে।#