সংশোধিত ওয়াকফ আইন নিয়ে বাংলার বিভিন্ন জায়গায় অশান্তির ঘটনাতেই শাহকে আক্রমণ করেন মমতা। প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে ভুয়ো খবর ছড়ানো এবং বিএসএফের ভূমিকা নিয়ে অভিযোগ তুললেন মুখ্যমন্ত্রী। এবং শাহকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে চাইলেন। পশ্চিমবঙ্গে অশান্তির ঘটনাকে পরিকল্পিত বলেও মনে করছেন মমতা।
মুখ্যমন্ত্রীর আক্রমণ থেকে বাদ পড়লেন না উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও। কেন্দ্রে বিজেপির দুই শরিক অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডু এবং বিহারের মুখ্যমন্ত্রী বিহারের নীতীশ কুমারের ভূমিকারও সমালোচনা ছিল মমতার বক্তৃতায়। পাশাপাশি, সংশোধিত ওয়াকফ আইন নিয়ে সর্বভারতীয় স্তরে বিজেপি-বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়াকে’ও আরও ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের ডাক দিলেন তিনি।
ওয়াকফ আইন নিয়ে যে ঘটনা ঘটেছে, তাতে ভুয়ো খবরের ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করেন মমতা। এর আগে রাজ্য পুলিশের তরফেও বার বার এই অভিযোগ তোলা হয়েছে। মমতার কথায়, ‘‘আমি নাম বলি না। কিন্তু আজকে বলছি। এখানে অমিত শাহের কোম্পানি বেশি আছে।’’ এর পরেই শাহের উদ্দেশে মমতা বলেন, ‘‘আপনি কোনও দিন প্রধানমন্ত্রী হবেন না। মোদীজির প্রধানমন্ত্রিত্ব গেলে আপনার কী হবে? আপনাকে তো হামাগুড়ি দিতে হবে।’’ সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে মমতা বলেন, ‘‘আমি মোদীজিকে অনুরোধ করছি, ওই লোকটাকে নিয়ন্ত্রণ করুন। একটা লোকের হাতে সব এজেন্সি। যেমন পারছে ব্যবহার করছে।’’
সংখ্যালঘুদের উদ্দেশে মমতার অনুরোধ, ‘‘এক বছর ধৈর্য ধরুন। দিল্লিতে অনেক পরিবর্তন হবে। নতুন সরকার হলে আশা করি হামাগুড়িবাবু ঢুকবেন না।’’ প্রধানমন্ত্রীর সম্পর্কেও সুর চড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপির বিরুদ্ধে সংখ্যালঘুদের প্রতি বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগ তুলে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে মমতা বলেছেন, ‘‘এখানে এক আর বাইরে এক? দুবাইয়ে গেলে কাদের আতিথেয়তা গ্রহণ করেন? সৌদি আরবে গেলে কার সঙ্গে গলা মেলান?’’
বাংলার হিংসা নিয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ গত দু’তিন ধরে ধারাবাহিক মন্তব্য করেছেন। মঙ্গলবার তাঁর বক্তব্য ছিল, বাংলায় ডান্ডা মেরে ঠান্ডা করতে হবে। সেই প্রসঙ্গ টেনে মমতা বলেন, ‘‘যোগী অনেক বড় বড় কথা বলছেন। উনি সবচেয়ে বড় ভোগী। উত্তরপ্রদেশে ৬৯ হাজার শিক্ষকের চাকরি গিয়েছে, কুম্ভে কত মানুষের মৃত্যু হয়েছে তার ইয়ত্তা নেই, কথায় কথায় এনকাউন্টার করে দিচ্ছেন, কেউ প্রতিবাদ করতে পারে না। আর বাংলা নিয়ে বড় বড় কথা বলছেন।’’