পুলিশের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সোমবারের ওই ঘটনায় রাজ্য সরকার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। দক্ষিণ রেঞ্জের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেলকে (ডিআইজি) তদন্তের ভার দেয়া হয়েছে।
নাম না প্রকাশের শর্তে এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বাংলাদেশের সহকারী দূতাবাসে হামলা ও ভুঙচুরের ঘটনায় পুলিশের তিনজন সাব-ইন্সপেক্টরকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তারা হলেন- দিলু জামাতিয়া, দেবব্রত সিং এবং জয়নুল হাসান। এছাড়া সহকারী কমান্ড র্যাঙ্ক পদমর্যাদার কর্মকর্তা কান্তি নাথ ঘোষকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। তার স্থানে পশ্চিম ত্রিপুরার ডিএসপি কিরণ কুমারকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দায়িত্ব অবহেলার কারণে পুলিশের ওই চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী দূতাবাসে হামলার পরই রাতভর অভিযান চালিয়ে সাত জনকে আটক করে ত্রিপুরার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কর্মকর্তারা ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আইএএনএসকে জানিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে প্রাথমিক তদন্ত শেষে গ্রেপ্তারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, গতকাল সোমবার ‘হিন্দু সংগ্রাম সমিতি’ নামে একটি সংস্থার কয়েকজন প্রতিনিধি আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশের সহকারী দূতাবাসে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন বন্ধে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানাতে একটি স্মারকলিপি দিতে যায়। এ সময় বিক্ষোভকারীরা দূতাবাসের গেট ভেঙে মধ্যে প্রবেশ করে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় এবং জাতীয় পতাকায় আগুন ধরিয়ে দেয়।