বিশেষ প্রতিনিধি………………………………
আজ শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে কাজী আরেফ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ঢাকেশ্বরী মন্দিরের নানাবিধ অনিয়ম, দুর্নীতি, সেবায়েতবিহীন মন্দির পরিচালনার প্রতিবাদ ও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে প্রশাসক নিয়োগের দাবিতে এক মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসার সঞ্চালনায় ও কাজী আরেফ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কাজী মাসুদ আহম্মেদ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ন্যাপ বাংলাদেশ এর সহ-সভাপতি স্বপন কুমার সাহা। ঢাকেশ্বরী মন্দিরের ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উক্ত মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বপন কুমার সাহা বলেন, শ্রী শ্রী ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরের জমিসংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে যুগ যুগ ধরে আদালতে মামলা চলছে। ১৮ বছর পূর্বে মন্দির সংস্কারের নাম করে জমির প্রকৃত মালিক ও সেবায়েত স্বর্গীয় রনজিত দাসের পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীও একসময়ে বিষয়টি নিষ্পত্তির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু মন্দিরের ব্যবস্থাপনা কমিটি প্রভাবশালী হিন্দু ধর্মীয় ব্যক্তিদের ষড়যন্ত্র ও কু-পরামর্শে আজও রনজিত দাসের পরিবার জমির ন্যায় বিচার ও অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। মন্দিরের নানাবিধ দুর্নীতি ও সেবায়েত বিহীন মন্দির পরিচালনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করেন প্রধান অতিথি।
তিনি অবিলম্বে ঢাকেশ্বরী মন্দিরের সুনাম ও মর্যাদা রক্ষায় একটি শক্তিশালী জাতীয় তদন্ত কমিশন গঠনের প্রস্তাব করেন। তিনি আরো বলেন, দুদক, বাংলাদেশ ব্যাংক, ধর্ম মন্ত্রণালয় সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী সেল গঠন করে বিরাজমান সমস্যার সমাধাণের উপায় বের করার প্রস্তাব করেন।
সভাপতির বক্তব্যে কাজী মাসুদ আহমেদ বলেন, শ্রী শ্রী ঢাকেশ্বরী মন্দিরের জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে হাই কোর্টের একটি রুল জারি রয়েছে। এই রুল দ্রুত নিষ্পত্তি হলেই সকল সমস্যার সমাধাণ সম্ভব। তিনি আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে ক্ষতিগ্রস্থ রনজিত দাসের পরিবারের পাশে থাকার জন্য সরকারের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।#