1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Rokon :
সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:৩৫ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ:
বাঘা উপজেলা আনসার-ভিডিপি কার্যালয়ে বিদায়ী ও নবাগত অফিসারকে সংবর্ধনা রূপপুর নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টে কর্মরত দোভাষীর মৃত্যু ঠাকুরগাঁওয়ের বুড়ির বাঁধে চলছে মাছ ধরার উৎসব  পদ্মায় মাছ না ধরে ২৫ কেজি চালে  জীবন চলেনা ঃ ১৬দিনে ৩ কেজি ইলিশ-৪হাজার মিটার জাল জব্দ রূপসায় উপজেলা যুবদলের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত শিক্ষকদের ওপর পুলিশি নির্যাতনের প্রতিবাদে চাঁপাইনবাবগঞ্জে মানববন্ধন আত্রাইয়ে বান্দাইখাড়া ডিগ্রি কলেজের সভাপতি পদে পরিবর্তন, আশরাফুলের বদলে শেখ আবু মাসুম রূপসায় প্রিমিয়ার ফুটবল লীগের ৩য় খেলা অনুষ্ঠিত রাজশাহী মডেল প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ইমদাদুল হক চ্যানেল এস টিভির রাজশাহী প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন নওগাঁ অঞ্চলে  নিষিদ্ধ চায়না জালের ব্যবহার ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলছে

আমকাহনঃ ল্যাংড়া-হাঁড়িভাঙ্গা

  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ১ জুলাই, ২০২২
  • ১৯১ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

……অর্বাচীন

প্রাকৃতিক আমপঞ্জি অনুয়ায়ি জুন মাসের শেষ দিকে  ল্যাংড়া ও হাঁড়িভাঙ্গা আম পাকা শুরুর কথা থাকলেও বর্তমানে বাজারে বেশ ক’দিন আগে থেকেই এগুলোর দেখা মিলছে। তাই আজ আমের এই জাত দু’টি নিয়ে পুরনো কাঁসুন্দি ঘেঁটে চর্বিত পাঠকের চর্বন করবো

# ল্যাংড়া

ল্যাংড়া আম হলো, আমের একটি বিখ্যাত জাত, যা ভারতবাংলাদেশ ও পাকিস্তানে চাষ করা হয়। একে ‘বারাণসী’ আম নামেও অভিহিত করা হয়ে থাকে। এটি ভারতের অন্যতম একটি বিখ্যাত আম। এটি পশ্চিমবঙ্গসহ সমগ্র উত্তর ভারতে চাষ করা হয়।

 

এই আম পাকার পর খানিক হলদে রঙের হয়। জুনের শেষ এবং জুলাই মাসের প্রথম দিকে এই আম পাকতে শুরু করে এবং বাজারে পাওয়া যায়। মধ্য মৌসুমি জাতের এই আমটি আষাঢ় মাসের শেষ অবধি বা

 

দেশে যে কটি উৎকৃষ্ট জাতের আম আছে, এগুলোর মধ্যে ল্যাংড়া সবচেয়ে এগিয়ে। পাকা অবস্থায় হালকা সবুজ থেকে হালকা হলুদ রঙ ধারণ করে। ফলের শাঁস হলুদাভ। কাঁচা অবস্থায় আমের গন্ধ সত্যিই পাগল করা। অত্যন্ত রসাল এই ফলটির মিষ্টতার পরিমাণ গড়ে ১৯.৭%। বোঁটা চিকন। আঁটি অত্যন্ত পাতলা। পোক্ত হবার পর সংগ্রহীত হলে গড়ে ৮-১০ দিন রাখা যাবে। এই আমের খাওয়ার উপযোগী অংশ ৭৩.১%, ওজন ৩১৪.১ গ্রাম। ছোটো ছোটো টুকরো করার ক্ষেত্রে এই আমকে আদর্শ বলে মনে করা হয়। এছাড়াও নানা আম থেকে তৈরী খাদ্যের ক্ষেত্রেও আদর্শ বলে মনে করা হয়।

 

এই আমের উৎপত্তির ইতিহাস থেকে জানা যায়, ভারতের বেনারসে এর উদ্ভব হয়েছে। এখন বাংলাদেশের প্রায় সব জেলাতেই এই আম জন্মে। চাঁপাই নবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নওগা ও নাটোর এলাকায় বেশি জন্মে। সাতক্ষীরার ল্যাংড়ার আম স্বাদে, মানে উন্নত।

 

এর নামকরণের বিষয়ে জানা যায়, মোঘল আমলে ভারতের বিহার রাজ্যের দ্বারভাঙায় সর্বপ্রথম এই আম চাষ শুরু হয়। আঠারো শতকে এক ফকির সুস্বাদু এই আমের চাষ শুরু করেন। ফকিরের আস্তানা থেকে এই জাতটি প্রথম সংগৃহীত হয়েছিল। এই খোড়া ফকিরের নামেই আমটির নামকরণ হয়েছে। খোড়া ফকির যেখানে বাস করতেন, তার আশেপাশে শত শত আমের গাছ ছিল। তারই একটি থেকে ল্যাংড়া নামের অতি উৎকৃষ্ট জাতটি বেরিয়ে এসেছে। সেই ফকিরের পায়ে একটু সমস্যা ছিল। সেই থেকে এই আমের নাম হয়ে যায় ‘ল্যাংড়া’।

 

হাঁড়িভাঙ্গাঃ

হাঁড়িভাঙ্গা আম বাংলাদেশের একটি বিখ্যাত ও সুস্বাদু আম। বিশ্ববিখ্যাত এ হাঁড়িভাঙ্গা আমের উৎপত্তি রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়াগাছ ইউনিয়ন থেকে।

আমটির নামকরণের ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়, আমটির গোড়াপত্তন করেছিলেন নফল উদ্দিন পাইকার নামের এক বৃক্ষবিলাসী মানুষ। শুরুতে এর নাম ছিল মালদহ জেলার নাম অনুসারে ‘মালদিয়া’। আমগাছটির নিচে তিনি মাটির হাঁড়ি দিয়ে ফিল্টার বানিয়ে পানি দিতেন। একদিন রাতে কে বা কারা ওই মাটির হাঁড়িটি ভেঙে ফেলে। ওই গাছে বিপুল পরিমাণ আম ধরে। সেগুলো ছিল খুবই সুস্বাদু। সেগুলো বিক্রির জন্য বাজারে নিয়ে গেলে লোকজন ওই আম সম্পর্কে জানতে চায়। তখন চাষি নফল উদ্দিন মানুষকে বলেন, ‘যে গাছের নিচের হাঁড়িটা মানুষ ভাঙছিল সেই গাছেরই আম এগুলা।’ তখন থেকেই ওই গাছটির আম ‘হাড়িভাঙ্গা আম’ নামে পরিচিতি পায়। বর্তমানে রংপুরের হাঁড়িভাঙা আমের মাতৃ গাছটির বয়স প্রায় ৬৩ বছর।

 

বিশ্বখ্যাত, স্বাদে গন্ধে অতুলনীয় বাংলাদেশের আঁশবিহীন আমগুলোর মধ্যে ‘হাঁড়িভাঙ্গা’ অন্যতম। গাছ লক্ষ্যণীবাবে আকর্ষণীয়। ডগা পূষ্ট ও বলিষ্ঠ। ডালে জোড়কলম লাগালে গাছ অতি দ্রুত বৃদ্ধি পায়। চারা রোপনের পরবর্তী বছরেই মুকুল আসে। হাঁড়িভাঙ্গা আম গাছের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো গাছের ডালপালা উর্ধ্বমূখী বা আকাশচুম্বী হওয়ার চেয়ে পাশে বেশি বিস্তৃত হয়। উচ্চতা কম হওয়ায় ঝড় বা বাতাসে গাছ উপড়ে পড়েনা এবং আম কম ঝরে।

 

এই আমের উপরিভাগ বেশি মোটা ও চওড়া, নিচের অংশ চিকন । দেখতে সুঠাম ও মাংসালো, শাঁস গোলাকার ও একটু লম্বা। শাঁস অনেক ছোট, আঁশ নেই। আকারের তুলনায় ওজনে একটু বেশি, গড়ে ৩টি আমে ১ কেজি হয়। কোন ক্ষেত্রে এক একটি আম ৫০০/৭০০ গ্রাম হয়ে থাকে। চামড়া কুচকে যায়, তবুও পচে না । ছোট থেকে পাকা পর্যন্ত একেক স্তরে একেক স্বাদ পাওয়া যায়।

 

আমটির ঔষধি ও পুষ্টিগুন ঈর্ষণীয়। রাতকানা ও অন্ধত্ব প্রতিরোধে মহৌষধ। কচি পাতার রস দাঁতের ব্যাথা উপশমকারী। আমের শুকনো মুকুল পাতলা পায়খানা, পুরনো অমাশয় এবং প্রস্রাবের জ্বালা-যন্ত্রণা উপশম করে। ফল হিসেবে খাওয়ার পাশাপাশি আম থেকে চাটনি,আচার,আমসত্ত্ব, মোরব্বা,জ্যাম,জেলি ও জুস তৈরি হয়। প্রচুর ভিটামিন ‘এ’ বা ক্যারোটিন, ভিটামিন ‘সি’, খনিজ পদার্থ ও ক্যালরি রয়েছে ।#

এডিট: সান

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট