1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Rokon :
সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ০১:১৬ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ:
কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় মান্দায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ তানোরে সার সিন্ডিকেট ও সেচ খাতে অনিয়ম বন্ধের দাবিতে কৃষকদের সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদান ‎খুলনায় সর্বজনীন পেনশন মেলার উদ্বোধন রাণীশংকৈল হাসপাতালে দুদকের অভিযান বাঘা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতির মৃত্যু স্বরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত আত্রাইয়ের আহসানগঞ্জ স্টেশনে আন্তঃনগর ট্রেনের স্টপেজ ও সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন খুলনায় কোভিড রেসপন্স এন্ড রিকোভারি প্রজেক্টের কর্মশালা অনুষ্ঠিত ‎ কম্পনে কাঁপছে ঐতিহ্য: বাংলার প্রাচীন স্থাপত্যের গর্ব সোনা মসজিদ এখন চরম ঝুঁকিতে, দেয়ালে ফাটল বাঘায় তারেক রহমানের ৩১ দফা রূপরেখার লিফলেট বিতরণ দলের দুঃসময়ে পাশে থাকাই প্রকৃত নেতার পরিচয়: তানোরে সাবেক মেয়র মিজান

তানোরে সার সিন্ডিকেট ও সেচ খাতে অনিয়ম বন্ধের দাবিতে কৃষকদের সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদান

  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৫
  • ৪৮ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

৥ মমিনুল ইসলাম মুন, বিশেষ প্রতিনিধি : রাজশাহীর তানোরে সার সিন্ডিকেট, সেচ খাতে অনিয়ম, ভেজাল কীটনাশক এবং আলুর ন্যায্য দাম নিশ্চিতকরণের দাবিতে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে তানোর উপজেলা চত্বরে বাংলাদেশ কৃষক ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের আয়োজনে এই সমাবেশ হয়।

সংগঠনের তানোর পৌর শাখার সভাপতি আজহার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পদকপ্রাপ্ত কৃষক ও স্বশিক্ষিত কৃষি বিজ্ঞানী নূর মোহাম্মদ, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের উপজেলা সভাপতি কাজী আফজাল হোসেন, আদর্শ কৃষক কেফাতুল্লাহসহ অন্যরা।

বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, সরকার নির্ধারিত দামে সার পাওয়া যাচ্ছে না। বিশেষ করে বিসিআইসি ও বিএডিসির ডিলাররা সিন্ডিকেট গড়ে প্রতি বস্তা সার ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা বেশি দামে বিক্রি করছেন। অথচ কৃষি কর্মকর্তারা এসব অভিযোগের দায় এড়িয়ে যান।

বক্তারা বলেন, “সার বাইরে থেকে আসে, তাই দাম বেশি”— এমন বক্তব্য দায়িত্বহীনতা ছাড়া কিছু নয়। তাদের দাবি, অবিলম্বে সার সিন্ডিকেট বন্ধ করে সরকার নির্ধারিত দামে সার বিক্রির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। কৃষকরা আরও অভিযোগ করেন, একক ব্যক্তিকে সেচ কার্যক্রমের দায়িত্ব দেওয়ায় সেচ খাতে চলছে চরম স্বেচ্ছাচারিতা। এতে আলু চাষে প্রতি বিঘায় ১,৫০০ টাকা এবং ধান চাষে ২,০০০ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে। প্রয়োজনের তুলনায় কম পানি সরবরাহ করায় ফলনও কমে যাচ্ছে।

বক্তারা দাবি করেন, সেচ স্কিমভুক্ত কৃষকদের নিয়ে একটি সেচ কমিটি গঠন করতে হবে এবং সেচ কার্যক্রম সমিতির মাধ্যমে পরিচালনা করতে হবে, যাতে অনিয়ম বন্ধ হয়। এছাড়া, কীটনাশকের দাম ও মান নিয়েও কৃষকদের ক্ষোভের শেষ নেই। তাদের অভিযোগ, একটি কীটনাশকের প্যাকেটে দাম লেখা থাকে ৯০০ টাকা, কিন্তু বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১,৪০০ টাকা পর্যন্ত। আগের তুলনায় এখন এক মৌসুমে ২-৩ বার নয়, বরং ৬-৭ বার কীটনাশক ব্যবহার করেও কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া যাচ্ছে না— যা ভেজাল কীটনাশকের প্রমাণ। কৃষকরা ভেজাল প্রতিরোধে প্রশাসনের কঠোর ভূমিকা দাবি করেন।

সমাবেশে কৃষকরা আরও জানান, আলু সংরক্ষণের জন্য হিমাগারের ভাড়া আগে কেজিপ্রতি ৪ টাকা থাকলেও এখন বাড়িয়ে ৬ টাকা করা হয়েছে। এতে সাধারণ কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হলেও হিমাগার মালিকরা লাভবান হচ্ছেন। কৃষকরা বলেন, “হিমাগারের আগের ভাড়া বহাল রাখতে হবে, নইলে আলু চাষ বন্ধের মুখে পড়বে।” সমাবেশ শেষে কৃষক প্রতিনিধি দল তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এবং বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) সহকারী প্রকৌশলীর নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেন।#

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট