1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Rokon :
সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:২২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
রাকসু নির্বাচনে হল‌ সংসদে প্রার্থী সংকট,বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় নির্বাচিত ৪২ জন সাংবাদিকদের মিলনমেলায় রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের বর্ষপূর্তি উদযাপন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক আব্দুস সামাদ নতুন দায়িত্বে নজিপুর সরকারি কলেজে নবীণ বরণ অনুষ্ঠিত প্যালেস্টাইন টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজে ওরিয়েন্টেশন ও মতবিনিময় সভা খুলনা মিউজিক ক্লাবের ২৩ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপিত বাগমারায় ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী আব্দুল্লাহ আল ফারাবীর পথসভা অনুষ্ঠিত নাচোলে ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১ বাগমারায় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করলেন জহুরুল আলম বাবু ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড পেলেন ঝালকাঠির খালেদ সাইফুল্লাহ

বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষকের আদি সেচ যন্ত্র ‘জাঁত’ বিলুপ্তের পথে-

  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ১৭৫ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

আবুল কালাম আজাদ…………………………………………………

বরেন্দ্র অঞ্চলের ৮০ ভাগের বেশির ভাগ মানুষ কৃষি পেশার ওপর নির্ভরশীল। এক সময় ফসলে পানি সেচের আদি যন্ত্র ছিল জাঁত। যা কালের বিবর্তনে বর্তমান প্রজন্মের কাছে ‘জাত’ শব্দটি শুধু অতীতের গল্প ও ইতিহাস। আর এর ব্যবহারও তেমন নেই। সব কিছু যান্ত্রিক হয়ে গেছে।

 

আদিকালে পানি সেচের অন্যতম মাধ্যম ‘জাঁত’ এর অঞ্চল ভেদে বিভিন্ন নাম থাকলেও উত্তরাঞ্চলের কৃষকরা একে জাঁত বলেই চেনেন। এক সময় এই জাঁতের ব্যবহার ছিল গ্রামবাংলার প্রায় প্রতিটি কৃষকের ঘরে ঘরে। এখন জাঁত চলে গেছে জাদুঘরে। কৃষক হয়ে পড়েছে যন্ত্রনির্ভর।

 

জেলার ডানোর, মোহনপুর, বাগমারা চারঘাট, গোদাগাড়ী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের প্রায় মাঝখান দিয়ে একে বেকে বয়ে চলা খাড়ি,নদী-নালা ও ডোবা থেকে জাঁতের মাধ্যমে পানি সেচে দিয়ে কৃষক জমিতে ফসল ফলাতো। যান্ত্রিক যূগে জাঁত আর তেমন গ্রহণ যোগ্য নয়। এতে সময় এবং শ্রম দুটোই বেশি খরচ হয়। ত াই এর কদর আর নেই বললেই চলে।

 

প্রবীণ লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, আগেকার দিনে ফসলি জমিতে পানি সেচের জন্য টিন বা বাঁশের তৈরি সেঁউতি ও কাঠের দোন ব্যবহার করা হতো। নদী, খালবিল বা জলাশয় থেকে টিন বা বাঁশের চাটাই দিয়ে তৈরি সেঁউতি দিয়ে পানি সরবরাহ করা হতো। আর উঁচু-নিচু জমিতে পানি সেচ দিতে ‘জাঁত’ ছিল  একমাত্র ভরসা। গ্রাম-বাংলার কৃষকের আদি চিন্তা-চেতনার ফল ছিল এ কাঠের জাঁত আবিষ্কার।

 

আম,জাম ও কাঁঠালজাতীয় গাছের মাঝের অংশের কাঠ কেটে নিয়ে তার মাঝখানে খোদাই করে ড্রেন তৈরি করে পানি সেচ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হতো। কোনো কোনো স্থানে নারিকেল, তাল, জিগা, সুপারি ও পাইন গাছ দিয়েও এ জাঁত তৈরি করা হতো। তবে বর্তমানে কাঠের তক্তা দিয়েও এ দোন তৈরি করা হয়। এতে পানি সেচ দিতে শ্রমিক ছাড়া অন্য কোনো খরচ হয় না।

 

পবা উপজেলার কৃষক আব্দুস সালাম বলেন, ক্রস আকারে দুটি বাঁশের শক্ত খুঁটি মাটিতে পুঁতে তার সঙ্গে লম্বা অন্য একটি বাঁশ বেঁধে দেওয়া হয়। এক অংশে জাঁতের মাথা অন্য অংশে মাটির ভরা (ওজন) তুলে দিয়ে পানিতে চুবিয়ে তুললে একসঙ্গে অনেক পানি উঠে আসে। এভাবে অনবরত পানি সেচ দিলে দ্রুত সেচের কাজ হয়ে যায়। আধুনিক শ্যালো, ডিপ, এলএলপি প্রভৃতি সেচযন্ত্র আসায় জাঁতের ব্যবহার এখন আর নেই।

 

উপজেলা দিয়ে বয়ে যাওয়া বারনয় নদী থেকে  কৃষি জমিতে “জাত” দিয়ে পানি সেচ  সেচ দিচ্ছিলেন কৃষক মালেক।তিনে বলেন, নদী-নালা ও বিলে একসময় সারা বছর পানি থাকত। এসব নদী-নালা ও বিল থেকে জাঁতের সাহায্যে ফসলের ক্ষেতে পানি দেওয়া হতো। এখন নদী হয়ে গেছে ফসলের ক্ষেত। ব্যবহার হচ্ছে আধুনিক যন্ত্রপাতির।

 

এ বিষয়ে রাজশাহী জেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, বাংলার কৃষির আদি ঐতিহ্য অনেক কৃষক এখনও শখের বসে কিছু যন্ত্র ধরে রেখেছেন। আমাদের নতুন প্রজন্মের কাছে এসব আদি যন্ত্র একটি শিক্ষনীয় বিষয়। শখের বসে এসব আদি যন্ত্রের ব্যবহার কৃষিতে কৃষকের আগ্রহ ও ভালবাসার বহি:প্রকাশ। শুধু এসব আদি যন্ত্রপাতি নয় কৃষক এখন বিষমুক্ত বিভিন্ন ফসল উৎপাদন করতে বিভিন্ন দেশীয় প্রযুক্তির ব্যবহার করছে। যা মানব স্বাস্থ্য, প্রকৃতি ও পরিবেশের জন্য অপরিহার্য।#

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট