1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Rokon :
রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ০১:২৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
বাগমারায় শিয়াল মারার ফাঁদে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মানসিক প্রতিবন্ধী যুবকের মৃত্যু কুষ্টিয়ার মিরপুরে চালক ঘুমিয়ে হেলপার চালাচ্ছিলো এ্যাম্বুলেন্স, হেলপারের মৃত্যু আওয়ামী লীগের কাউকে পাশে না রাখার আহবান শফিকুল হক মিলনের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রেসক্লাব দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন শাহনেওয়াজ সভাপতি, একে এস রোকন সহ-সভাপতি,  জুয়েল সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত আত্রাইয়ে খাস নক্স বন্দী মুজাদ্দেদী তরিকার উদ্যোগে মাসিক মাহফিল অনুষ্ঠিত ভোলাহাটে কুরবানী দেয়া ফকির-মিশক্বিনের মাংস চুরি করলো হাজী আরফেজ মেম্বার, শালিসে সদস্যপদ বাতিল ও ১০১ টাকা জরিমানা রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে মাছের পোনা অবমুক্ত করলেন কর্নেল তানভীর হোসেন ধোবাউড়ায় ছাত্রদলের আহ্বায়ক জালালউদ্দীনকে কুপিয়ে জখম; হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে  বিক্ষোভ  সিদ্ধিরগঞ্জে জোর পূর্বক সম্পত্তি লিখে নিতে সন্ত্রাসী দিয়ে প্রবাসী স্বামীর বাড়িতে স্ত্রীর তালা রাজশাহীতে বিএনপি নেতাকে বহিষ্কারের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিক্ষোভ

খুলনায় স্মার্ট বিশ্ববিদ্যালয় গড়তে সর্বাত্মকভাবে কাজ করে যাচ্ছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়

  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ২০৯ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

# শহিদুল্লাহ্ আল আজাদ, খুলনা ব্যুরো…………………………………………..

খুলনায় স্মার্ট বিশ্ববিদ্যালয় গড়তে সর্বাত্মকভাবে কাজ করা হচ্ছে উল্লেখ করে উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন বলেছেন, ডিজিটালাইজেশনের কারণে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক ক্ষেত্রে পরিবর্তন এসেছে। কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি পেয়েছে। শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কর্মদক্ষতা বেড়েছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমধাপে ডি-নথি চালু হয়েছে। তিনি দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্ষেত্রে ডি-নথি চালুর আহ্বান জানান।

আজ ২৭ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ প্রশাসন ভবনের আইসিটি সেলের ভার্চ্যুয়াল ক্লাস রুমে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি ২০২৩-২৪ ও শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়নের লক্ষ্যে শুদ্ধাচার সংক্রান্ত কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

উপাচার্য আরও বলেন, শুদ্ধাচার বলতে আমরা আচরণে, কর্মে ও দায়িত্ব পালনে শুদ্ধতা চর্চা ও বজায় রাখার প্রয়াশকেই বুঝি। আর দেশপ্রেম বলতে নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনকে বোঝায়। দেশপ্রেম সবার মধ্যেই আছে কিন্তু এর বহিঃপ্রকাশ আমাদের কাজের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে। কর্মক্ষেত্রে নীতি-নৈতিকতা, সততা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে শুদ্ধাচার কৌশল রপ্ত করতে হবে।

তিনি বলেন, এবছর ইউজিসির এপিএ মূল্যায়নে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ৯৫.৪৭ নম্বর পেয়ে ৪র্থ অবস্থানে উঠে এসেছে। এটা নিঃসন্দেহে আনন্দের খবর। তবে এর বাইরেও খুঁজে দেখা দরকার আমরা কোন কোন ক্রাইটেরিয়ায় এবং কেন নম্বর কম পেয়েছি। সেই সব ক্ষেত্রে আরও বেশি নজর দিতে হবে। এক্ষেত্রে নিজেদের পেশাগত দক্ষতার উন্নয়ন করতে হবে। মনে রাখতে হবে- আমরা নিজেরাই নিজেদের প্রতিদ্বন্দ্বী।

তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার আদলে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার লক্ষ্যে দেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন। আজ সেই সোনার বাংলা গড়ার সময় এসেছে। এই সোনার বাংলা গড়তে প্রয়োজন সোনার মানুষ। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সেই সোনার মানুষ তৈরিতে কাজ করছে। এখান থেকে স্মার্ট, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক জনশক্তি তৈরি হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা সেই সব সোনার মানুষ গড়ার সহায়ক শক্তি।

তিনি বলেন, মানসম্মত শিক্ষা ও গবেষণার জন্য মানসম্মত শিক্ষকের যেমন প্রয়োজন, একইভাবে মানসম্মত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরও প্রয়োজন। যারা নিজ যোগ্যতা ও মেধা দিয়ে এই প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রা আরও ত্বরান্বিত করতে এবং প্রতিটি কাজের ক্ষেত্রে নিয়ম-নীতি মেনে চলতে কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর অমিত রায় চৌধুরী। তিনি বলেন, শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতেও শুদ্ধাচার চর্চার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশে ২০১২ সালে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল আনুষ্ঠানিভাবে শুরু হয়। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়েও শুদ্ধাচার চর্চা করা হচ্ছে।

এই প্রতিষ্ঠানের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন নিজেই শুদ্ধাচারের একটি প্রতীক, তিনি আরও বলেন, উন্নত বিশ্ব এবং কল্যাণ রাষ্ট্রের যে চর্চাগুলি, তার সাথে কোথায় আমাদের দূরত্ব থেকে যাচ্ছে এবং আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় কোনো গলদ আছে কি না সেটি ভেবে দেখার জন্য আয়নার সামনে দাঁড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে। ফলে যে জিনিসটি আমরা বুঝি, সে জিনিসটিকে বারবার চর্চা করি। সেক্ষেত্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়ার যে স্বপ্ন, আমরা সেই স্বপ্নের পথে এগিয়ে চলবো। আমি মনে করি- বাংলাদেশ সঠিক পথে রয়েছে এবং অবশ্যই সেই স্বপ্নের পথে এগিয়ে যাবে।

বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা স্কুলের ডিন এবং রেজিস্ট্রার (চলতি দায়িত্ব) প্রফেসর ড. কামরুল হাসান তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলের (আইকিউএসি) অতিরিক্ত পরিচালক প্রফেসর ড. জগদীশ চন্দ্র জোয়ারদার। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর দিনব্যাপী ৪টি সেশনে রিসোর্স পারসন হিসেবে বিষয়ভিত্তিক উপস্থাপনা করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর অমিত রায় চৌধুরী, এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মো. ইয়ামিন কবীর, আঞ্চলিক লোক-প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, খুলনার সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) তাছলিমা আক্তার এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এপিএর ফোকাল পয়েন্ট উপ-রেজিস্ট্রার এস এম আবু নাসের ফারুক। প্রশিক্ষণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।#

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট