নাজিম হাসান: নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, কিছু কিছু লোক শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে টাকা পয়সা এদিক ওদিক করার জন্য। যারা ব্যাংক ঋণ নিয়েছে, দেশ থেকে টাকা পাচার করেছেন, শ্রমিকদের টাকা পয়সা দিতে পারছে না, তারা দেশ থেকে পালিয়ে আছে। সে কারণে কিছু কারখানা বন্ধে রয়েছে। কারখানা বন্ধের জন্য সরকার দায়ী নয়।
আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার সময় রাজশাহী মহানগরীর জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য নিরাপত্তা বিষয়ক গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটে শ্রম অধিদফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ট্রেড ইউনিয়ন নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং শ্রমিকদের মাঝে চেক হস্তান্তর শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন,দেশে তো অনেক কারখানা এখনো চলছে। না চললে ৭-৮ শতাংশ রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হতো কীভাবে? ভালো মালিক আছেন, যারা কখনো ডিফল্ট করেননি। শ্রমিকদের দেখভাল করছেন, নিয়মিত বেতন দিচ্ছেন। অনেক বড় বড় কারখানা এখনো কার্যকরভাবে চলছে। শ্রমিকদের আন্দোলন প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, শ্রমিকরা চাইলে আন্দোলন করতেই পারেন। যে কেউ তার ন্যায্য দাবির পক্ষে রাস্তায় নামতে পারেন। আমিও পারি এটি গণতান্ত্রিক অধিকার।
শ্রমিক সংগঠনে নির্বাচন আয়োজনের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, শ্রমিক ইউনিয়ন বা ফেডারেশনের নেতৃত্বে দেখা যায়—একজনকে সরিয়ে আরেকজন বসে গেছেন, অথচ কোনো নির্বাচন হয়নি। নৌ মন্ত্রণালয়ে এমন একজন আছেন, যিনি ২৭ বছর ধরে একই পদে আছেন। তো প্রায় স্থায়ী হয়ে গেছেন। কিন্তু বিষয়টি তো এমন নয়। নির্বাচনের মাধ্যমেই বোঝা যায় কে কাকে বসাবে। আমরা যখন গণতন্ত্রের কথা বলি, তখন তা প্রতিটি স্তরে থাকতে হবে। এর আগে তিনি একই ভবনে এক গবেষণা কনফারেন্সের উদ্বোধন করেন। সেখানে চা বাগানের নারী শ্রমিকদের মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, চা বাগানে শৌচাগার না থাকা খুবই অমানবিক। এর ফলে নারী শ্রমিকদের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। এমনকি সেখানে বিশুদ্ধ পানিও পাওয়া যায় না। এই অবস্থা চলতে পারে না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন,শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক ওমর মো. ইমরুল মহসিন এবং রাজশাহী বিভাগের উপমহাপরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।#