মোঃ মমিনুল ইসলাম মুন বিশেষ প্রতিনিধি : রাজশাহীর তানোরে ৫ আগস্ট মঙ্গলবার সকাল থেকে গণঅভ্যুত্থানের বিজয় উদযাপন উপলক্ষে এক বিশাল আনন্দ র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত এই কর্মসূচিকে ঘিরে নেতাকর্মীদের ব্যাপক উপস্থিতিতে পুরো পৌর শহর মুখরিত হয়ে ওঠে। উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আখেরুজ্জামান হান্নানের সভাপতিত্বে আনন্দ র্যালিটি পৌর শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে তানোর থানার মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, রাজশাহী-১ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল শরিফ উদ্দিন।
তিনি বলেন, “গত বছরের আন্দোলনের চূড়ান্ত রূপে ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটে। এরপর খুনি হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। নতুন বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং ভোটাধিকার নিশ্চিত করাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। বিএনপি তারেক রহমানের নেতৃত্বে সে লক্ষ্যেই কাজ করছে।” মিজানের নেতৃত্বেই জনসমুদ্র এই কর্মসূচির মূল আয়োজক ছিলেন তানোর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও রাজশাহী জেলা বিএনপির সদস্য মিজানুর রহমান মিজান। যদিও তিনি দল থেকে বহিষ্কৃত, তবুও উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভার প্রায় ৯০% নেতাকর্মী তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে র্যালিতে অংশ নেন। এতে প্রমাণ হয়, তানোরে বিএনপির নেতৃত্বে এখনো তিনি অপ্রতিদ্বন্দ্বী।
আলোচনা সভার সময় নেতাকর্মীরা “মিজানের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করতে হবে” বলে একাধিকবার স্লোগান দেন। একপর্যায়ে তাঁকে কাঁধে তুলে মঞ্চে তুলে আনেন সমর্থকরা। সেখানে বক্তব্যে মিজান বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, রাজশাহী-১ আসনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে মেজর জেনারেল (অব.) শরিফ উদ্দিনই নির্বাচন করবেন। তাকে বিজয়ী করতে এখন থেকেই মাঠে নামতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “রাজশাহী-১ বিএনপির ঘাঁটি। এই আসনে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে বিজয় নিশ্চিত।” জনশ্রোত ও ঐক্যের বার্তা স্মরণকালের অন্যতম বড় এ আয়োজন ঘিরে তানোরে সৃষ্টি হয় উৎসবমুখর পরিবেশ। উপজেলার বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের প্রতিটি ইউনিটের নেতাকর্মীসহ কয়েক হাজার মানুষ এতে অংশ নেন।
আনন্দ র্যালি ও সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন— উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোজাম্মেল খাঁন বাধাইড় ইউপি সভাপতি আল-আমিন হক পলাশ মোয়াজ্জেম হোসেন (সহ-সভাপতি) সম্পাদক আতিকুর রহমান আতিক যুগ্ম সম্পাদক মো. নওশাদ আলী সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জারজিস মোল্লা যুবদল আহ্বায়ক মো. ফিরোজ কবির, সদস্য সচিব মো. টুটুল স্বেচ্ছাসেবক দল: মো. জাকির হোসেন (আহ্বায়ক), মো. হোসেন আলী (সদস্য সচিব) কৃষক দল: মো. গোলাম রাব্বানী (আহ্বায়ক), আব্দুল মালেক (সদস্য সচিব) ছাত্রদল আহ্বায়ক মো. কাঞ্চন কামারগাঁ ইউপি সভাপতি প্রভাষক জাহিদুর রহমান জাহিদ পাঁচন্দর ইউপি সভাপতি সহকারী অধ্যাপক মুজিবুর রহমান চাঁন্দুড়িয়া ইউপি সভাপতি আবুল কালাম আজাদ ও সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন যুবদল নেতা গোলাম মোর্তুজা, এমদাদুল হক, সুলতান আহম্মেদ, শরিয়তুল্লাহ, সাইফুল ইসলাম, মিজানুর রহমান লাটু, কামরুল হাসান, জার্জিস মন্ডল, মুঞ্জুর রহমান, ওবাইদুর মাস্টার, মাহাবুব মোল্লা, জালাল উদ্দীন, নান্নু, পলাশ, গাফ্ফার প্রমুখ।
তানোরের দুটি পৌরসভা এবং সাতটি ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ড ও ইউনিট থেকে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের সকল স্তরের নেতা-কর্মীর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে কর্মসূচিটি এক ইতিহাসে পরিণত হয়।