1. admin@sobujnagar.com : admin :
  2. sobujnoger@gmail.com : Rokon :
শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:০৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে সরকারি কাজে আপনাদের সহযোগিতা চাই: রাজশাহী জেলা প্রশাসক বাগমারায় পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে সাংবাদিককে বের করে দিলো ইউএনও ‘আমার বাবাকে সুপারমডেলদের মতো দেখতে, আমরা এমনই ফর্সা ও সুন্দর’, ফের বিতর্কে উর্বশী গোদাগাড়ী সাব রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে দুদকের হানা, নথিপত্র তলব ফলোআপ: বাঘায় ভুট্রার পাতা কাটায় যুবক হত্যাকান্ডের আসামী গিয়াস গ্রেপ্তার অমিত শাহকে নিয়ন্ত্রণ করুন, মোদীকে অনুরোধ মমতার! টানলেন বাংলাদেশের প্রসঙ্গ, সঙ্গে ‘ইন্ডিয়া’-ঐক্যেরও ডাক ইরানকে পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণ ‘বাতিল’ করতে হবে : ট্রাম্পের দূত ট্রাম্পের কড়া সমালোচনা করলেন বাইডেন রাসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এবিএম  শরীফ উদ্দিনের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

রাজশাহীতে খেজুরের গুড় তৈরিতে ব্যস্ত গাছিরা

  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ১৩২ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

* নাজিম হাসান………………………………………………..

অগ্রহায়ণ আগমনী বার্তায় শিশির ভেজা ঘাস ও কুয়াশা জানান দিচ্ছে শীত এসেছে। এ সময় খেজুরের রস ও পিঠা না হলে শীত জমে না। শীতের আবহে সবকিছুই যেন বদলাতে শুরু করেছে। রাজশাহীর গাছিরা শীত মৌসুমের শুরুতেই খেজুরের রস থেকে গুড় তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

 

হাট-বাজারে গুড়ের ব্যাপক চাহিদা থাকায় ভালো দাম পাচ্ছেন তারা। শীত মৌসুমে আবহমান গ্রাম বাংলায় শীতের সকালে সূর্য মিটমিট করে আলো ছড়ানোর আগেই খেজুরের রস আহরণে বেরিয়ে পড়েন গাছিরা। হাঁড়িতে সংগৃহীত রস নিয়ে ছোটেন চুলার কাছে। টিনের বড় পাত্রে রস ঢেলে জ্বাল দিয়ে শুরু হয় গুড় তৈরির প্রক্রিয়া। আস্তে আস্তে রস শুকিয়ে রুপ নেয় লাল গুড়ে। এই সকল গুড়ের রং আকর্ষণীয় ও সুস্বাদু করতে হাইড্রোজ, ফিটকিরি এমনকি চিনি ব্যবহার করছে অনেক গাছি।

 

প্রতিকেজি গুড় বাজারে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকায় পর্যন্ত। এই গুড় এলাকার চাহিদা মিটিয়ে প্রতিনিয়ত স্থানীয় হাট-বাজারে বিক্রির পর সুস্বাদু এই গুড় চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। গাছিরা বলেন, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য খেজুর রস ও গুড় আজ বিলুপ্তির পথে। আগের মতো খেজুর গাছ আর নেই। প্রতিদিন ইট ভাটায় জ্বালানির কাজে নিধন হচ্ছে এলাকার শত শত খেজুর গাছ। ইতিমধ্যেই শহরের লোকজন গ্রামের গাছিদের সাথে যোগাযোগ শুরু করেছেন। কেউ কেউ গাছিদের কাছে অগ্রিম টাকা তুলে দিচ্ছেন ভালো রস, গুড় ও পাটালি পাওয়ার আশায়। অগ্রিম টাকা পেয়ে অনেক গাছি রস সংগ্রের উপকরণ কিনছেন। খোজ নিয়ে জানা গেছে, আগাম রস সংগ্রহ করতে জেলার গ্রামীণ জনপদের সর্বত্রই খেজুরগাছ ঝোড়া শুরু হয়েছে। গাছিরা আগে ভাগে রস সংগ্রহের উপযোগী করে গড়ে তুলছেন গাছ। হাতে হাসুয়া, বাটাল, নিয়ে ও কোমরে দড়ি বেঁধে নিপুণ হাতে গাছ চাঁচা-ছোলা কাজ করছেন গাছিরা। মৌসুমের শুরুতেই খেজুরের রস থেকে গুড় তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন গাছিরা।

 

এ বিষয়ে রাজশাহী জেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফতর জানান, খেজুরের রস থেকে গাছিরা পাটালী তৈরি করে বাজারে বিক্রি করেন। এটা একটা লাভজনক ব্যবসা। প্রতিবছর শীতের ৫ মাস প্রায় কয়েক হাজার পরিবার গুড় উৎপাদনের উপার্জন দিয়ে জীবনযাপন করে। এ ছাড়া জেলায় খেজুর গাছের সংখ্যা প্রায় ৮ লাখ। এসব গাছ থেকে শীত মৌসুমে প্রায় ৬০ কোটি টাকার ৮ হাজার মেট্রিক টন গুড় উৎপাদন হবে।#

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট