1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Rokon :
শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ০৮:০০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ:
ভোলাহাটের বিএনপি নেত্রী ও সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহনাজ খাতুন জামিনে মুক্তি পেলেন সৌহার্দ্য বিশ্বাস এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ অর্জন করায় খুলনা আর্ট একাডেমির প্রাক্তন শিক্ষার্থীর শুভেচ্ছা বাঘার এক কলেজে জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগের চেষ্টা, মামলায় কারাগারে তিনজন  ধোবাউড়ার ষ্টেডিয়াম চৌরাস্তা (সদর বিলপাড়) ভায়া রুস্তম মেম্বারের বাড়ি পর্যন্ত দু’ কিলো মিটার মাটির সড়কে ভোগান্তির শেষ নেই  তানোরে নাবিল গ্রুপের মুরগির বিষ্ঠা ফেলে পরিবেশ দূষণ, মারাত্মক দুর্গন্ধ, চাষাবাদ ব্যাহত তানোরে গভীর রাতে মুরগির বিষ্টা ফেলে পরিবেশ দূষণ, গ্রামবাসীর হাতে আটক দুই ট্রাক শ্যামপুর চিনিকলে সাংবাদিকের প্রাণনাশের হুমকি পঞ্চগড়ের সদরে শিশুদের ফুটবল খেলা নিয়ে দ্বন্দ্ব: হামলার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন রাজশাহী বোর্ডে পাশের হার ৭৭ দশমিক ৬৩ নিয়ে এবারও মেয়েরা এগিয়ে আত্রাইয়ের ‘নার্সারি গ্রাম’ মধুগুড়নই: চারপাশে সবুজের সমারোহ

আত্রাইয়ের ‘নার্সারি গ্রাম’ মধুগুড়নই: চারপাশে সবুজের সমারোহ

  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই, ২০২৫
  • ২৯ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

# মোঃ রাসাদুদ জামান , আত্রাই, (নওগাঁ) প্রতিনিধি : নওগাঁর আত্রাই উপজেলার নার্সারী খ্যাত মধুগুড়নই গ্রাম। এ গ্রামের অর্ধশতাধীক লোক নার্সারী ব্যবসার সাথে জড়িত। বীজ থেকে চারা উৎপাদন, গাছের কান্ড থেকে বিশেষ পদ্ধতিতে গাছ তৈরিসহ নানা কৌশলে তারা সমৃদ্ধ করে তুলেছেন তাদের নার্সারী। কেউ বাড়ির উঠানে, কেউ বাড়ি সংলগ্ন পতিত জমিতে, কেউ আবার অন্যের জমি লীজ নিয়ে গড়ে তুলেছেন নার্সারী। আম, জাম, লিচু, লেবু, পেঁপেসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ ও বনজ গাছে পরিপূর্ণ এসব নার্সারী।

গ্রাম জুড়ে গড়ে উঠেছে যেন সবুজের সোমারহ। গাছ প্রেমি লোকজন এসব নার্সারী থেকে প্রতিদিন নিয়ে যাচ্ছেন তাদের পছন্দমত গাছ। বছরের প্রায় সব মাসেই গাছের চারা বিক্রি হয়ে থাকলেও জৈষ্ঠ মাস থেকে শ্রাবণ মাস পর্যন্ত চারার চাহিদা থাকে অনেক বেশি। এ তিন মাসে বৃষ্টিপাত হওয়ায় কৃষকরা গাছ লাগানোর এটিকে উপযুক্ত সময় বলে মনে করেন। তাই এ তিন মাসে বিপুল পরিমাণ গাছের চারা বিক্রি হয় বলে নার্সারী মালিকরা জানিয়েছেন।

মধুগুড়নই গ্রামের নার্সারী মালিক শহিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের এখান থেকে চারা সংগ্রহের জন্য নওগাঁর রাণীনগর, নাটোরের নলডাঙ্গা, সিংড়া ও রাজশাহীর বাগমারাসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে ক্রেতারা আসেন। সব সময় আমরা উন্নত জাতের চারা উৎপাদন করি। এ জন্য অন্যান্য স্থানের তুলনায় আমাদের এলাকার চারার চাহিদা অনেক বেশি।

একই গ্রামের মোস্তফা বলেন, আমরা অর্ধশতাধিক পরিবার এ পেশার সাথে জড়িত। সরকারি ভাবে আমাদেরকে সহযোগিতা করলে আমরা আরও স্বাবলম্বী হতে পারবো। আনোয়ার হোসেন বলেন, চারা উৎপাদনে অনেক পরিশ্রম করতে হয়। সেই সাথে কৌশলীও হতে হয়। এসব চারা বিক্রি করেই আমরা আমাদের সংসারের ব্যয়ভার বহন করি। বছরের তিন মাস ভাল ব্যবসা হলেও অন্যান্য মাসে আমাদের প্রহর গুণতে হয়।

এ গ্রামে আম গাছের চারা কিনতে আসা ফজলুর রহমান বলেন, মধুগুড়নইয়ের চারার ব্যাপক খ্যাতি রয়েছে। এখানকার মাটি খুব উর্বর তাই অন্যান্য স্থানের চারার তুলনায় এখানকার চারা দ্রুতত বেড়ে উঠে। উপজেলা কৃষি অফিসার প্রসেনজিৎ তালুকদার বলেন, উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে নার্সারী গড়ে উঠেছে। আমরা সার্বক্ষণিক এসব নার্সারী মালিকদের ভাল চারা উৎপাদনে পরামর্শ দিয়ে থাকি। এ ছাড়াও তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করতে বিভিন্ন সময় কৃষি মেলাসহ অন্যান্য প্রোগ্রামে তাদেরকে সম্পৃক্ত করে তাদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করে থাকি।

উৎপাদিত চারা যেন পোকার আক্রমণে বিনষ্ট না হয় সে জন্য মাঠ পর্যায়ে আমাদের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তারাও প্রতিনিয়ত তাদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করেন। সাংবাদিক মোঃ রাসাদুদ জামান উপজেলা প্রতিনিধি, আত্রাই, নওগাঁ।#

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট