কাবিরুল ইসলাম, গোমস্তাপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে…………………………..
ধানের সাথে শত্রুতা আগাছা দমন কীটনাশক বিষ দিয়ে নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে পাঁচ বিঘা জমির ধান। জমির মালিকানা দ্বন্দ্বে ফসলি জমি দখল নিতে ধান নষ্টের অভিযোগ পরস্পরের এই ঘটনায় মামলা করেছে দুই পক্ষ।
আশপাশের জমিতে যেখানে দোলা দিচ্ছে ধানের শীষ তার পাশের জমিতে বিবর্ণ ফসল। এই ঘটনা ঘটেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরের পার্বতীপুর ইউনিয়নের কাসরইল এলাকার একটি ধান ক্ষেতের।
জমির চাষকৃত মালিক মোঃ রফিক বিশ্বাস অভিযোগ করে বলেন, কাসরইল মোজায় ২০১৮ সালে ক্রয় সূত্রে পাঁচ বিঘা জমির মালিক হয়ে হালনাগাদ কাগজপত্র মূলে আমি চাষাবাদ করে আসছি কিন্তু ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে আগাছা নাশক বিষ দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে আমার পাঁচ বিঘা জমির পুরোটা ধান ক্ষেত। গত তিন বছর পরস্পর তারা আমার এই পাঁচ বিঘা জমির ধান নষ্ট করে দিচ্ছে। তিনি আরো দাবী করেন এই অপকর্মের সাথে জড়িত আছে পাশ্ববর্তী শিবগঞ্জ উপজেলার সেলিমাবাদ গ্রামের মৃত রিয়াজউদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে শফিকুল ইসলাম নিজে ও তার ছেলে এবং স্থানীয় ভাড়াটিয়া কিছু উল্লেখযোগ্য সন্ত্রাসীরা।
কিন্তু এদিকে সব অভিযোগ অস্বীকার করে শফিকুল ইসলাম উল্টো রফিক বিশ্বাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন রফিক বিশ্বাস স্থানীয় হওয়ায় আমি ওখানে যেতেই পারিনা বাড়ি থেকে লোকজন নিয়ে গিয়ে ধান লাগায়। সে ধান নষ্ট করে দেয়।
সে মনে করছে আমি এভাবে জ্বালাবো সে জমি ছেড়ে চলে যাবে তার বাড়ি দূরে এবং সে আমার জমি জবর দখল করছে বলেও দাবী করেন শফিকুল ইসলাম।
তবে স্থানীয়রা এমন শত্রুতাকে অমানবিক বলে জানান, জমি যদি রফিক বিশ্বাসের না হয়ে থাকেন সে জন্য আদালত আছে তার জন্য তো তার চাষকৃত ধান ঘাস পুরা বিষ দিয়ে নষ্ট বা এই অমানবিক ক্ষতি সাধন করতে পারেন না।
এই বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম সাহিদ জানান, আদালতে পাল্টাপাল্টি দুই পক্ষের মামলা করেছেন এবং থানা কে তদন্ত দিয়েছে, এটা আমরা শুনেছি।
এখন থানা তদন্ত করে একটা রিপোর্ট দিবে। তদন্ত করার পর দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন আদালত বলে জানিয়েছে এই পুলিশ কর্মকর্তা।#